আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা আছে আর এই টাকার সময় এক বছর অতিক্রম করে নাই।যেহেতু এটা নগদ অর্থ তাই এটার জন্য ফিতরা দিতে হবে।এখন আমার প্রশ্ন?আমি আমার বাবার সাথে আমাদের ব্যবসায়ে সময় দেই এবং আমার স্ত্রি ও একজন সন্তান একই পরিবারি থাকি সব কিছুর খরচ আমার বাবা দিয়ে থাকে এবং প্রতি বছর ফিতরা ও দিয়ে থাকে।কিন্তু যেহেতু আমার কাছে ৫০০০০ হাজার টাকা সঞ্চয় আছে সেহেতু এই ৫০০০০ হাজারের ফিতরা দিতে হবে কিনা।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যাঁ দিতে হবে। ঈদের দিন যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় খাবারের চেয়ে অতিরিক্ত আরো ২ কেজি ৪০ গ্রাম পরিমাণ নির্দিষ্ট খাবার মওজুদ থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের সকল সদস্যদের উপর ফিতরা প্রদান ফরয হয়ে যাবে।

আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাধীন, কৃতদাস, নারী, পুরুষ, ছোট, বড় প্রত্যেক মুসলিমের প্রতি রমাযানের সিয়ামের কারণে এক সা‘আ খেজুর বা এক সা‘আ যব ফিত্‌রা হিসেবে ফরয করে দিয়েছেন। (বুখারী : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৪)।

সহীহ মুসলিম ও মুসনাদে আহমাদের একটি বিশুদ্ধ হাদীসে আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রত্যেক স্বাধীন, পরাধীন, নারী, পুরুষ, ছোট- বড়, ফকীর-ধনী প্রত্যেকের উপর জনপ্রতি এক সা ২ কেজি ৪০ গ্রাম পরিমাণ খেজুর ফিতরা হিসেবে দান করা ওয়াজিব। (সহীহ মুসলিম : ২২৮১)।

তবে ইমাম আবূ হানীফার (রহঃ) মতে ঈদের দিন যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে অর্থাৎ ঐদিন ভোরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হিসেবে যার ঘরে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ থাকবে শুধু ঐ পরিবারের উপর ফিতরা দেয়া ফরয হবে।

ভাববার বিষয়: এখানে অনেকে ফিতরার নিসাব নির্ধারণ করতে গিয়ে বলেছেন যে, সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা সমপরিমাণ অর্থ থাকলে ফিতরা ওয়াজিব, এমন দলিল কিন্তু হাদীসে পাওয়া যায় না। ফিতরা যেহেতু রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করার জন্য ফরয করা হয়েছে, সুতরাং এই ফিতরা ধনি-গরীব সকলকেই দিতে হবে। গরীবদেরও তো রোযায় ভুল হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো গরীব লোকেরা পাবে কোথায়? তার উত্তর হলো: তারা ধনীদের কাছ থেকে ফিতরা গ্রহণ করে আবার নিজের পক্ষ থেকে অন্যকে দিবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ