দোয়া নাকি নিজেকেই করতে বলা হয়েছে, তাহলে টাকা দিয়ে দোয়া পড়ানো এ ব্যপারে ইসলাম কি বলে.? সঠিক ব্যাখা দিতে পারলে উত্তর দিবেন, ধন্যবাদ
মুসলমানদের কর্তব্য হলো অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ ও প্রয়োজনের মুহূর্তে নিজেই দোয়া-দরূদ ও ইস্তিগফার দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সাহায্য, ভীতির মাধ্যমে তার রহমত কামনা করা।
এভাবে মৃত আত্মীয়-স্বজনের ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশে নিজেরাই কোরআন খতম ও দোয়া-দরূদ পড়বে দান-সদকা করবে। এসবই হলো শরিয়তের দৃষ্টিতে উত্তম পন্থা।
কিন্তু টাকা দিয়ে হুজুর ভাড়া করে দোয়া পড়ানোতে কোন ফায়দা নেই। কেননা হুজুর দিয়ে দোয়া বা কুরআন খতম পড়িয়ে যদি মৃত ব্যক্তিকে জান্নাতে পাঠানো যেত, তবে সব ধনীরাই জান্নাতে চলে যেত।
কিন্তু ইসলাম এমন না। যার আমলে সেই নাযাত পাবে। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মের জন্য দায়ী থাকবে। কেউ অন্যের 'পাপের' বোঝা বহন করবে না। (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৬৪)।
অর্থাৎ কিয়ামতের দিন কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। এমনকি পিতা-মাতাও সন্তানের কোন পাপের বোঝা বহন করবে না।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন: যদি কোন বোঝা ভারাক্রান্ত ব্যক্তি কাউকে তার বোঝা বহন করতে ডাকে, তবে তা থেকে কিছুই বহন করা হবে না, যদিও সে তার নিকটাত্মীয় হয়। (সূরা ফাতিরঃ ৩৫:১৮)।
সুতরাং প্রত্যেককে তার নিজের পাপভার নিজেকেই বহন করতে হবে, কেউ কারো পাপভার বহন করবে না। যদিও নিকটাত্মীয় হয়। তাই মানুষ যা কিছু করে তা মূলত তারই কল্যাণ বা অকল্যাণে আসবে, অন্য কারো নয়।
রেফারেন্স যুক্ত ব্যাখ্যাত দিতে পারবনা। শুধু এইটুকু বলতে পারি যে হ্যা দুয়া কেবল নিজেদের করতে হয়।
তবে টাকা দিয়া দোয়া করানোর প্রচলন সাধারণত এই ধারনা যে,
একটি মানুষ মারা গেছেন। পরিবারে যারা আছেন তারা আরবী কালামে দোয়া করতে পারেন না। তারা ভাবেন তাহার রেখে যাওয়া সম্পদ তারই দোয়ার জন্য যদি ব্যবহার না করি তবে কার জন্য করিব? অন্যদিকে যাহারা দোয়া করেন, তারা কিন্তু অন্যন্য চাকরী জাতীয় প্রফেশননে যুক্ত নয়, তারা কেবল মসজিদ ভিক্তিক হুজুর, মোয়াজ্জিন এসব প্রফেশনে যুক্ত। তাদের জ্ঞানও এই দিকেই। তাই তারা দোয়া করবে কিন্তু তাদেরও ভরনপোষণ তো আছে তাইনা? এসব সিস্টেমেই মূলত টাকা দিয়া দোয়া পড়ানো হয়।
এই কাজে খারাপ কিছু দেখা হয়না, কারন মারা যাওয়া ব্যক্তির সম্পদ তারই নামে ব্যয় করা হচ্ছে। সেগুলো দুনিয়াবি কাজে নষ্ট করা হচ্ছেনা।