বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আসস্লামু আলাইকুম, অগাস্ট মাস আমাদের শোকের মাস, এই মাসে আমাদের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কে আমরা হারিয়েছি, এই দেশ হারিয়েছে তার জন্মদাতাকে। এই দেশের জন্য আপনি ও আপনার পরিবারের যে অবদান রয়েছে তা আমাদের পক্ষে শোধ করা সম্ভব নয়।
বর্তমান সময়ে আপনি ও আপনার সকল মন্ত্রী বর্গ দেশের সেবায় অকলান্ত পরিশ্রম করছেন এবং Digital Bangladesh গড়ার ক্ষেএে সজীব ওয়াজেদ জয় (উপদেষ্টা) ও জুনাইদ আহমেদ পলক (মন্ত্রী) ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সকল কাজ প্রসংশোনীয়। আমি এবং আমরা (বেকার সমাজ) আপনার একান্ত বাধ্য।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন কিছু দিন আগে একটি দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞতিতে দেখলাম যে, আপনি ২ লাখ ৪২ হাজার সরকারী শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে দেশের লাখ লাখ বেকার ছেলে/ মেয়েরা চাকুরী পাওয়ার আশায় খুশি হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা সবাই জানি, আপনি আমাদের দেশের বেকার সমাজ নিয়ে অনেক চিন্তিত এবং আপনি সবসময় আমাদের ভালো চান সেজন্য আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি বা আমরা (বেকার সমাজ) সকলেরই ইচ্ছা সরকারী চাকুরী করা, সরকারের কাজে সহযোগিতা করা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অতি দুঃখের সাথে বলছি আজ দেশের বেকার সমাজ ভয়াবহ মানসিক রোগে আক্রান্ত। কারণ সরকারী চাকুরী করতে হলে নাকি (৭-১০) লক্ষ টাকা ঘুষ লাগে এত টাকা পরিবার কোথায় পাবে আর আমার জন্য যদি সবকিছু শেষ হয়ে যায় ছোট ভাইবোনদের কি হবে?। অনেকের টাকা ছাড়া ও চাকুরী হয় কিন্তু খুব অল্প। এক অজানা ভয় কাজ করে সবসময়, সত্যি কথা বলতে যৌবন পার হয়ে যাচ্ছে, বাবা মা কে হজ্জে পাঠাব ও তাদের সেবা করব,আর একটু ভালো খাবার খাওয়াবো। বিশাস করবেন কিনা জানি না, যদি টাকা ছাড়া কারও চাকুরী না হত কোন আফসোস ছিল না, ভাবতাম আমি খারাপ ছাএ তাই চাকুরী হয় নাই, এখন কষ্ট লাগে ইস টাকা থাকলেই চাকুরী হত। ইহা একটি ভয়াবহ মানসিক রোগ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা BBA/অর্নাস শেষের পরেই চাকুরী খুজি কিন্তু বাস্তবতা এপ্লাই করি SSC/HSC পাশ যোগ্যতা যেগুলে চাওয়া হয় কারণ যদি একটু ঘুষ কম লাগে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জানি না এই আর্তনাদ পড়বেন কিনা, পড়লে হয়তো বা ভাববেন এত কষ্ট করে সরকারী চাকুরীর দরকার কি? কোম্পানির চাকুরী করলেই হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানে হয় সজনপ্রিয়তা। ৪ বছরের BBA/অনার্স কোর্স করার পর ও চায় অভিজ্ঞতা, কোথায় পাব অভিজ্ঞতা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে যে উচ্চ মূল্যের পে- অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, পোষ্টাল অর্ডার, ট্রেজারী চালান চাওয়া হয় সেক্ষেত্রে অনেকের পক্ষে একাধিক পদে চাকুরীর আবেদন করা সম্ভব হয় না।
তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ পে- অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট, পোষ্টাল অর্ডার, ট্রেজারী চালান যেনো কম মূল্য চাওয়া হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যদি আমার এই পত্র পড়িয়া আপনি কোন প্রকার কষ্ট পেয়ে থাকেন আপনার নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থী।উপরোক্ত বিষয় পর্যালোচন করিয়া যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আপনার নিকট অনুরোধ করছি।
বিনীত দেশের বেকার সমাজ
ডাকযোগে সরাসরি চিঠি পাঠান। চিঠি পাঠানোর ঠিকানা ঃ
যোগাযোগ
সিস্টেমস্ এনালিস্ট (ভারপ্রাপ্ত)
ই-মেইল ঠিকানা : [email protected]
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
পুরাতন সংসদ ভবন
তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫
বাংলাদেশ