পরিশ্রমের পর দেহে দুর্বলতা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম না করেই দুর্বলতা অনুভব করা এবং বলতে গেলে সারাদিনই নিজেকে অবসাদগ্রস্থ পাওয়া একেবারেই ভালো লক্ষণ নয়। তখন, ধরে নিতে হবে আপনার দেহের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিক কাজ করছে না অথবা আপনার দেহে প্রয়োজনীয় কোনো কিছুর অভাব হচ্ছে। কিছু খুব সাধারণ কারণ রয়েছে এই দুর্বলতা অনুভবের পেছনে যা অবহেলা করলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তবে বেশীরভাগ কারণই আমাদের অনেকের একেবারেই জানা নেই। আজকে জেনে নিন যে অজানা কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন আপনি।
পানিশূন্যতা দেহে রক্তের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেয়। এতে করে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। আপনি অনুভব করেন দুর্বলতা। তাই পানি পানের অভ্যাসে আনুন পরিবর্তন। হেলথ এক্সপার্টদের মতে দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ সকলের।
দেহে আয়রনের অভাব হলে পুরো দেহে অক্সিজেনের সঞ্চালন কমে যেতে থাকে যার ফলে দেহ হয়ে পড়ে দুর্বল। এছাড়াও রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যার কারণেও সারাক্ষণ দুর্বলতা অনুভব করেন আপনি।
নিজের একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আপনি অমানুষিক পরিশ্রম করেন যার কারণে আপনার দেহের প্রতিটি অঙ্গ বিশেষ করে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ে মারাত্মকভাবে। এটিও আপনার শারীরিক দুর্বলতার অন্যতম কারণ।
সারারাত ঘুমানোর পর সকালে উঠে বেশ ভালো একটি নাস্তা খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। এতে করে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা পায়। যদি সকালের নাস্তা খাওয়া বাদ দিতে থাকেন নিয়মিত ভাবে তার প্রভাব আপনার দেহ এবং মস্তিষ্কে পড়তে থাকে যার ফলে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন আপনি।
গবেষণায় দেখা যায় অগোছালো জিনিস আমাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে ফেলে যার কারণে মস্তিষ্ক বেশীরভাগ সময় অবসাদগ্রস্থ থাকে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরেও।
মানসিক চাপের কারণে দেহে আসে দুর্বলতা। অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকলে আমাদের মস্তিস্কের অনেক বেশি পরিমাণে কাজ হয়। আমরা খুব বেশি চিন্তা করতে থাকি। এতে করে মস্তিষ্কের ওপর অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক অবসাদগ্রস্থ হয় এবং আমাদের দেহও দুর্বলতা অনুভব করে। তাই বেশি মানসিক চাপ নেয়া বন্ধ করুন।
বেশি কাজের চাপ ও মানসিক চাপে যেমন দুর্বলতা আসে, তেমনই আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে অলসতাতেও দুর্বলতা ভর করে দেহে। আপনি যতো বেশি নিজেকে অলস করবেন ততো আপনার দেহ দুর্বল হতে থাকবে। কিছুটা কাজ করা এবং সামান্য মানসিক চাপ নেয়া আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করবে। এতে আপনি থাকবেন সবল।
যদি আপনার খাবারের তালিকায় সুষম খাবার না থাকে এবং আপনার একবেলা খাবার সময় থেকে আরেকবেলা খাবারের সময়ে অনেক বেশি পার্থক্য থাকে তবে আপনার দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে আপনাআপনিই। তাই সুষম খাবার খান এবং প্রতি ৩/৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সামান্য কিছু হলেও খাবার খান।