যাকাত হলো ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে তবে গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়।
যা সাধারণত নির্ধারিত সীমার অধিক সম্পত্তি হিজরি ১ বছর ধরে থাকলে মোট সম্পত্তির ২.৫ শতাংশ (২.৫%) বা ১/৪০ অংশ বিতরণ করতে হয়।
যেহেতু বলেছেন, গত এক বছরের হিসাব করলে আপনার কাছে কোন টাকা ছিলনা, এর আগে প্রতি মাসে যা ইনকাম হত তাই খরচ হত, সঞ্চয় ছিল না। অর্থ আসতে শুরু করে শেষ দুই মাসে।
এক্ষেত্রে আপনাকে যাকাত দিতে হবেনা। কেননা, যাকাতের অর্থবছর চান্দ্র মাস হিসেবে নির্ধারণ হবে।
যেহেতু রজব মাসের ১৫ তারিখের আগে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক ছিলেন না। আপনার আগামী বছর রজবের ১৫ তারিখে বছর পূর্ণ হবে। ঐ দিন আপনার নিকট যে সম্পদ থাকবে তার যাকাত আদায় করবে।
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হল বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে। উপরে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী রজবের ১৫ তারিখে তো আপনার নিকট নেসাব পরিমান সম্পদ থাকবেই। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য পরের বছর রজবের ১৫ তারিখে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলেই যাকাত ফরজ হবে।
মাসআলাঃ যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমান মাল থাকা যথেষ্ট। মাঝখানে যদি মাল কমে যায় এমনকি নেসাব থেকে কমে গেলেও যাকাত ফরজ থাকবে। তবে যদি মাঝখানে পুরো সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়, তার কাছে কোন সম্পদ না থাকে তাহলে পূর্বের হিসাব বাতিল হবে। আবার যখন নেসাবের মালিক হবে নতুন করে হিসাব ধরা হবে।
আপনি যদি ঋণমুক্ত হওয়া এবং সারাবছরের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর পর নেসাব পরিমাব টাকা বা এর সমপরিমাণ মূল্যমানের পণ্যের মালিক হন, তাহলে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। হিসাব করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে যাকাত আদায় করতে হবে।