দোষ হয়তো আপনার বন্ধুরই। উদার হোন, ক্ষমা করে দিন তাঁকে। কেননা বন্ধুত্ব মানেই যে যেমন, তাঁকে ঠিক সেভাবেই গ্রহন করা ও ভালোবাসা। আর যদি ভুল হয় আপনার, অকপটে ক্ষমা চান। মনে রাখবেন, ক্ষমা চাইলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না। বন্ধুর সামনে তো একদম না।
বন্ধুত্বে ইগোর কোনো স্থান নেই। ইগোর কারণে নষ্ট হতে পারে বন্ধুত্বের মতো চমত্কার একটি সম্পর্ক, হারাতে পারেন প্রিয় বন্ধুকে। ঝগড়া যদি মারাত্মক পর্যায়েরও হয়, এই জেদ নিয়ে বসে থাকবেন না যে, আমি কেন আগে কথা বলবো, সে কেন আগে বলবে না? এতে ক্ষতি আপনারই!
বন্ধুর ওপর ভীষণ অভিমান হচ্ছে? মন খারাপ খুব? পুরনো দিনের কথা ভাবুন, আপনারা একসঙ্গে কত সুন্দর সময় কাটিয়েছে সেগুলো ভাবুন। দেখবেন, রাগ ও অভিমান অনেকটাই কমে গেছে! এবার বন্ধুর সাথে মিটমাট করে নিন।
ঝগড়ার জের ধরে অন্যদের সামনে বন্ধুকে ছোট করবেন না। এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে অন্যরা আপনাদের বন্ধুত্ব নিয়ে কটু কথা বলতে পারে। বন্ধুর প্রতি নিজের রাগ, ক্ষোভ বা অভিমান অন্যদের সামনে প্রকাশ করে ফেললেও এটা মাথায় রাখুন যে, আপনার বন্ধুর অপমান মানে কিন্তু আপনার নিজেরই অপমান!
বন্ধুর সাথে সম্পর্ক যত খারাপ দিকেই গড়াক না কেন, প্রতিশোধ নেয়ার কোনোরকম চেষ্টা করবেন না। এতে আপনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক চিরতরে নষ্ট হতে পারে। রাগের মাথায় বন্ধুর একান্ত গোপন কথা অন্য কাউকে বলে ফেলাও কিন্তু এক ধরনের প্রতিশোধ! তাই ভুলেও এ কাজ করবেন না।
ঝগড়া বা মনোমালিন্যের কারণে যদি বন্ধুর সাথে যোগাযোগ নাও থাকে, তবে তাঁর কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এই মানুষদের কাছেই আপনি আপনার বন্ধুর খবরাখবর পাবেন। প্রয়োজনে এঁরাই হয়ে উঠবেন আপনার ও আপনার বন্ধুর যোগাযোগের মাধ্যম।
আপনার বন্ধুটি হয়তো আপনার ওপর রেগে গিয়ে কথা বলছেন না বা যোগাযোগও করছেন না, তাঁকে বিভিন্নভাবে মেসেজ পাঠাতে থাকুন। সেটা হতে পারে ফোনে অথবা ফেসবুকে। অথবা তাঁকে পাঠাতে পারেন কার্ড, যেখানে লেখা থাকবে আপনি তাঁকে মিস করছেন। মোটকথা, সব সময় তাঁকে অনুভব করাতে থাকুন যে আপনি তাঁর কথা ভাবছেন।