ঘন ঘন প্রসাবের লক্ষণ বলতে সাধারণত আমরা ডায়াবেটিকস কী বুঝি। যদি আপনার ডায়াবেটিস এ সমস্যা থেকে থাকে সে কারণেও হতে পারে। আর যদি আপনার মনে হয় আপনার কোন ডায়াবেটিকস নাই তাহলে আপনার অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে।যেমন ধরুন আপনি পানি বেশি খাচ্ছেন প্রয়োজনের তুলনায় অথবা আপনার সম্পূর্ণ পেশাব না হওয়ার আগেই পেশাব করা বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবে এমনটা হয় না। আপনার যদি ডায়াবেটিস না থাকে তাহলে আপনি পানি খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন ।তবে আপনাকে একেবারে কমিয়ে দিতে বলছি না।আর এর পরেও যদি না হয় তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
১) দিনে বার বার পানি ও অন্যান্য তরল যেমন ফ্রুট জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়া। পানি ও অন্যান্য তরল জীবাণুর সংক্রামণ ও বৃদ্ধি প্রতিহত করে মূত্রতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
২) বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা- যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে।
৩) যৌন সহবাসের আগে ও পরে অবশ্যই প্রস্রাব করা-যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয়। অনেকের সহবাসের পরই শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধক এন্টিবায়োটিক সহবাসের পর নেয়া যেতে পারে।
তাই উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এক্ষেত্রে একজন ইউরোলজিস্ট আপনার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পরামর্শদাতা হতে পারে।
প্রথমত ঘন ঘন প্রস্রাব, সমস্যাটা কার? যদি কোনো বাচ্চার হয়, তাহলে সেটা স্বাভাবিক। তবে বাচ্চার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হলে দেখতে হবে, তার পূর্বপুরুষ অথবা বাবা-মার ডায়াবেটিস এর কোনো ইতিহাস আছে কি না, যদি থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সমস্যা টা যদি বড় কারও হয়, তাহলে ডায়াবেটিস থাকতে পারে। তবে সাধারনত শীতঋতু ও বর্ষাঋতু তে প্রস্রাব একটু ঘন ঘন ই হয়। এটা আসলে কেমন সমস্যা সেটা নির্ভর করে, ঘন ঘন হওয়ার মাত্রাটা কেমন, সেটা কি অতিরিক্ত না কি কোনো রকম।
সমস্যাটা বুঝুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।