এ বিনিময়ে সমস্যা নেই। যেহেতু এক দেশীয় মুদ্রা হলেও উভয়ের মুল উপাদান ভিন্ন। (ইবনে জিবরিন, ইবনে উসাইমিন) আর নবী (সঃ) বলেছেন, “সোনার বিনিময়ে সোনা, রুপার বিনিময়ে রুপা, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, লবণের বিনিময়ে লবণ ক্রয় বিক্রয় এর ক্ষেত্রে উভয় বস্তুকে যেমনকার তেমন, সমান সমান ও হাতে হাতে হতে হবে। অবশ্য যখন উভয় বস্তুর শ্রেণী বা জাত বিভিন্ন হবে তখন তোমরা তা যেভাবে (কম বেশী করে) ইচ্ছা বিক্রয় কর। তবে শর্ত হল, তা যেন হাতে হাতে নগদে হয়। (মুসলিম, মিশকাত ২৮০৮ নং)
এক দেশীয় মুদ্রার পারস্পারিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কম বেশি করে ক্রয় বিক্রয় করা বৈধ নয়। কারণ নোট এবং কয়েনের মাঝে উপাদানগত ভিন্নতা থাকলেও মূল্যগত দিক থেকে দুটি মুদ্রা এক ও অভিন্ন। উপরন্তু উপাদানগত এ ভীন্নতা রাষ্টীয়ভাবে স্বীকৃত বা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দেশে প্রচলিত মুদ্রার (চাই ধাতু মুদ্রা হোক কিংবা কাগুজী মুদ্রা হোক) ক্ষেত্রে মূল্য বা ক্রয় ক্ষমতাটাই বিবেচ্য। গঠনগত ভিন্নতা বিবেচ্য নয়। সুতরাং পারিভাষিক বিবেচনাকে কেন্দ্র করেই শরঈ বিধান প্রয়োগ হবে পারিপাশ্বিক বিবেচনাকে কেন্দ্র করে নয়। সূত্র : জাস্টিস তাকী উসমানী কৃত ইসলাম আওর জাদীদ মাইশাত ওয়া তিজারাত