Call

পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা

 ,

অন্ধকারের প্রাণী পেঁচা। আঁধারেই তার জন্ম, জীবন-যাপন ও বসবাস। সূর্যের প্রখর আলো সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই। এজন্য সে দিনের বেলায় আত্মগোপন করে থাকে। নিজের এ অক্ষমতাকে ঢাকতে সে প্রতিহিংসামূলক বুলি আওড়ে বেড়ায়। বিভিন্ন ছল-ছুতোয় সে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে বেড়ায় যে, সূর্যের সাথে তার আজন্ম শত্রুতা রয়েছে। এজন্যই সে ঘৃনায় দিনের বেলায় বাসা থেকে বের হয় না। এখানে হীনমন্য মানবচরিত্রের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠেছে। হীন ও নীচ, দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তিরা মহান ব্যক্তিদের ঈর্র্ষা করে। তাদের সম্মান ও গৌরব দেখে আত্মবঞ্চনার আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরে। অযোগ্যতা সত্ত্বেও তারা নিজেদেরকে মহৎ মানুষদের কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চায়। এইসব ক্ষুদ্র মানুষেরা লজ্জা ও হিংসায় জনসম্মুখে খুব একটা বের হয় না। মহৎ ব্যক্তিদের কাছাকাছি যাওয়ার সাহসও তাদের নেই। অথচ তারা তাদের এই হীনতা-দীনতা, ক্ষুদ্রতা-ভীরুতা উচ্চভিলাসী ঈর্ষাকাতর বক্তব্যের মোড়কে ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় তার এই অলীক-হাস্যকর মানসিকতা সে আবার সমাজে প্রচার করে বেড়ায়। যে ক্ষুদ্র পেঁচা সূর্যের ক্ষীণতম আলোর মুখোমুখি হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না, সে সূর্যকে নিজের শত্রু হিসেবে প্রচার করে নিজেকেই বরং আরও ক্ষুদ্র, অনুদার ও হাস্যরসের পাত্র করে তোলে। ,

শিক্ষা: মহৎ ব্যক্তিত্বের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব পোষণ এবং মহত্ত্বের অপপ্রচারের মাধ্যমে হীন প্রকৃতির লোকেরা আত্মতুষ্টি লাভ করে থাকে। এতে মানুষের মনে তার সম্পর্কে কোনও উচ্চ ধারণা তৈরি হয় না। বরং সে আরও অবজ্ঞার পাত্র হয়ে ওঠে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jobedali

Call

পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা-

জান না আমার সঙ্গে সূর্যের শক্রতা?

মূলভাব : যারা অন্ধকারের লোক তারা দিনের আলোতে আসতে ভয় পায়। তাই নানা চল, ছুতোর কথা বলে। 

সম্প্রসারিত ভাব : বিশ্বের সমগ্র মানুষকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা যায়। এক ক্ষুদ্র নীচ, দুই মহৎ। নিজ স্বার্থচিন্তা ত্যাগ করে মহৎ ব্যক্তিগণ যুগে যুগে পৃথিবীর মানব সমাজের কল্যাণ করে চলেছেন। আজ মানব সমাজের অগ্রগতির জন্য এ মহৎ ব্যক্তিগণ দায়ী। 

অন্যদিকে নীচ ব্যক্তিরা যুগে যুগে মহৎ ব্যক্তিদের কার্যকলাপের নিন্দা করে এসেছে। এর ফলে শুধু-তারাই আত্মপ্রসাদ লাভ করেনি পরন্তু মর্হূতের কাজে পদে পদে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য পৃথিবীর সমগ্র মানব সমাজের অগ্রগতিও ব্যাহত হয়েছে। 

নীচমনা ব্যক্তির মহত্বের প্রতি ঈর্ষার শেষ নেই। শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে নিন্দা করে সে নিজের নিকৃষ্টতাকে লুকিয়ে রাখতে চায়। যার কাছে সাহস ভরে দাঁড়াবার সাহস নেই, শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে নিজের শত্রু বলে রটনা করে আত্মপ্রসাদ লাভ করে। ক্ষুদ্র ব্যক্তিরা এ বলে নিজ সম্মান বৃদ্ধির চেষ্টা করে যে শক্তিমান মহৎ ব্যক্তির তুলনায় সে শক্তির দিক দিয়ে হীন হয়। বৈরিতাবশত শক্তিমান মহৎ ব্যক্তিকে সে এড়িয়ে চলে, তাকে আদৌ ভয় পায় না; অনেকটা সেই নিশাচর পেঁচার মতো, যে সূর্যের সঙ্গে কল্পিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা উল্লেখ করে নিজ সম্মান বৃদ্ধি করতে চায়। শুধু পেঁচার গৌরভ বিন্দুমাত্র বৃদ্ধি পায় না অথবা সূর্যের গৌরবও সামান্যতম হ্রাস পায় না। শুধু পেঁচাই সকলের কাছে হাস্যাম্পদ হয়ে ওঠে। 

দুষ্ট কপট লোক তার নিজের খারাপ দিকগুলো রাখার জন্য ভাল মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার জন্য সর্বদা ব্যস্ত থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sumya Akter

Call

পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা-

জান না আমার সঙ্গে সূর্যের শক্রতা?

ভাব-সম্প্রসারণ : পেঁচা নিজের অক্ষমতা গোপন রাখার জন্যে সূর্যের সাথে তার কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা প্রচার করে। তদ্রুপ আমাদের সমাজেও এরকম অনেক হীনমন্য প্রকৃতির লোক রয়েছে, যারা মহৎ-ব্যক্তিদের প্রতি কখনো কখনো ঈর্ষাপ্রবণ হয়ে ওঠে। মূলত, তাদেরও মহৎ ব্যক্তিদের মতো গৌরব ও সম্মানের অধিকারী হওয়ার অভিলাষ জাগে। অথচ তারা খুব ভাল করেই জানে যে, তাদের সে যোগ্যতা নেই। তাই তারা মহৎ ব্যক্তিদের সাথে কাল্পনিক-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয় এবং নিজেদের অযোগ্যতা গোপন রাখার চেষ্টা করে। 

পেঁচা অন্ধকারের জীব, অন্ধকারেই তার বিচরণ। দিবসের সূর্যলোকের প্রখরতা সে সহ্য করতে পারে না। তাই সে দিনের বেলায় গাছের কোটরে নিজেকে আত্মগোপন করে রাখে। অথচ সবার কাছে সে দুর্বলতা গোপন করে প্রচার করে বেড়ায় যে, সূর্যের সাথে তার জন্মগত শত্রুতা, সূর্যকে ঘৃণা করে বলেই দিনে আলোতে গাছের কোটর থেকে সে বের হয় না। পৃথিবীর জ্ঞানী, গুণী, বরেণ্য মহাপুরুষেরা তাঁদের প্রতিভা ও মহত্বের দীপ্তিতে পৃথিবীকে আলোকিত করেন। যাঁরা প্রতিভাবান শিল্পী, তাঁদের বিচরণ ভাবের ঊর্ধ্বলোকে। বিশ্বের যাঁরা মহাজ্ঞানী, জ্ঞানের আলোকিত জগৎই তাঁদের বিচরণভূমি। আর, যাঁরা মানবতার মহান পূজারী, বিশ্বপ্রীতির ঊর্ধ্বলোকেই তাঁদের প্রতিষ্ঠা। জ্ঞানে, শিল্পে, সাহিত্যে, রাজনীতি বা বিশ্বপ্রেমে যিনি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন, পৃথিবীর স্বল্প শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব সহ্য করতে না পেরে তাঁদের সমালোচনায় হয়ে ওঠে মুখর। ঈর্ষাতুর, শত্রুমনোভাবাপন্ন সেই হীনমন্যের দল নিজেদের শক্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। তারা কোনদিনই শ্রেষ্ঠত্বের সেই সুদূরলোক স্পর্শ করতে পারে না। তাই তারা নিন্দা ও কুটূক্তিবর্ষণে মহাশিল্পী কিংবা মহাপুরুষগণের শ্রেষ্ঠত্বকে কলঙ্কিত করবার জন্যে করে অপচেষ্টা। কিন্তু সেই অপপ্রয়াস কোনদিনই সফল হয় না। তাতে তারা নিজেরাই কলঙ্কিত হয় এবং বৃদ্ধি করে পৃথিবীর অপকীর্তির তালিকা। তাদের স্বাভাবিক খলতা এবং নিষ্ফল অহংকার দিয়ে মহাপুরুষদের দিব্য জ্যোতিকে তারা পারে না স্পর্শ করতে। সেই নিন্দুকদের কালিমালিপ্ত পেচক-বৃত্তি চিরকাল অন্ধকারেই থাকে আবৃত, চিরকাল বিশ্বমানবের কাছে তা হয় নিন্দিত এবং ধিক্কৃত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ