যে কোন কাগজে আল্লাহর নাম অথবা আল্লাহর নামযুক্ত কোন ব্যক্তি বা বস্তুর নাম থাকলে অথবা কুরানের আয়াত থাকলে বিছিয়ে খাওয়া, তা দিয়ে প্রস্রাব পায়খানা পরিষ্কার করা, তার উপর বসা বা পা দেওয়া বৈধ নয়।যেমন কুরানের পাতা, বই পুস্তক বা পত্র পত্রিকা পবিত্র জায়গায় দাফন করা অথবা পুড়িয়ে ফেলা বিধেয়। যাতে আল্লাহর নাম বা কুরানের আয়াতের কোন অমর্যাদা না হয়। ( ইবনে বাজ)
খবরের কাগজ যে কালি দিয়ে ছাপা হয় সেটা অত্যন্ত নিম্ন মানের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি, তাই এর কালি খুবই ক্ষনস্থায়ী খুব সহজেই উঠে অাসে। অামরা খবরের কাগজ যদি খাবার-দাবার, হাত-পা মোছা সহ অন্যান্য কাজে ব্যাবহার করি তাহলে সেই নিম্নমানের বিষাক্ত কালি বিভিন্ন মাধ্যমে অামাদের পেটে চলে অাসে অার কিডনি, লিভার সহ নানা রকম জটিল রোগে অক্রান্ত হই। বৈধ-অবৈধ একটা অাইনি ভাষা, অবৈধ হচ্ছে সেই সকল জিনিস যেগুলো দেশের অাইন ও সংবিধান দ্বারা নিষিদ্ধ এছাড়া সকল কিছুই বৈধ। সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে খবরের কাগজের এহেন ব্যাবহার স্বাস্হ্যের জন্য ভংঙ্কর ঝুকিপুর্ণ।
ধন্যবাদ।
কাগজ, কলম ও লিখিত বর্ণ বাক্য- এ সবই জ্ঞানার্জনের একেকটি অন্যতম মাধ্যম। ইলম ও জ্ঞান যেমন শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ তদ্রূপ এ জ্ঞান অর্জনের অবলম্বনগুলোও শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ। তাই যথাসাধ্য এসব উপকরণগুলো এমন কাজে ব্যবহার করা না চাই যাতে এগুলোর মর্যাদাহানি হয়। প্রধামমন্ত্রী যে চেয়ারটিতে বসেন সে চেয়ারটি জড় পদার্থ হলেও তার একটি আলাদা মূল্য আছে। যে কেউ এসে এ চেয়ারে পা তুলে দিতে পারে না। এ বিষয়টি আমরা সকলেই বুঝি। আমরা যত ধরনের জ্ঞান অর্জন করি তার মাধ্যম কিন্তু কাগজ। বর্তমান নেট জগতেও কাগজের মূল্য হারিয়ে যায় নি। সুতরাং খবরের কাগজ বিছিয়ে তাতে খাওয়া কিংবা তাতে বসা আদৌ উচিত হবে না। আর খবরের কাগজ দ্বারা প্রস্রব-মল পরিস্কার করা তো আরো নিকৃষ্ট মানের অনুচিত কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।