Call

ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।

 ,

প্রাণীকূলের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী প্রাণী ধরা হয় পিপড়া এবং মৌমাছিকে। শুধু কর্মই যদি শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড হত তবে মানুষের আগে শ্রেষ্ঠত্ব পেত পিপড়া এবং মৌমাছি। মানুষকে অন্য সকল প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ করেছে তার জ্ঞান, বিবেক, বুদ্ধি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা। পরিশ্রমের পাশাপাশি এই তিনের সমন্বয় প্রতিটি মানুষকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে। মানুষ মাত্রই ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করবে। প্রতিটা মানুষের বর্তমান জুড়ে থাকে তার ভবিষ্যতের ভাবনা। কাজেই ভবিষ্যতই হল মানব জাতির একমাত্র চিন্তার স্থল। ভবিষ্যতের কর্ম-পরিকল্পনাই ঠিক করে দেয় জাতি হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে কারা বসবে। কে নেতৃত্ব দেবে আগামীর পৃথিবীকে। ক্ষুদ্র পিপীলিকা আর মৌমাছি যদি আগত শীতের জন্য সারা বছর খাদ্য সঞ্চয় করে ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে পারে, তবে মানুষ হিসেবে আমাদেরও উচিত ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা। সাধারণ মানুষ আর জ্ঞানীজনদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় কর্ম পরিকল্পনা। আজকের পৃথিবী উন্নত বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বে বিভক্ত শুধু ভবিষ্যতের কর্মপন্থা আর তার বাস্তবায়নের জন্য। প্রকৃত জ্ঞানী যারা তারাই ঠিক করে রাখে আগামী দিন কি করবে। ভবিষ্যতের ভাবনায় যাদের বর্তমান কাটে তারাই প্রকৃত জ্ঞানী। কারণ, বলা হয়ে থাকে “একটি ভাল পরিকল্পনা কর্ম সম্পাদনের অর্ধেক পথ অতিক্রম করে।” কাজেই ভবিষ্যৎ নিযে যে যত ভাবে তার উন্নতি তত বেশি বেগবান হয়।

 ,

শিক্ষা: মানুষ অতীত থেকে শুধু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতকে সাজানোর কোন বিকল্প নেই। আর তাই ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই সকল উন্নয়নশীল জাতির অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান হাতিয়ার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jobedali

Call

ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ

মূলভাব : জ্ঞানী ব্যক্তিরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। অতীত গত আর বর্তমান ক্ষণস্থায়ী। কাজেই অনাগত ভবিষ্যতের ভাবনাই বুদ্ধিমানের কাজ। 

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের কর্মময় জীবনের সাথে তিনটা কাল সম্পৃক্ত আছে, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। অতীতকে ভুলে যেতে হবে, অতীতের দুশ্চিন্তার ভার অতীতকেই নিতে হবে। অতীতের কথা ভেবে অনেক বোকাই মরেছে। পণ্ডিতেরা বলে গেছেন ‘গতস্য শোচনা শাস্তি’। আর বর্তমান সে তো নেই বললেই চলে। কারণ একটি কথা বলতে বলতে অতীত হয়ে যায়। কাজেই নদীর তরঙ্গ গোনা আর বর্তমানের চিন্তা করা সমানই অনর্থক। ভবিষ্যতটা হল আসল, কারণ ভবিষ্যতকে মানুষ পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে পারে। ভবিষ্যৎ সকলের সম্মুখে উন্মুক্ত। সেটা কখনও শেষ হয় না। তাই ভবিষ্যতের মানব কেমন হবে সেটা একবার ভেবে দেখা উচিত। ভবিষ্যতে মানুষের জীবনযাত্রা কিরূপ হবে। কি কি বিপদে তারা পতিত হতে পারে, তাদের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আজকেই ভাবা উচিত। ভবিষ্যতের মানুষকে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে আজকেই নিতে হবে বাস্তব পদক্ষেপ। ভবিষ্যৎ ভাবনা হল একটি পরিকল্পনা। আর পরিকল্পনা ছাড়া যে কোথাও এগুনো যায় না তা মানুষ মাত্রই উপলব্ধি করতে পারে। ভবিষ্যতের ভাবনায়ই মানুষ সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। সংসারের গণ্ডির মধ্যে থেকে সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় মা বাবার কাটে অধিকাংশ সময়। সমস্ত জীব-জন্তুর দুটো চোখ সামনে থাকার মানে হল ভবিষ্যতের দিকে যেন নজর থাকে। কেননা ভবিষ্যতের ভাবনাই জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলে। 

অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আসে মানুষের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে যথার্থভাবে বাস্তবায়নে ভবিষ্যতের ভাবনা সদা মনে জাগ্রত রাখা প্রয়োজন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ