Jamiar

Call

কাউকে সালাত পড়তে বললে সে যদি রেগে যায় তাহলে তার ঈমানের সমস্যা আছে। দেখতে হবে এ রাগের কারণ কি? যদি সালাতের প্রতি বিদ্বেষ বশত রাগ করে তাহলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে আর যদি ‘নামায ফরজ’ তা স্বীকার করে কিন্তু বদমেজাজি স্বভাবের কারণে রাগ করে তাহলে সে ইসলাম থেকে বের হবে না কিন্তু নি:সন্দহে সে ভয়াবহ গুনাহে ডুবে আছে। হতে পারে জেদের বশে কখনো সে নামাযকেই অস্বীকার করে বসবে এবং এর মাধ্যমে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু তাকে অমুসলিম বলা যাবে না।

সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «ইসলাম পাঁচটি বিষয়ের ওপর নির্মিত হয়েছে: «এ সাক্ষী দেয়া যে আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। এবং সালাত আদায় করা।

নামাজ সর্বোত্তম আমল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,«সর্বোত্তম আমল হলো ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় করা।

নামাজ ইসলাম ও কুফরের মাঝে পার্থক্যকারী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «ব্যক্তির মাঝে ও কুফর-শিরকের পার্থক্য হলো নামাজ ছেড়ে দেয়া।»(সহিহ  মুসলিম)

নামাজ ইসলামের খুঁটি। «তাওহীদের পর নামাজের ওপরই নির্মিত হয় ইসলামি জীবনধারা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, «এ-বিষয়ের মস্তক হলো ইসলাম এবং খুঁটি হলো নামাজ। 

সুতারাং  যে ব্যক্তি সাবালক হয়েও নামায আদায় করতে চাইবে না বা নামাযের কথা বললে ই রাগ করে তাহলে সে কুফরি /শিরকি কাজে লিপ্ত আছে।এরকম ব্যক্তিদের কাজে কর্ম থেকে দুরে থাকা উচিৎ।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ