শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নিয়মিত নামায পরিত্যাগকারীকেও সালাম দেয়া উচিত।

কেননা, জমহুর অধিকাংশ মাযহাবের আলেমগণ বলেন: যদি কেউ নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে তাহলে সে ব্যক্তি কাফের ও ইসলাম ত্যাগকারী মুরতাদ। এমন ব্যক্তিকে জীবিত বা মৃত কোন অবস্থায় তাকে সালাম দেওয়া হবে না এবং তার সালামের জবাব দেওয়া হবে না।

আর যদি সে ব্যক্তি নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার না করে, কিন্তু অলসতাবশতঃ নামায ত্যাগ করে তাহলে সে ব্যক্তি কবিরা গুনাহগার। তবে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ হয়ে যাবে না। তাই তাকে সালাম দেওয়া যাবে।

সালাম এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের সদ্ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের ছয়টি সদ্ব্যবহারের বিষয় রয়েছে: তার মধ্যে অন্যতম হলো, কারো সঙ্গে দেখা হলে তাকে সালাম করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৩৬)।

সালামের মাধ্যমে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় হয়। হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত হয়। এ ছাড়া এতে আল্লাহর জিকির পাওয়া যায়। আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সালাম মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্র্রীতি প্রকাশ করে। সালাম মুসলিম ভাইয়ের জন্য সর্বোত্তম দোয়া।

হাদিসে এসেছে, প্রথম সালামদাতা অহংকার থেকে মুক্ত। এতে বোঝা যায়, আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দারাই সালামের মতো মহৎ গুণে অভ্যস্ত হতে পারে। এর উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করতে পারে।

হজরত আবু উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক উত্তম ওই ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়। (আবু দাউদ : ৫১৯৭)।

সে হিসেবে আমাদের সবারই উচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ