শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

প্রোটিন এক ধরনের ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্ট অর্থাৎ মুখ্য পরিপোষক। বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মস্তিষ্কের গঠনে প্রোটিন একান্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও হর্মোন ও উৎসেচকের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন। এমনকী সহায়তা করে বিভিন্ন বিপাকজাত কাজেও। আবার হাড় ও পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এই বিশেষ উপাদানটি।
প্রতিদিন খাদ্যে কতটা পরিমাণ প্রোটিন থাকা দরকার?
আমরা সারাদিনে মোট যে পরিমাণ খাদ্য খাই, তার মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ প্রোটিন থাকা জরুরি। তবে পরিমাণটা জানা প্রয়োজন। কারণ বয়স অনুযায়ী প্রোটিনের চাহিদাও বদলে যায়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে:
২ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত গড় বয়স ও ওজন অনুপাতে প্রতি কেজিতে ১ থেকে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন প্রতিদিন নেওয়া উচিত। অর্থাৎ কারও ওজন যদি ৩০ কেজি হয়, তবে তাঁকে খেতে হবে ৩০ থেকে ৪৫ গ্রাম প্রোটিন।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে:
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেও প্রতি আদর্শ কেজি ওজন অনুযায়ী ১ থেকে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন প্রতিদিন প্রয়োজন।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে:
তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের ক্ষেত্রে ভালো হল চর্বিবর্জিত প্রোটিনের উৎস থেকে খাদ্য নির্বাচন করা। তাই তাঁরা পাতে রাখুন ডিম, মাছ, কম ফ্যাটযুক্ত মুরগির মাংস। নিরামিশাষীরা সয়াবিন, রাজমা এবং বিভিন্ন রকমের ডাল মিলিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।
সন্তানসম্ভবা মহিলার ক্ষেত্রে:
প্রেগনেন্সির সময় প্রোটিনের চাহিদা একটু বেশি থাকে। কারণ সন্তানসম্ভবা মা’কে একসঙ্গে দুটি প্রাণের দেখভাল করতে হয়। অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় ৫০কেজি ওজনের পূর্ণবয়স্ক একজন মহিলার ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সন্তান আসার পর সেই মহিলাকেই ৮০-৮৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। মোটকথা সন্তান আসলে প্রত্যেক মহিলাকেই প্রতিদিন মোটামুটি ৮৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতেই হবে।
ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে:
ডায়াবেটিস মেলিটাসে ভোগা রোগীকে শর্করা এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খেতে বলা হয়। না হলে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এদিকে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতিতে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীকেও খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, দুধ, পনির, ছানা, টকদই রাখতে হবে।
শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেশি হলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
যাঁরা শরীরচর্চা করেন বা জিমে যান তাঁরা একাধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান এবং উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হেল্থ ড্রিঙ্ক পান করেন। মনে রাখতে হবে, কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নিজের ইচ্ছে মতো এইভাবে প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এত প্রোটিন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে লিভার ও কিডনির একাধিক সমস্যা আসতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ