বাচ্চার বয়স ১০ মাস। সারা দিন ২ বার সুজি খায় তাও ঘুৃমের সময়।তাই বাচ্চার রুচি বাড়ানোর কোন ঔষধ আছে কি? থাকলে খাওয়ানোর নিয়ম বলে দিবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Porimolray

Call

যেহেতু আপনার বাচ্চার বয়স খুব কম তাই তার সমস্যা গুলো বুঝা খুব কঠিন। তাই এটাই ভালো হবে আপনি শিশুটিকে কোন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি চিকিৎসা নিন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে রুচিবর্ধক ঔষধ খাওয়ানো একেবারেই অনুচিত। শিশুর খাবারে রুচি না হওয়ার অনেক কারন আছে। বারবার এক রকমের খাবার খাওয়ানো, দুধ খেতে না চাওয়া, খাবার টেষ্টি না হওয়া, বদহজম, পেটে গ্যাস, জোর করে খাওয়াতে গিয়ে খাদ্যের প্রতি ভয় ইত্যাদি, শিশুকে সবসময় হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করুন এবং শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অন্য কারো কথা শুনে ওষধ খাওয়ানো ঠিক হবে না।আপনি একটি পরিচিত অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।কারো ভুল উত্তরের জন্য আপনাকে সারা জীবন আপসোস করতে হতে পারে।তাই অন্যের কথা না শুনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতীত কোন ঔষধ খাওয়ানো ঠিক হবে না। তবে এখানে কয়েকটি উপায় আছে যা আপনাকে আপনার সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।


১. বাধ্যতামূলক ব্রেকফাস্ট


এটা ভালোভাবে জানা আছে যে ব্রেকফাস্টটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ব্রেকফাস্ট পাচনক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং দিনের কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। আপনার সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধির জন্যে একটি সুস্থ ব্রেকফাস্ট সীমানা নিশ্চিত করুন।

২. প্রতি দুই ঘন্টা সময় খাবার দিন


ক্রমবর্ধমান বয়সগুলিতে শিশুদের উচ্চমাত্রার বিপাক থাকে। একদিন তিনবার খাবার তাদের ক্ষুধা অনুভব করতে তাদের পাচনতন্ত্রকে বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাদেরপ্রতি দুই ঘন্টা ছাড়া নিয়মিত খাবার দেওয়া উচিত; এটা তাদের ক্ষুধা উন্নতি করে।


৩. খাবার আধা ঘন্টা আগে জল পান করান


খাবার দেবার ৩০ মিনিট আগে জল পান করলে সেটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে। সকালেও ঘুম থেকে ওঠার পর একই জিনিসটি বজায় রাখুন কারণ তাতে শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্যে জলযোজিত থাকে। এই মূল নীতিগুলি স্পষ্ট ভাবে শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৪. মাঝে মাঝে কিছু স্ন্যাক্স দিন


আপনার সন্তানের যদি ভাল ক্ষুধা চান তাহলে মাঝে মাঝে বেশ কিছুটা পরিমানে ভারী স্ন্যাক্স খাওয়ান। চিপস বা কুকিসের পরিবর্তে একটি স্যান্ডউইচ বা একটি কুকি দিন। কোন স্ন্যাক্স তা স্বাদে ও পুষ্টিতে সবচেয়ে ভাল সেটি চিন্তা করুন।

৫. খাবার হিসাবে দুধ খাওয়াবেন না


যদিও বলা হয় যে দুধ একটি সম্পূর্ণ খাবার, এটি একটি খাবার হিসাবে পরিবেশন করা উচিত নয়। দুধের অতিরিক্ত, যখন এপেটাইসার হিসাবে খাওয়া হলে সেটি পরবর্তী খাবারের জন্য ক্ষুধা হ্রাস করে। দুধের পরিবর্তে পনির বা দইয়ের মতো অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন।

৬. মটর বা বাদাম খাওয়ান


মটর খাদ্য উত্সাহী বৈশিষ্টের জন্য পরিচিত। এমনি মাখন না খাইয়ে পিনাট মাখন খাওয়ান। ভাজা মটর ও খাওয়াতে পারেন যা ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে.

৭. খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন


এটি একটি সুপরিচিত সত্য যে শারীরিক পরিশ্রম ক্ষুধা তৈরি করে। আরো খুদা বাড়াতে বেশি বেশি খেলতে দিন শিশুকে।

৮. আপনার সন্তানের শরীর ও মাথা ঠান্ডা রাখুন


উষ্ণ তাপমাত্রা একজন শিশুর ক্ষুধা হ্রাস করে আর এই কারণেই আমরা শীতকালে কোন সমস্যা ছাড়া আরো বেশি খেতে সক্ষম হই। কিন্তু একই পরিমাণ খাবার গ্রীষ্মে খাওয়া অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। আপনার শিশুর খাবার পরিবেশটি বায়বীয় রাখুন, এবং আপনি আপনার সন্তানের ক্ষুধা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৯. জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান


উল্লিখিত হিসাবে,জিঙ্কের অভাব ক্ষুধা ক্ষতির জন্য দায়ী, তাই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ান। কাজু বাদাম, গম, কুমড়া ইত্যাদি জিংক সমৃদ্ধ। এর জন্যে আপনি ডাক্তারের সাথেও পরামর্শ করতে পারেন।

১০. বাচ্চাকে তার প্রিয় খাবারটি মাঝে মাঝে খেতে দিন


খাবারের ব্যাপারে শিশুরা মেজাজ দেখতে পারে। তারা এমন কিছু খেতে পারবে না যা তারা পছন্দ করে না তা যতই পুষ্টিকর হোক না কেন। সুতরাং, একটি সুস্থ ক্ষুধা তৈরি করার জন্য, তাদের প্রিয় খাবারের আইটেমগুলি রাখুন। এগুলি তাদের খাওয়ার দিকে আকৃষ্ট করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
itsmamun

Call

ভুলেও ঔষধ খাওয়াবেন না। ক্ষুধা লাগা একটি শিশুর একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। এটা বাধাগ্রস্ত করবেন না। যে যাই বলুক না কেন রুচি বাড়ানোর ঔষধ ত খাওয়াবেনই না। বরং শিশুর মানসিক সাস্থের দিকে নজর দিন। রুচি বর্ধক ঔষধে বরং ক্ষতি হবে।

আপনি বরং খুবই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর সাময়িক জ্ঞান লাভের জন্য এই পোষ্ট পড়ে নিতে পারেন। এখানে ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তীর বই অনুসারে সব কিছু ডিটেইল লিখা আছে। কাজে দিবে আশা করি।

আজকালকার বাবা-মায়েদের আসলে ভুল ধারনা এটা যে আমার বাচ্চা ত কিছুই খায় না। আপনআর বাচ্চা না খেলে তার আসল কারন খুজুন। সেটা সমাধান করুন। বাচ্চা এমনিতেই খাবে তাহলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি শিশুটিকে কোন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ