(النبأ) নাবা শব্দের শাব্দিক অর্থ : সংবাদ, খবর ইত্যাদি। এখানে ‘নাবা’ দ্বারা কিয়ামত দিবসকে বুঝানো হয়েছে, এটি কিয়ামতের অন্যতম একটি নাম। সূরার দ্বিতীয় আয়াতে বর্ণিত ‘নাবা’ শব্দ থেকেই সূরার নামকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ সূরাতে মহা সংবাদ বা কিয়ামত ও তার পূর্ব মুহূর্তে পৃথিবীর অবস্থা কিরূপ হবে, কিয়ামতের ভয়াবহতা, জ্ঞানীদের জন্য কিয়ামতের প্রমাণ উপস্থাপন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সূরাতে আল্লাহ তা‘আলার বিভিন্ন নেয়ামতরাজির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পুনরুত্থানের প্রতি গুরুত্বারোপ, জান্নাতীদের আরাম-আয়েশ ও জাহান্নামীদের দুঃখ কষ্টের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
নাবা মানে হচ্ছে কিয়ামত ও আখেরাতের খবর। আর এই সূরায় এরি ওপর সমস্ত আলোচনা কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে।সূরা আল মুরসালাতে যে বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে এখানেও সেই একই বিষয়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ এখানেও কিয়ামত ও আখেরাত অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রমাণ এবং তা মানা ও না মানার পরিণতি সম্পর্কে লোকদের অবহিত করা হয়েছে।বিস্তারিত এখানে পড়ুন
নাবা অর্থ কিয়ামত সংঘটিত হবার সময়। পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা নাবার আলোচ্য বিষয় চার টি । প্রথম দিকে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে প্রদত্ত তার নেয়ামতের কথা উল্লেখ করেছেন। এরপর কিয়ামতে পাপীদের শাস্তির আলোচনা করেছেন। মাঝের অংশে মুমিনদের পুরষ্কার এর ঘোষণা দিয়েছেন। এবং শেষ অংশে কিয়ামত সংঘটিত হবার নিশ্চয়তা দেবার পাশাপাশি হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।