শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sumya Akter

Call

ইজমার কার্যকারিতা সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে। কোন কোন সুন্নী ফকীহ আলেমদের মতে, একমাত্র নবী করীম (স)-এর সাহাবীদের মধ্যে ইজমা সীমাবদ্ধ। তারা পরবর্তী কালের ইজমা গ্রহণ করতে রাজি নন। সর্বদা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর সাহচর্য লাভ করায় তাঁরা তাঁকে বেশি করে জানবার ও বুঝবার সুযােগ পেয়েছিলেন। এজন্য সাহাবীদের মতামতের মূল্য দেওয়া উচিত।

আবার কেউ কেউ ইজমার সময়সীমা নবী করীম (স)-এর সাহাবীদের সঙ্গী অর্থাৎ তাবিঈনের যুগ পর্যন্ত মাম মালিক (র) একমাত্র মদীনার লােকের সম্মতির ওপর তার ইজমা প্রয়ােগ করতেন। তিনি মত করেছেন যে, শুধু মদীনার লােকেরাই সর্বসম্মতিক্রমে ইজমা প্রয়ােগ করতে পারেন। কিন্তু তাঁর এ মতের তীব্র সমালােচনা করা হয়েছে এ কারণে যে, আলেম ও শিক্ষিত লােক শুধু মদীনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আধুনিক ব্যবহার শাস্ত্রবিদদের (ফকীহদের) মতে, ইজমা কোন বিশেষ যুগের বা বিশেষ সময়ের লােকদের বা বিশেষ দেশের মতৈক্যের ওপর গড়ে ওঠেনি। এটি হচ্ছে, যে কোন যুগে যে কোন দেশের অধিকাংশ ফিকহ শাস্ত্রবিদদের মতৈক্যের ফল। শিয়াদের মতে, ইজমার অধিকার কেবল হযরত আলী (রা) ও তাঁর বংশধরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু সুন্নীদের মতে, যে কোন স্থানের এবং যে কোন যামানার মুসলিম মুজতাহিদদের ঐকমত্যই ইজমা।

সারকথা

ফিকহ্ শাস্ত্রের চারটি মূল উৎসের মধ্যে ইজমা গুরুত্বপূর্ণ উৎস। চার মাযহাবের ইমামগণ ইজমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। ইজমা ব্যতীত শরীআতই অপূর্ণ থেকে যায়। সুতরাং ইজমার গুরুত্ব অত্যধিক। ইজমায় বিশ্বাস করা অত্যাবশ্যক। যেহেতু এটি কুরআন ও সুন্নাহর ওপরে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসল তাই ইজমা মেনে চলা ও বিশ্বাস করা অপরিহার্য।

পৃথিবীর সব কিছুই পরিবর্তনশীল। চলমান পৃথিবীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে যুগ জিজ্ঞাসার সঠিক ও যথার্থ সমাধান পেশকরণে ইজমার প্রয়ােজনীয়তা অপরিহার্য। নতুবা ইসলামী আইনশাস্ত্রে স্থবিরতা ও সঙ্কটের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ