১৭ বছর বয়সে যদি আম্মু তার দুধ আমাকে খাইতে দেয়। আমি যদি সেই দুধ খেতে পারবো কি।
না আপনি দুধ পান করতে পারবেন না।
দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পান করানোর ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
(১) মায়েরা তাদের বাচ্চাদের পুরো দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধ খাওয়ানোর সময় পূরণ করতে চায়। আর জন্মদাতা বাবার দায়িত্ব হচ্ছে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে তাদের কাপড়, সংস্থানের ব্যবস্থা করা। কাউকে তার সাধ্যের বাইরে চাপ দেওয়া যাবে না। কোনো মা-কে তার বাচ্চার কারণে কষ্ট দেওয়া যাবে না, কোনো বাবাকেও না। একই দায়িত্ব বাচ্চার উত্তরাধিকারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। যদি বাবা-মা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দুধ ছাড়িয়ে দিতে চায়, তবে তাদের কোনো গুনাহ হবে না। তোমরা যদি তোমাদের বাচ্চাদের কোনো ধাত্রীর দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের কোনো গুনাহ হবে না, যদি তোমরা প্রচলিত নিয়ম অনুসারে পারিশ্রমিক দাও। আর আল্লাহ’র تعالى প্রতি সাবধান! জেনে রেখো, তোমাদের সব কাজ তিনি দেখছেন। [আল-বাক্বারাহ ২৩৩]
(২) আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।(সূরা লুকমান ৩১:১৪ )
আড়াই বছর দুধ পান করানোর ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
(১) আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। (সূরা আহক্বাফ ৪৬:১৫ )
আল্লাহর বিধান পালনের মধ্যেই রয়েছে মানবজাতির কল্যান। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।