আমার দাড়ি অনেক সুন্দর, দাড়ি রেখে স্টাইল করতে চাই, কিন্তু অল্প বড় হলেই দাড়ি চুল্কাতে শুরু করে।  এটা থেকে বাচার উপায় কি??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যাঁদের দাড়ি আছে, তাঁদের প্রায়ই দাড়ি চুলকানোর সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণত শুষ্ক ত্বক হলো দাড়ি চুলকানোর কারণ। এর জন্য সবচেয়ে জরুরি মুখ পরিষ্কার রাখা। দাড়ি চুলকানি দূর করার কিছু উপায়ের কথা নিচে দেওয়া হলো :-


সি বাটার
দাড়ি চুলকানোর মূল কারণ হলো শুষ্ক ত্বক। সি বাটারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি। এগুলো বিষাক্ত ফ্রি রেডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে। এতে দাড়ি নরম হয় এবং চুলকানি কমে। সি বাটারকে ত্বকের মধ্য দিয়ে ম্যাসাজ করুন। পাশাপাশি ত্বককে সব সময় আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন।

অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মৃতকোষ দূর করে এবং দাড়ির বৃদ্ধি ভালো করে। অ্যালোভেরার জেল একটি পাত্রে নিন। একটি তুলার বলের মধ্যে জেল লাগিয়ে মুখ ও ঘাড়ে লাগান। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে এর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চন্দন
চন্দনের মধ্যে শুধু সুগন্ধই নেই, এর আছে আরো গুণ। এটি ত্বকের চুলকানি কমাতেও কাজ করে। এক থেকে দুই চামচ চন্দনের গুঁড়া আধা বা এক চা চামচ কাঁচা দুধের মধ্যে দিন। ঘাড়, মুখ ও দাড়ির মধ্যে মাখুন। শুষ্ক হতে দিন। ঠান্ডা পান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। পাশাপাশি রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি মৃতকোষ দূর করে এবং চুলকানি প্রতিরোধ করে। সামান্য টি ট্রি অয়েল আঙুলে নিয়ে মুখে ঘষুন। 

পুদিনা পাতার তেল
পুদিনা পাতার তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এটি চুলের ফলিসেলকে উদ্দীপ্ত করে এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। চার ফোঁটা পুদিনা পাতার তেল এক কাপ পানির মধ্যে নিন। এর পর দাড়িতে মাখুন। 

নিমের তেল
নিম ত্বকের জন্য ভালো। দাড়িকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং মুখের ত্বককে ভালো রাখতে নিমের তেল মাখতে পারেন। ঘুমের আগে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল নিয়ে দাড়িতে মাখুন। এতে ত্বক নরম হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ