একাডেমীক পড়াশোনায় আমরা শর্টকাট বেশি পড়ি। কিন্তুু চাকরি পরিক্ষায় কোন শর্টকাট নাই। এখানে প্রায় প্রাইমারী লেভেল থেকে প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক আর খেলাধূলার সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হয়। এসব আমাদের একাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে পাওয়া যায়না। তাই সব কিছু মিলিয়ে পড়ার জন্য আলাদা কিছু বই বা ম্যাগাজিন পড়তে হয়। আর এটাই চাকরির পড়া।
চাকরির পড়া মূলত একাডেমিক পড়াশোনারই অন্তর্গত। তবে একজন স্নাতক অধ্যয়নরত ছাত্রের পক্ষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধীত সবকিছু এ টু জেড মনে রাখা কষ্টকর। যেমন- আমরা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি বক্সারের যুদ্ধ হয় ১৭৬৪ সালে, যেটা পরবর্তীতে ভুলে যাবার সম্ভাবনা বেশি। দশ বছরের পড়াশোনা একাডেমিক পড়ার ফাঁকে রিভাইজ দেওয়া সময়সাপেক্ষ। তবে বেসিক শক্ত হলে খুব একটা সমস্যা হয় না। মানবিকের বিষয়গুলোর সাধারণজ্ঞান প্রাধান্য পাওয়ায় অন্যান্য ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা ঝামেলার মুখে পড়েন। তবে মাত্র ৩% মানুষ সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত আছেন। বেসরকারি খাতে আপনার সিজিপিএটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই চাকরির পড়াটা অবসরের জন্য রাখুন। নাহলে পরে অনুশোচনায় ভুগতে হবে।