আমার বয়স ২৩ বছর।আমার মাথা থেকে কয়েক মাস যাবত অনেক চুল ঊঠে যাচ্ছে!আগেও চুল উঠত কিন্তু এত বেশি না!! ইদানিং গনহারে চুল উঠে যাচ্ছে!!গোসল করার সময়!গোসল করে এসে মাথায় তেল দেওয়ার সময় এমনকি চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচরানোর সময়ও চুল উঠে অনেক!আর এখন কয়েকদিন ধরে তো দেখছি রাত্রে ঘুমিয়ে উঠার পর সকালে দেখি বালিশের উপর ও বেশ চুল পরে আছে!!!বেশ চিন্তিত বিষয়টাতে!!কোনো ভালো সমাধান আছে কি??থাকলে কেউ জানান প্লিজ!বি:দ্র:আমার চুল পাতলা এবং আমি শ্যাম্পু খুব কম ব্যাবহার করি মাসে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৪ বার এবং গোসলের পড় মাথায় সরিষার তেল দিয়ে থাকি!!


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চুল পড়ার কারণ শতকরা ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত/ বংশগত ।এ কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের মাথার মাঝখানের ও কপালের দুই পাশের এবং মেয়েদের মাথার উপরিভাগের ওদু’পাশের চুল পাতলা হয়ে যায়। খুস্কি তো চুলের বিশ্বস্ত শত্রু, চুল তো সে ফেলবেই। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা, স্টাইল করা ও রঙ করা চুলের জন্য ক্ষতিকর। থাইরয়েড হরমোনজনিত বালিভারের সমস্যাজনিত কারণেও চুল পড়তে পারে। কেমোথেরাপি নিলে চুল পড়ে যায়। মহিলাদের মেনোপজ হলে অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে চুল পড়ে। অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল করছেন ? সাবধান! এতেও কিন্তু চুল পড়ে। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জনিত ইনফেকশনের কারণে চুল কমে চুলের অযত্ন হলে সে কি আর থাকে মাথায়? কেমিক্যাল ব্যবহারেও চুল পড়ে। মানসিক চাপ চুলের উপরেও চাপ তৈরি করে পরিবারের কারো রিউমাটয়েড আথ্রাটিস, হাপানি, প্যারনেসিয়াস অ্যানিমিয়া ইত্যাদি রোগ থাকলে সেই পরিবারের লোকজনের চুল পড়া রোগও হতে পারে। রক্তস্বল্পতা, যেমনঃ আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা চুল পড়ার কারণ । বিভিন্ন রকমের রোগ যেমনঃ ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ যেমন- লুপাস, মূত্রনালীর প্রদাহ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি চুল পড়ার কারণ। নানা ধরনের ওষুধ যেমনঃ জন্মনিয়ন্ত্রিন পিল, এনটি ডিপ্রেসেন্ট, বিটা ব্লকার, কিছু এনএসএআইডি, ইমিউনো সাপ্রেসিভ এজেন্টস ইত্যাদি সেবন করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যেতে পারে। হঠাৎ করে ওজন কমে যাচ্ছে ? চুলও কমে যেতে পারে। হজমের সমস্যায়ও চুল পড়তে দেখা যায়। প্রয়োজন মতো না ঘুমালে কিন্তু মাথায় চুল খুঁজে নাও পেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় চুল পড়তে পারে। বড় কোন অপারেশনের পর চুল পড়তে পারে। ভিটামিন ই কম খেলেও চুল কমতে পারে অতি মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ খাবেন না, চুল কিন্তু পড়তে পারে। অতি কর্মব্যস্ততা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। গরমে চুল পড়া বেড়ে যায়। কিছু ভুল যা আমরা ঠিক বলেই জানিঃ ১) লম্বা সময় টুপি পড়ে থাকলে চুল পড়া বাড়ে। ২) শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে। ৩) লম্বা চুল চুলের গোড়ায় বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। ৪) কালার বা কন্ডিশনিংয়ের কারণে চুল পড়ে। ৫) ম্যাসাজিং করে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। এগুলো কোনটাই সঠিক নয়। চুল পড়া প্রতিরোধ করার উপায়ঃ হ্যাঁ, অনেক ক্ষেত্রেই চুল পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে সে জন্যে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ চুলের গোড়ায় যেন পানি না জমে। চুল এর গোড়াঘেমে গেলে তা তাড়াতাড়িশুকিয়ে ফেলুন। আপনার হেয়ার ড্রায়ার টি কুল ও লো সেটিংস এ রাখুন এবং ফ্ল্যাট আয়রন কম ব্যবহার করুন। একদিন বা দুই দিন পর পরমাথায় শ্যাম্পু দিন। আপনার চুলকে তার স্বাভাবিক রঙের চেয়ে এক বা দুই শেড এর বেশী রঙ করবেন না। নিজের পরিষ্কার ও শুকনো গামছা বাতোয়ালে দিয়ে মাথা মুছবেন। এক বা দুই সপ্তাহ পরপরবা কমপক্ষে মাসে একবার নিজের বালিশের কভার ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। পরিষ্কার চিড়নী দিয়ে চুল আচড়াবেন, তবে জোরে জোরে নয়। ভেজা চুল বাঁধবেন না, অাঁচড়াবেন না, বেশি টানাটানিও করবেন না। খুব টেনে চুল বাঁধাও ভাল নয়। প্রতিদিন শাক-সবজি, মাছ, ফল, দুধ, ডিম, দই, পনির, ডালইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে খাবেন, খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিদিনের খাবারে জিঙ্ক, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে। দোকানে চুল কাটালে বাসায় এসে শ্যাম্পু করবেন কিন্তু । যাদের মাথা শুষ্ক তারা মাথায় কন্ডিশনার ব্যবহার করলে ভালহয়। বৃষ্টিতে মাথা ভেজাবেন না। রাতেপ্রয়োজন মতো ঘুমাবেন। ঐ সব প্রসাধনী থেকে দূরে থাকুন যা আপনার মাথায় অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অধিক টেনশন, ভিটামিনের ঘাটতি, খুসকি, পাতলা খসখসে চুল, টাইফয়েড জর,বংশগত কারন এগুলো চুল পড়ার মেইন কারন.....

এই কারনগুলোর কোনটার কারনে আপনার চুল পড়ছে তা আপনিই ভালো জানেন আর সেই অনুযায়ী ডাকতারের চিকিৎসা নিন..কোনো ভেষজ উপাদান ইউজ করলেও আপনি খুব ভালো একটা ফল নাও পেতে পারেন.....তাই সময় না ফুরিয়ে এদিক সেদিকের ভরসা না করে ডাকতারের কাছে যাওয়াটাই ভালো...

"মাথায় সরিষার তেল মাখা ভালো"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ