শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Isan

Call

দেনমোহর হচ্ছে সুন্নত। এটা ইসলামে বৈধ। কিন্তু যৌতুক এটা অবৈধ। কারন ছেলেপক্ষরা মেয়েপক্ষের কাছে দাবি করে নেওয়া হারাম। যেমন দাবি করে বাড়ি চাই গাড়ি চাই,গুলশানে চাকরি চাই, নগদ পাচ লাখ টাকা চাই।চাইতে চাইতে মেয়ের বাড়ির সব চায় ঐ সব জিনিস পাওয়ার পরেও কুমিরের মত হা করে থাকে মানে আরো চাই। এরকম ভাবে দাবি করে নেওয়া হারাম। আর দেনমোহর এটা নিজের ইচ্ছে মত দেওয়া যাবে। আপনি যা দেবেন তাই তাদের খুশি মনে নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দেনমোহর হল স্বামী কর্তৃক স্ত্রী র পাওনা!এটা বাকী রেখে বিবাহ শুদ্ধ হবে না!বিপরীত ক্রমে সমাজে প্রচলিত যৌতুক! যা কনে র অভিবাবকের কাছ থেকে বরপক্ষ গ্রহন করে!এটা সম্পুর্ন হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মহানবী (সা) হাদীসে বলেন- "আননিকাহু মিন সুন্নাতি ফামান রাগিবা আন সুন্নাতি,ফালাইসা মিন্নী" অর্থ: "বিবাহ হলো আমার সুন্নাত,যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে পরিত্যাগ করলো সে আমি নবীকে পরিত্যাগ করলো"।এই হাদীস থেকে আমরা বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি,এছাড়া ও নবিজি ধনি হওয়ার জন্য বিবাহ করতে বলেছেন।আর বিবাহ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত হলো দেনমোহর। দেনমোহর বিবাহিত মুসলিম নারীর একটি বিশেষ অধিকার। এই অধিকার আমাদের মুসলিম আইনের উৎস পবিত্র কুরআন হাদীস দ্বারা পরিষ্কারভাবে স্বীকৃত। এই অধিকার বলে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ বা সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারী হন।মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন-"তোমরা তাদেরকে তাদের প্রাপ্য দেনমোহর প্রদান করো,আর যদি তারা তোমাদেরকে খুশি মনে এ দেনমোহর থেকে কিছু অংশ প্রদান করে তাহলে তা তোমরা খুশি মনে গ্রহণ করো"।দেনমোহর ছাড়া বিবাহ ইসলামে কোন অবস্থাতে সমর্থনযোগ্য নয়।মহানবী (স:) তার পূণ্যবতী ১১ জন সহধর্মিনীকে বিবাহ করার সময় মোহরানা প্রদান করেছেন।এমনকি আদী মানব আদম (আ) হাওয়া (আ:) কে গ্রহণ করার আগেই মোহরানা আদায় করেছেন।সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ইসলামে মোহরানার কোন বিকল্প নেই। আর ইসলাম দেনমোহরের পরিমাণ ও সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।আমাদের মাযহাবের ইমাম, ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মতে মোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০ দিরহাম,আর সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত নেই।ইমাম আবু হানিফার মতে দশ দিরহামের কম মোরহানা নির্ধারণ করা যাবে না,কেননা ১০ দিরহামের কম কেউ চুরি করলে তার হাত কাটা যায় না।এ থেকে বোঝা যায় মানুষের একটি অঙ্গের সর্বনিম্ন মূল্য ১০ দিরহাম।সুতরাং বিবাহের মাধ্যমে একজন স্বামী তার স্ত্রীর গোপন অঙ্গের মালিকানার বৈধতা অর্জন করেন,সে জন্য থাকে সর্বনিম্ন হলেও দশ দিরহাম মোহরানা প্রদান করতে হবে।দেনমোহরের পরিমাণটা স্বামীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে,স্বামীর সামর্থের বাহিরে দেনমোহর নির্ধারণ করা ঠিক নয়। দেনমোহর স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ স্বরূপ এবং অবশ্যই পরিশোধযোগ্য। #হিন্দু সমাজে জন্ম নেওয়া যৌতুক প্রথা একটি মারাত্মক ঘৃণিত কাজ। বিবাহের সময় কনে পক্ষের কাছ থেকে যে পণ বর পক্ষ পেয়ে থাকেন বা আদায় করে নেন তা হলো সাধারণত যৌতুক।ইসলামে যৌতুক গ্রহণ হারাম বা নিষিদ্ধ। শরিয়তের বিধানে বিয়ের শর্ত হিসেবে যৌতুক আদায় করা শুধু নাজায়েজই নয়, বরং সুস্পষ্ট জুলুম হিসেবে গণ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।' (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৮)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sam

Call

দেনমোহর হল ইসলাম প্রদত্ত নারীর একটি অধিকার যা আদায়ের মাধ্যমে স্বামী তার স্ত্রীর শরীরকে হালাল বলে মনে করে | ইসলাম প্রদত্ত এর সর্বনিম্ন পরিমাণ 10 দিরহাম | এই দেনমোহর আদায় না করা পর্যন্ত স্বামী তার স্ত্রীর শরীরে হাত দিতে পারবেনাা  অাল্লাহ নারীর এই অধিকার সুরা আন-নিসায় বর্ণনা করেছেন |

আর যৌতুক হল বিয়ের সময় স্ত্রীর বাড়ির থেকে চেয়ে নেওয়া কোনো কিছু (যেমন-গাড়ি,টাকা প্রভৃতি) | ইসলামে এটিকে কঠোরভাবে হারাম করা হয়েছে | তবে স্ত্রীপক্ষ যদি খুশি হয়ে নিজের থেকে কিছু দেয় তবে তা গ্রহণ করা যাবে এবং তা যৌতুক বলে গণ্য হবে না |

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ