Call

সমন্বিতভাবে এ রোগের চিকিৎসা হলোঃ এলারজেন পরিহার- যখন এলার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তখন তা পরিহার করে চললেই সহজ উপায়ে এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং ঠান্ডা বাতাসে চলাফেরা না করা সেই সাথে নাকের পানি ও এলারজি প্রতিরোধ করার জন্য ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন এবং ইহা সাময়িকভাবে এলার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়। এ রোগের প্রধান ওষুধ হলো এন্টিহিস্টামিন ও নেজাল স্টেরয়েড। এন্টিহিস্টামিন, নেসাল স্টেরয়েড ইত্তাদির ব্যবহারে রোগের লক্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে উপশম হয়। যেহেতু স্টেরয়েডের বহুল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তাই এ ওষুধ একনাগাড়ে বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না। যতদিন ব্যবহার করা যায় ততদিনই ভাল থাকে এবং ওষুধ বন্ধ করলেই আবার রোগের লক্ষ্মণগুলো দেখা দেয়। ( চিকিৎসকের পরামর্ষ নিয়েই নিচের ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিৎ ) যেমন ঃ- – অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন ঃ লোরাটাডিন ১০ মিঃ গ্রাঃ দৈনিক ১টা করে একমাস। সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট ন্যাসাল স্প্রে- দুই নাকের ছিদ্রে দিনে ৪ হতে ৬ বার। বেকলোমিথাসোন ডাই প্রোপিওনেট বা বুডিসোনাইড জলীয় ন্যাসাল স্প্রে প্রতি নাকের ছিদ্রে দিনে ২বার ব্যবহার । যে সকল রোগী উপরের চিকিৎসায় বিফল তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ-কার্যকরী কর্টিকোস্টেরয়েড মাংশে ইনজেকশেন রূপে ব্যবহার করলে উপসর্গ উপশম হয় তবে তা বেশি দিন ব্যাবহার করলে জীবন ধংশকারির মত মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন । ) পুরানো অবস্থায় নাকের অসুবিধা থাকলে বা নাক বেশি বন্ধ হলে Spray Antazol; মাত্রা – শিশুদের জন্য ০.০৫% এবং বয়স্কদের জন্য ০.১% নাকের ভিতর দিন ২-৩ বার দিতে পারেন – শরীরে দূর্বলতা থাকলে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স (B-Complex) জাতীয় ঔষধ রক্তশুন্যতা থাকলে রক্তবর্ধক ঔষধ Syp. Ferglucon জাতীয় ঔষধ প্রয়োজন হতে পারে এই ওষুধগুলো নিয়মিত এবং যথানিয়মে ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে নিম্নের ঔষধ সমূহ দেওয়ার জন্য ও উপদেশ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা । যেমন- চোখে মেডিকেটেড ড্রপ ব্যবহারে আরাম পাওয়া যায়। এতে থাকে উপশমী লুব্রিকান্ট, এন্টিহিস্টামিন এবং স্টেরয়েড। নিয়মিত ব্যবহারে প্রদাহ অনেক কমে যায়। স্যুড্রোফেড্রিন টেবলেট নাকের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয় এবং শুষ্ক রাখে। তবে এই ওষুধের কিছু পার্শ¦প্রতিক্রিয়া আছে। যেমন শরীরে মৃদু কম্পন, মুখের অসুবিধা, দুশ্চিন্তা এবং রক্ত্চাপ বেড়ে যাওয়া সেই কারণে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তারা এই ওষুধটি খাবেন না ।কার্টিসোল স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন না নেয়াই উত্তম। ইঞ্জেকশনের ফলে মাত্র এক বা দুই সপ্তাহের উপশম হয়। ফলে বার বার ইঞ্জেকশন দিতে হয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক মারাত্মক। সেই কারণে ক্যাটিনোল স্প্রে নেয়া ভালো। তবে ভ্যাসোমোটর অ্যালার্জিক রাইনাইটিস চিকিৎসা দ্বারা নির্মূল করা খুভ কঠিন। তবে এক্ষেত্রে ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড নাকের ছিদ্রে দিনে ৩ হতে ৪ বার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। মুলত এর জন্য পরবিশে ও জল্বায়ুর পরিবর্তন করলে অনেকে তা সেরে যায়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ