জায়েজ নেই।
বিস্তারিত ---
রক্তদান বা ক্রয়ের বিধান ছাড়া মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অন্য কোনো অংশ ক্রয়-বিক্রয় করা ইসলামী শরিয়তে হারাম ও নিষিদ্ধ। আরব-অনারবের কোনো আলেম এ মাসআলার ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেননি। সবার ঐকমত্যে মানব অঙ্গ বেচাকেনা করা হারাম। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রথমত. বেচাকেনা বৈধ হওয়ার জন্য বস্তুর মালিকানা স্বত্বের অধিকারী হওয়া অপরিহার্য। ইসলামী শরিয়ত মতে মানুষ তার দেহের মালিক নয়। বরং এটি আল্লাহর পবিত্র আমানত। তার মালিকানা বহির্ভূত বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করা ও দান করা হারাম।
দ্বিতীয়ত. ইসলাম মনে করে মানুষ 'আশরাফুল মাখলুকাত'। তাই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অত্যন্ত সম্মানিত বস্তু। কাজেই সাধারণ খেলনা ও পণ্য সামগ্রীর মতো মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ।
কিডনি বিনামূল্যে দান করা জায়েজ এই শর্তে যে, দান করার পর দাতার সম্পূর্ণ সুস্থভাবে জীবনযাপন করার নিশ্চয়তা থাকবে এবং গ্রহীতাও উক্ত কিডনির সাহায্যে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে দাতা কোনোরূপ আর্থিক বা অন্যকোন পার্থিব বিষয়বস্তু দাবি করতে পারবেনা। অর্থাৎ কিডনি কেনাবেচা কিংবা কোনো স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দান করা হারাম।
তবে কোনোরূপ পূর্বনির্ধারিত চুক্তি ছাড়া, ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হওয়ার পর গ্রহীতা নিজ ইচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা যাবে।