সিভি ও বায়োডাটার মধ্যে পার্থক্য:
১। সিভি সংক্ষিপ্ত রূপ। এর পূর্ণরূপ হলো কারিকুলাম ভিটা। পক্ষান্তরে, বায়োডাটা দুটি শব্দের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে, বায়ো+ডাটা।
২। কারিকুলাম ভিটা (সিভি) শব্দের অর্থ জীবনের ঘটনাক্রম। বায়োডাটা শব্দের অর্থ বায়ো (জীবন) + ডাটা (বৃত্তান্ত) = জীবন বৃত্তান্ত
৩। সিভি মূলত চাকরির জন্য তৈরি করা হয়। পক্ষান্তরে, বায়োডাটা চাকরি, পড়াশুনা, সংগঠন, সদস্য, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, স্মার্ট কার্ড, সোস্যাল মিডিয়ার about, যেকোনো কারণে তৈরি করা যেতে পারে।
৪। সিভিতে ঘটনাক্রমগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়। পক্ষান্তরে, বায়োডাটা সংক্ষিপ্ত বা রচনা দুভাবেই লেখা যেতে পারে।
৫। সিভিতে তথ্যগুলো পর্যায়ক্রমে থাকে। পক্ষান্তরে বায়োডাটা পর্যায়ক্রম বা প্যারাগ্রাফ দুভাবেই লেখা যেতে পারে।
৬। সিভি ব্যক্তির জন্য লেখা হয়। পক্ষান্তরে, বায়োডাটা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য লেখা হয়।
৭। সিভিতে থাকে সংক্ষেপ বর্ণনা, বায়োডাটা সংক্ষেপ বা বিস্তারিত দুভাবেই লেখা যায়।
৮। সিভি কোনো মানুষের সংক্ষিপ্ত জীবনী। বায়োডাটা একটা মানুষের সমগ্র জীবনী, যাকে আত্মজীবনীও বলা যেতে পারে।
৯। সিভিতে চাইলে আপনি আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তুলে ধরতে পারবেন না। কিন্তু বায়োডাটায় আপনি আপনার জীবনের সকল ঘটনা তুলে ধরতে পারবেন।
১০। সিভিতে মনের পূর্ণাঙ্গ ভাব আসে না। পক্ষান্তরে, বায়োডাটা মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখা যায়।
অতএব, বলা যায়, সকল সিভিই বায়োডাটা, কিন্তু সকল বায়োডাটা সিভি নয়। ধন্যবাদ।