প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি একটি রোগ। এর কারণে প্রাথমিকভাবে যেসব উপসর্গ দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে স্বাভাবিক প্রস্রাব নির্গমন প্রক্রিয়ার কিছু পরিবর্তন, যেমন- দিন কিংবা রাতে অথবা উভয় সময় ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের ধারা সরু হওয়া, প্রচণ্ড বেগ সত্বেও প্রস্রাবের নির্গমন শুরু হতে দেরি হওয়া, প্রচণ্ড বেগ থাকা সত্ত্বেও তৎক্ষণাৎ প্রস্রাব করতে না পারলে খানিকটা প্রস্রাব বেরিয়ে এসে কাপড়চোপড় ভিজে যাওয়া, প্রস্রাবের পর দীর্ঘসময় ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নি:সরণ এবং প্রস্রাব করার পর অতৃপ্তি, যেন কিছু প্রস্রাব রয়ে গেল ইত্যাদি। কেবল উল্লিখিত বয়সসীমার মধ্যে এরূপ উপসর্গ হলে প্রাথমিকভাবে প্রোস্টেটের বৃদ্ধি সন্দেহ করা যেতে পারে। বিলম্বিত উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্রাব আটকে যাওয়া, প্রস্রাবের সাথে রক্তপাত ও কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি। আমাদের দেশে প্রায়ই রোগীরা প্রাথমিক উপসর্গগুলোকে অবজ্ঞা করেন এবং হঠাৎ প্রস্রাব আটকে গিয়ে প্রস্রাবের থলি ফুলে তীব্র ব্যথা ও অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের থলিতে দীর্ঘমেয়াদিভাবে এক লিটারের বেশি প্রস্রাব আটকে থাকে ও পাশাপাশি ঘন ঘন একটু আধটু প্রস্রাব হয় ও ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব হয়ে বিছানা নষ্ট হয়। এই অবস্খায় কোনো ব্যথা হয় না বলে অনেকেই এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এসব রোগীই এক সময় দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অক্ষমতার উপসর্গ নিয়ে বেহুঁশ অবস্খায় হাসপাতালে আসেন।