শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মাসিকের সময় সহবাস করলে বাচ্চা হবেনা কিন্তুু মাসিকের সময় সহবাস করা ইসলামে হারাম।মাসিক হওয়ার আগের ৭ দিন ও মাসিক শেষ হওয়ার পরের ৭ দিন সহবাস করা নিরাপদ। এই সময় সহবাস করলে বাচ্চা হবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাসিকের / পিরিয়ডের সময় যেীন মিলন করলে বাচ্চা হবে না। 


পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে। মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।




আসুন জেনে নিই পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে কি ধরনের বিপত্তি হতে পারে-


1. ইনফেকশন হতে পারে


মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।


2. জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা


পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হলে পরবর্তী সময় নারীদের জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

3. রক্ত পেটের ভেতর ঢুকে যেতে পারে

পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক হলে পিরিয়ডের যে রক্ত শরীরের ভেতর থেকে প্রভাবিত হয়, সেটি অন্য কোনো অংশে ঢুকে জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ।

4. রক্তপাত বেশি হতে পারে

পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে রক্তপাত স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক নয়।

5. চিকিৎসকের পরামর্শ

পিরিয়ড চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক নারী আছেন যারা জরায়ু সমস্যায় ভোগেন। তাই প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।







1. দেহ অপবিত্র লাগে বিধায় মানসিক অরুচি সৃষ্টি হতে পারে।
2. পুরুষ লিঙ্গে রক্ত লেগে যৌনমিলনে তার অরুচি জন্মাতে পারে।
3. পুরুষের কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে এসময় অতিদ্রুত নারী যোনিতে ছড়িয়ে পড়ে।
4. তেমনি নারীদেহেও কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে পুরুষ দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।
5. জরায়ু মুখ ঘোরে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে।


ইসলামিক দৃস্টিকোন থেকে


মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস কুরআন-হাদীস উভয়ের আলোকেই নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيَسۡ‍َٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ﴾ [البقرة: ٢٢٢]

“তারা আপনাকে মাসিক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, উহা অশুচি। সুতরাং মাসিকের সময় তোমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটে যেও না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২২]

পবিত্রতা লাভের পর তারা গোসল না করা পর্যন্ত তাদের নিকটে যাওয়া বৈধ নয়। কেননা একই সাথে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,

﴿فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ ٢٢٢﴾ [البقرة: ٢٢٢]

“যখন তারা ভালোমত পাক-পবিত্র হয়ে যাবে তখন তোমরা তাদের নিকটে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক গমন কর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২২]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلَّا النِّكَاحَ»

‘সহবাস ব্যতীত তোমরা তাদের সাথে সব কিছুই কর”।[1]

মাসিকের সময় সহবাস যে কঠিন পাপ তা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিম্নোক্ত বাণী থেকে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন,

«مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ»

“যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোনো মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোনো গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয় সে মুহাম্মাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার সাথে কুফরী করে”।[2]অজ্ঞতাবশতঃ যদি কোনো ব্যক্তি মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস করে তাহলে তাকে এজন্য কোনো কাফ্ফারা দিতে হবে না। কিন্তু জেনেশুনে যারা এ কাজ করবে তাদেরকে নির্ধারিত এক দীনার বা অর্ধ দীনার কাফ্ফারা দিতে হবে। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।[3] এখানে এক দীনার বা অর্ধ দীনার দু’টি সুযোগের যে কোনো একটি নেওয়া যাবে বলে কেউ কেউ মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেন, যদি মাসিকের শুরুতে যখন প্রথম রক্ত বেশি আকারে বের হতে থাকে তখন কেউ সহবাস করে তবে এক দীনার আর যদি মাসিকের শেষে যখন রক্ত কম বের হয়, অথবা তার গোসলের আগে সহবাস করা হয় তবে অর্ধ দীনার সদকা করতে হবে। আর এক দীনার এর পরিমাণ হচ্ছে, ২৫,৪ গ্রাম স্বর্ণ। অথবা সমপরিমাণ মূল্যের কাগজের মুদ্রা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

না, মাসিকের সময় যৌনমিলন করলে বাচ্চা হবে না। তবে মাসিকের সময় যৌনমিলন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ সময় যৌনমিলন করলে নানা যৌন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি যৌন ক‍্যান্সারও হতে পারে। মাসিকের সময়, মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন এবং মাসিক শুরুর পরের ৭ দিন যৌনমিলন করলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Porimolray

Call

মাসিকের সময় সেক্স করলে গর্ভবতী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।কারন এসময় পরিপক্ক ডিম্বাণুটি নষ্ট হয়ে বের হয়ে যায় অন্য দিকে নতুন ডিম্বাণুটি তৈরীর প্রক্রিয়া এ সময় চলতে থাকে। ফলে জরায়ু বা ফেলোপিয়ান নালিতে কোন ডিম্বাণু থাকে না।তাই অবাদে মেলামেশা করলেও গর্ভবতী হবে না। তবে এ সময় সেক্স থেকে বিরত থাকবেন। এতে উভয়ের সংক্রমন জনিত রোগ/অন্য প্রবলেম/ধর্মের দৃষ্টিতেও এসময় মিলন নিষেধ করা হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
সময়

Call

আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মাসিকের সময় যৌন মিলন সম্পূর্ণ হারাম। এই সময়ে মিলন করলে নপুংশক শিশু জন্ম নিতে পারে কারণ এই সময়ে ডিম্বাণু খুব বেশি দূর্বল থাকে। স্ত্রী যৌন অঙ্গ ও জীবাণুযুক্ত থাকে তাই এই সময়ে মিলন পুরুষ ও মহিলা দুজনের জন্যই ক্ষতিকর। আপনার সুন্দর যৌন জীবন কামনা করছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ