ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল: ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানারকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।যেমন- ১.নিউজ গ্রুপ একটি তথ্য বা সংবাদ প্রদানকারী সংস্থা। এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের প্রতিদিনের খবর ঘরে বসেই জানা যায়। ২.লেখাপড়া ও গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যথার্থ বই।বিশেষ করে গবেষণাধর্মী বইয়ের জন্য অনেককে বিদেশ থেকে অর্ডার করে বই আনতে হয় বা বিদেশ যেতে হয়।ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটারের Key Board -এ চাপ দিয়ে বিশ্বের যে কোনো লাইব্রেরির বই পড়া যায়। ৩.Web browser- এর Commerce option-টির মাধ্যমে বিভিন্ন দ্রব্যের কেনাকাটার অর্ডার দেওয়া যায়।এক প্রতিষ্ঠানের সাথে আরেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় বাণিজ্য সম্পর্কিত লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। ৪.জটিল কোনো মামলার ক্ষেত্রে মানুষ আইনের পরামর্শের জন্য বিদেশের আইনজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়।কিন্তু এখন আর এজন্য বিদেশে যেতে হয় না।ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কোনো পরামর্শ লাভ করা যায়। ৫.ভ্রমণ স্থানের আবহাওয়া, থাকার হোটেল,রিজার্ভেশন, বিমানের টিকেট বুকিং সবই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায়। ৬.ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পেতে পারি উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা সেবা। ৭.সামাজিক নেটওয়ার্ক যেমন- ফেইসবুক, টুইটার, ভাইবার ইত্যাদি এপসের মাধ্যমে খুব সহজেই একে অন্যের সঙ্গে ছবি,ভিডিও বা তথ্য বিনিময় করতে পারে। ৮.E-Mail এর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোনো নিউজ পাঠানো যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল: ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে, যা সকলের জন্য বর্জনীয়।বিশেষ করে কিশোর ও যুবকদের জন্য।খারাপ দিকগুলো হলো – ১. ইন্টারনেটকে মানুষ কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের ক্রাইম করে যাচ্ছে। ২। ইন্টারনেটের মাধ্যমে।মানুষ নানা রকম মিথ্যা কথা এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ৩। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই। ৪। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুবক যুবতীরা বিভিন্নভাবে পর্নোগ্রাফির চিত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে অশ্লীল এবং খারাপ কাজে জড়িয়ে নিচ্ছে। ৫। ছোট্ট ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেটে বসে লেখাপড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন গেইমস ডাউনলোড করে সময় অপচয় করতেছে। ৬। সন্ত্রাসী সকল কর্মকাণ্ডে জঙ্গিরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে অপহরণ,গুম,খুন,হুমকি ইত্যাদি ঘটনা সংঘটিত করছে। ৭। কমপিউটারের ভিবিন্ন ডাটা তথ্য পাসওয়ার্ড সব চুরি করা হয় এই ইন্টারনেটের ফলেই। ৮। ইন্টারনেটের ফলে মানুষ খুনের মত জঘন্য খারাপ কাজ করতে মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র,শক্তিশালী বোমা ইত্যাদি তৈরী করছে। ৯। ‘কোনো ব্যক্তির নামে কল্পকাহিনী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কথা ব্লগ কিংবা ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ১০। ইন্টারনেট এর ফলে নানারকমভাবে মানুষ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেগাবাইট ক্রয়ের জন্য। ১. অধিক পরিমাণে সামাজিক নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীলতা সত্যিকারের যোগাযোগের অনুভূতিকে কমিয়ে দিচ্ছে। এর ব্যবহারকারীরা একেই সত্যিকারের সম্পর্ক ভাবতে শুরু করেছে। ১২.বাইরে ঘুরে বেড়ানো, খেলাধুলা, মানুষের সঙ্গে মেলামেশার দক্ষতা ও ইচ্ছা কমে যাচ্ছে। এর ফলে মানসিকভাবে হতাশায় ভোগার সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। ১৩. ‘চেরোনিবাল ভাইরাস’ নামক একটি ভাইরাস বছরের একটি নির্দিষ্ট দিতে আক্রমণ চালিয়ে সারাবিশ্বে লাখলাখ কম্পিউটার অকেজো করে দিচ্ছে।
♠♠♠ইন্টারনেট চালানোর উপকারঃ- →ইন্টারনেট এর মাধ্যমে দূর-দূরান্তের অনেক খবরাখবর পাওয়া যায় খুভ সহজে ও কম সময়ে। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনি দূর-দূরান্তের কোনো ব্যক্তির সাথে আপন স্থান থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে কোনো খবর, বিশ্বব্যাপী ছড়ানো সম্ভব। → শিখার অনেক কিছু আপনি ইন্টারনেট থেকে পাবেন। → এখনকার দিনের অনেক অনেক কাজ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করা যায়। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স করা যায়। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বের কোনো স্থান পরিদর্শন করা যায়। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যাচ্ছে। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অনলাইনে বেচা-কেনা সম্ভব হচ্ছে। → ইন্টারনেট এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করা সহ, প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে রাখা যাচ্ছে। ইত্যাদি। ♠♠♠ ইন্টারনেটের অপকারিতাঃ- → ইন্টারনেট এর কারণে শিশুদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারণে কিশুর ছেলে মেয়ে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারনে সমাজে, দেশে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারণে মানুষের অলসতা বৃদ্ধি সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন: চুখের সমস্যা, পিঠে বা কোমরে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি। → ইন্টারনেট এর কারণে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারনে অজান্তে কারোর গোপন তথ্য, প্রাজনীয় তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারনে হ্যাকাররা সফল হচ্ছে। → ইন্টারনেট এর কারনে আজকের ছেলে-মেয়েরা সময় নষ্ট করছে। ইত্যাদি।