একেবারে ফোন থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়, তবে কিছু নিয়ম মানলে আস্তে আস্তে দূরে যেতে পারবেন। ১. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন: অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন। ফেসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ করতে চাইলে এর নিজস্ব সেটিংসে যেতে হবে। ২. নিয়মিত ডিটক্স করুন: আপনি যখন বাথরুমে যাচ্ছেন বা খাবার খাচ্ছেন সে সময়ে স্মার্টফোনটি আপনার কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এমনকি প্রতি শনিবার এটি বন্ধ রাখার চেষ্টাও করতে পারেন। ফোনের সংস্পর্শে না থাকাটা আপনার মস্তিষ্ককে রিসেট করতে সাহায্য করবে। ৩. সময় নির্ধারণ করুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের প্রতিদিনের অনেকটুকু সময় কেড়ে নেয়। এক্ষেত্রে ফেসবুক বা ই-মেইলে বা যেকোনও মাধ্যমের তাৎক্ষণিক বার্তা পড়ার জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। ওই নির্ধারিত সময়ের বাইরে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও চেকইন এবং স্ক্রলিং করবেন না। পাশাপাশি আপনার ফোনের ফেসবুক অ্যাপটি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। শুধু একটি কম্পিউটার থেকে ফেসবুক ব্যবহার করুন। ৪. অটোপ্লে বন্ধ রাখুন: ইউটিউব ও নেটফ্লিক্স-এর মতো যা যা আছে সেগুলো প্রায়ই একটি ভিডিও দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ভিডিওটি বা সমগোত্রের ভিডিও শো করে। এসব কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। আপনার স্মার্টফোনে এসব সাইটের অটোপ্লে অপশন বন্ধ রাখুন। ৫. অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন: হিউম্যান টেকনোলজি সেন্টার নামের একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিছানাতে কখনোই স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। স্মার্টফোন নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফোন থেকে যে নীল আলো বের হয় তা আমাদের শরীরের মেলাটোনিন অবমুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই মেলাটোনিন রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, রাতে ঘুমানোর সময় আপনার ফোনটি বিছানা থেকে একটু বেশিই দূরে রাখুন এবং অ্যালার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হলে আলাদা অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। সূত্র: গেজেটস নাউ
মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়। আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন এখন যদি আপনার ফোনটি নষ্ট হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায় তাহলে কি আপনি চলতে পারেন না। এরজন্য কি মরে যাবেন? আসলে এইসবের কিছুই ঘটবে না। তাই আপনার জন্য প্রথম পরামর্শ আপনি ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। আপনি যদি মনে করেন না আমাকে ফোন ব্যবহার করতেই হবে, তাহলে আপনাকে খুব সতর্কতার সাথে ফোন ব্যবহার করতে হবে। মন কে নয় সবসময় ব্রেন কে সমর্থন করতে হবে। মন চাইলেই ফোন ব্যবহার করা যাবে না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোবাইলের আসক্তিকর সকল কিছুই রিমুভ করে দিন।