ফিস্টুলা দূর করতে প্রতিরোধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । প্রসবকালে সব নারীর পাশে দক্ষ সেবাদানকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং প্রসবজনিত জটিলতায় জরুরি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ফিস্টুলাকে প্রায় নির্মূল করা যেতে পারে।
বাল্যবিয়েকে নারীজনিত ফিস্টুলার অন্যতম কারণ বলা হয়। বাল্যবিয়ে বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কম বয়সে গর্ভধারণ করলে ফিস্টুলা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেয়া, বিয়ের পর পরেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং কমপক্ষে ৩ বছর গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকা, ২১ বছরের আগে সন্তান ধারন না করা, গর্ভধারণের পর নিয়মিত চেকআপে থাকা এবং হাসপাতালে প্রস্রব করানো যাতে প্রসব বিলম্বিত না হয়।
হাসপাতালে প্রসব করানো সম্ভব না হলে দক্ষ ধাত্রী দিয়ে ডেলিভারি করানো উচিত যাতে সময়মত পদক্ষেপ নেয়া যায়। এছাড়াও প্রসব বিলম্বিত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে প্রসূতিকে উন্নত হাসপাতালে যেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের সুব্যবস্থা আছে সেকানে পাঠিয়ে দেয়া ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ফিস্টুলা প্রতিরোধ হতে পারে।