মুখ মৈথুন করার কারণে দুনিয়াতে কোন শাস্তি পাবেন না, তবে আখেরাতে শাস্তি অনিবার্য। এর জন্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
মেডিকেল সায়েন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক বিশেষজ্ঞই এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, ওরাল সেক্স মানব্যস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং মানবদেহে অনেক রোগের জীবাণু উৎপত্তি ও সংক্রামণের কারণ।
লজ্জাস্থান চুষা বা মুখে লাগালে, লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না। আর নাপাক চুষে ফেলাকে তো বৈধ বলার প্রশ্নই আসে না।
মানুষের শরীরের সবচে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।
মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান চুষা বড় গর্হিত কাজ।
মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গুপ্ত অভ্যাস হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।
আর সুচিন্তিত মত এই যে, যেহেতু এই কাজে বহুমুখী ক্ষতি ও অনিষ্টের আশঙ্কা রয়েছে, যা চিকিৎসাবিদগণ উল্লেখ করে থাকেন; এতে এমন ক্ষতি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বড় বিপদ বিপজ্জনক; এ কাজ যৌনশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে, চিন্তাশক্তি ও দূরদর্শিতার ক্ষতি সাধন করে এবং কখনো বা এর অভ্যাসী ব্যক্তিকে প্রকৃত দাম্পত্যসুখ থেকে বঞ্চিত করে। কারণ যে কেউ এ ধরনের অভ্যাসে নিজ কাম-লালসাকে চরিতার্থ করে থাকে, সে হয়তো বা বিবাহের প্রতি ভ্রূক্ষেপই করবে না। (ইবনে উষাইমীন)।
আপনি তাঁকে যেনার কাছ থেকে ফিরে আসার জন্য এটা করতে চাচ্ছেন আর সেও রাজি। এই অবস্থায় করনীয় হচ্ছেঃ
যৌন-পীড়িত যে যুবক ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করে অথচ ভরণ-পোষণ বহন করার সামর্থ্য না থাকার ফলে বিবাহ করতে পারে না, সে যুবকের জন্য রোযা রাখা বিধেয়।
এ ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবকদেরকে পথনির্দেশ করে বলেন, হে যুবকদল! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি 'বিবাহের অর্থাৎ স্ত্রীর ভরণপোষণ ও রতিক্রিয়ার' সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কারণ, বিবাহ চক্ষুকে দস্ত্তরমত সংযত করে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে। আর যে ব্যক্তি ঐ সামর্থ্য রাখে না সে যেন রোযা রাখে। কারণ, তা যৌনেন্দ্রিয় দমনকারী।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, এই হল সেই যৌন-পীড়িত ও যৌবনের অগ্নিদাহে দগ্ধ এবং বিবাহে অসমর্থ যুবকদের জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অব্যর্থ চিকিৎসা। আর তা হল রোযা। সুতরাং তাদের জন্য গুপ্ত অভ্যাস হস্তমৈথুন ব্যবহার করা বৈধ নয়।