শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সম্প্রতি সূর্যের রহস্য উন্মােচনে সূর্যের পানে যাত্রা শুরু করেছে পায় সোচ্চার প্রােব। সবকিছু ঠিক থাকলে এটি কয়েক বরের মধ্যেই সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে এবং সূর্য সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের পাঠাতে থাকবে। সরাসরি সূর্বের | 

উদ্দেশে ভাষণ, পাঠানাে এবারই প্রথম। অথচ মহাশূনে মানুষ ৫১ বছরেও ননশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে। সব গ্রহ এমনকি উল্লেখযোগ্য উপগ্রহগুলােতে অভিযান সম্পন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু সুর্যের উদ্দেশে এখনাে পূর্ণাঙ্গ কোনাে অতিমান সম্পন্ন হন। মানুষ প্রতিদিন দেখতে পায় সূর্যকে, মানুষের অস্তিত্বের শুরু থেকেই আছ, সূরে অবদান। মানুষের সতর পেছনে ঘুরেফিরে সূর্যেরই স্মৰদান। প্রত্যক্ষভাবে হোক আর পরােক্ষভালে হােক, সয় কাজের জন্যই মানুষ সূর্যের ওপর নিশীল। মানুষের জীবন ও সভ্যতাকে উন্নত থেকে উচ্চতর লতেই সূর্যের দিকে তাকানাের কোনাে বিকল্প নেই। সে জন্য আরও আগেই উচিত ছিল সূর্যের উদ্দেশেনভােযান পাঠানাে।

পাঠানাের কথা যে বিজ্ঞানীদের মাথায় আসেন এমন নয়। চাঁদের বুকে বা মঙ্গলের বুকে যত সহজে মিশন পাঠানাে যায়, সূর্যের বুকে ৩০ সাজে পাঠানাে যায় না। অনেক ঢ'লে বাম্পার। এসব জাল সম্পর ‘রত্রে অনেক অর্থের দরকার, ঈশযুক্ত প্রযুক্তির দরকার। বিজ্ঞানীরা টাকার মালিক নন, আবার 'ইলেই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করে ফেলতে পারেন না। উভয়ের জন্যই সময়ের প্রয়োজন। সরকারকে রাজি করাতে হবে যে এখানে অর্থ ব্যয় করলে সেটি ফেলনা যাবে না, কই আসবে। সব দিক মিলিয়ে ব্যাপারটিকে বাস্তবায়ন করতে তাই অনেক সময় লেগে গেছে। তবে এত দিন সরাসরি কিছু করতে না পারলেও কি নীদের সদিচ্ছা কই ছিল। 

মাঝে মাঝে কিছু ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন মিশনের মাধ্যমে সূণ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। কখনাে পৃথিবীতে বসেই করেছেন, কখনাে পৃথিবীর কক্ষপথে টেলিস্কোপ স্থাপন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেহেন, এখনো-বা লুন্য কোনাে গ্রহের মিশনের সময় সে গ্রহের পাশাপাশি সূর্যকে নিয়েও কিঞ্চিৎ গবেষণা করেছেন। শেষোক্ত ব্যাপারটা অনেকটা এক কালে দুই কাজ করার মাতো। ঢাকা থেকে এক ব্যক্তি কক্সবাজার যাবে সৈকত। সৌন্দর্যের ছবি তােলার জন্য, যাত্রাপথে ট্রেনের জানালা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছবিও তুলে নিল। এতে দ্যার মূল ত্তক্সবাজারের মিশন ঠিকই অক্ষুন্ন থাকছে আবার লাভ হিসেবে অন্য একটা স্থানের ছবিও উঠছে। 

তেমনই নাসা হয়ত সুদ গ্রহকে উদ্দেশ করে একটি নভােযান পাঠাল, সেখানে যাওয়ার সময় সূর্যকে নিয়েও কিছু তথ্য সংগ্রহ করে নিন। বিজ্ঞানীরা অনেকবারই সূর্যের পানে এ রকম 'লাভজনক মিশন সম্পন্ন করেছেন। দ্বিতীয় ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে বসে অনেক কিছুই পাওয়া যায় না। পৃথিবীর বায়ুমকল সূর্যের অনেক রশ্মিকে স্নাটকে রাখে। কক্ষপথে পৃখিবীর বায়ুৰ লােনো দূষণ নেই। মহাজাগতিক বস্তুর ছবি তুলে ঝিংবা কোনাে ডিটেক্টর দিয়ে কোনাে কিছু ভিটেখ কালে সেটা ভূপৃষ্ঠ থেকে কক্ষপথেই বেশি সঠিক ও নিখুঁতভাবে হরে। 

দুঃখজনকভাবে নিতে অককাণের সময় এটি দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হয় এর প্যাৱা ঠিকৰে খােলেনি বলে এটি ভূমিতে সজোরে আছড়ে পড়ে। আহাজের চোটে সৌরবায়ুর অধিকাংশ নমুনা নষ্ট হয়ে যায়। তৰে অল্প কিছু নমুনা টিকেছিল, যেগুলাে বিজ্ঞানী গবেষণা কাজে লাগিয়েছিলেন। সেসব বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দৃথিবী ও সূর্যেয় সৃষ্টিরবিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দৃথিবী ও সূর্যেয় সৃষ্টির সমাখার কিছু তথও উদঘাটন মানে প্রথমেই উল্লেখ এর শহণ। 

এটি পাঠানাে হয়েছিল ২০০১ সালে। উদ্দেশ্য মহান মেন্টে কিছু পরিমাণ সৌরবায়ু নিয়ে তালা সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঢার্জিত ফণা নিঃসরিত হয়। বিপুল পরিমাণে। এসবের মাঝে আছে ইলেকট্রন, প্লেটন, আলগ কণা ইত্যাদি।। ট্রানজিশন রিজিওন অ্যান্ড করােনাল এক্সপ্লোরার বা TRACE এসব কণা সৌরজগব্যাপী বিস্তৃত থাকে। এসব চার্জিত কণাসংবলিত অঞ্চলকে বলে সৌরবায়ু বা Solar wind। সৌর বায়ুর নমুনা নিয়ে আসাই ছিল জেনেসিসের কাজ। এর নাড়িনক্ষত্র জানতে পারলে জানা যাবে সূর্যের অনেক কিছু। দীর্ঘ সময় নিয়ে এই নভােন অনেক নমুনা সংগ্রহ করেছিল।

 কিন্তু দুঃখজনকভাবে ২০০৪ সালে পৃথিবীতে অবতরণের সময় এটি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। এর প্যারাস্যুট ঠিকভাবে খােলেনি বলে এটি ভূমিতে সজোরে আছড়ে পড়ে। আছাড়ের চোটে সৌরবায়ুর অধিকাংশ নমুনা নষ্ট হয়ে যায়। তবে অল্প কিছু নমুনা টিকেছিল, যেগুলাে বিজ্ঞানীরা গবেষণার কাজে লাগিয়েছিলেন। সেসব বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবী ও সূর্যের সৃষ্টির সময়কার কিছু তথ্যও উদ্ঘাটন করেছেন। এরপর উল্লেখ করতে হবে ১৯৯৫ সালে পাঠানাে সােলার ৩২ অ্যান্ড হেলিওস্ফেরিক অবজারভেটরির কথা।

 এটিও সূর্যের সৌরবায়ু নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য পাঠানাে হয়েছিল তবে শুধু সৌরবায়ুই নয়, সূর্যের বহিঃস্তর সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহও ছিল এর অন্যতম প্রধান কাজ। শুরুতে মাত্র দুই বছরের মিশনে পাঠানাে হলেও পরে সচল ও কর্মক্ষম থাকায় একে দিয়ে আরও কাজ করানাের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ এই সময়ে এটি সূর্য সম্পর্কে অনেক তথ্য পাঠিয়েছে। প্রায় ৩ হাজার ধূমকেতু আবিষ্কৃত হয়েছে এর মাধ্যমে।

 এটি এখনাে কর্মক্ষম আছে। সূর্যের চুম্বকক্ষেত্র ও প্লাজমা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার জন্য পাঠানাে হয়েছিল ট্রেস (TRACE) নভােযান। ১৯৯৮ সালে। প্লাজমা হলাে অতি-উত্তপ্ত গ্যাস। সূর্যের প্রবল তাপের কারণে সেসব গ্যাসের পরমাণুর ইলেকট্রন তাদের নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ থেকে বের হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই নভােযান সূর্যের এসব বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে অনেক মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে। সৌরজগতে সূর্যের অধীন পুরাে এলাকাকে ঘিরে একটি অঞ্চল আছে।

সূর্য থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন গ্যাসীয় কণা দিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। একে অনেকটা বলা যায় সৌরজগতের আবরণ। নিয়ে। সূর্যের ভেতরে পদার্থগুলাে কীভাবে চলাচল করে, সেসব অঞ্চলে তাপ ও তাপমাত্রার বৈশিষ্ট্য কী ইত্যাদি। এগুলাে। ভালােভাবে জানতে পারুলে সূর্যের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যাবে ভালােভাবে সূর্য গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি নেওয়া হয় এ বছর আগষ্টে। এটিই এখন পর্যন্ত একমাত্র নভােযান, যেটি সূর্যকে খুব কাছ থেকে আবর্তন করবে। মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ এই অভিযানটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী হয়েছে ব্যাপক হইচই।

এতে পাঠানাে টেলিস্কোপ বা ক্যামেরার ছবি তােলার ক্ষমতা প্রায় অবিশ্বাস্য। সূর্যের অত্যধিক তাপমাত্রায় যেন গলে না যায় কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, স্রে জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। তাপসহনশীল। বিশেষ পদার্থ। ২০০৯ সালে এর বাজেট অনুমােদন দেওয়া। হয় এবং নানা প্রক্রিয়া শেষে গত ১২ আগস্ট উৎক্ষেপণ করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে এটি সূর্য সম্বন্ধে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করতে যাচ্ছে—তাতে কোনাে সন্দেহ নেই।

ভবিষ্যতে সূর্যের দিকে আরও নভােযান পাঠানাে হবে। ২০২০ সালে ইউরােপিয়ান স্পেস এজেন্সি পাঠাবে সােলার অরবিটার নামে আরেকটি নভােন। পার্কার সােলার প্রােবের মতাে এটিও সূর্যের কাছাকাছি গিয়ে সূর্যকে আবর্তন করবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত উন্নত হবে, তত তাপসহনশীল নভােযান তৈরি করা যাবে। এমন একটা সময় হয়তাে আসবে, যখন নভােযানগুলাে খুব কাছ থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পারবে। আর এমন একটা সময় হয়তাে আসবে, যখন বর্তমানের তুলনায় সূর্যের শক্তিকে হাজার গুণ বেশি কাজে লাগানাে যাবে।পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা। 

সূর্যের যে অংশের কথা বলা হচ্ছে। তার তাপমাত্রা কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্য থেকে সময়ে সময়ে বড় আকারের বিস্ফোরণ হয়। সেসবও পর্যবেক্ষণ করবে হিনােড। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এর মাধ্যমে সৌর বিস্ফোরণ সম্পর্কে ভালাে ধারণা পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে স্টেরিও নভােযানের বিষয়টি চমকপ্রদ। এতকাল যত নভােযান পাঠানাে হয়েছিল তার সবই ছিল এক অবস্থান থেকে পর্যবেক্ষণকারী। স্টেরিও মিশনে একসাথে পাঠানাে হয় দুটি নভােযান। 

একটি স্টেরিও অগ্র, অপরটি স্টেরিও পশ্চাৎ। দুটোই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তবে একটি করে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে, অর্থাৎ পৃথিবীকে স্টেরিওর পেছনে রেখে। অন্যটি করে সূর্য ও পৃথিবী পার হয়ে, অর্থাৎ পৃথিবীকে সামনে রেখে। ফলে দুই যানের দুই অবস্থান থেকে একই জিনিসের আলাদা ছবি ওঠে। দুটি আলাদা অবস্থান থেকে ভােলা একই জিনিসের ছবি বিশ্লেষণ করে বস্তুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। মানুষ যদি এক চোখ দিয়ে কোনাে বস্তুকে দেখে তাহলে তার অবস্থান ও ত্রিমাত্রিক বর্ণনা সঠিকভাবে আসে না।

 দুই চোখের মিলিত দৃষ্টি এই ত্রুটি দূর করে পরিষ্কার ত্রিমাত্রিক ছবি প্রদান করে মস্তিষ্কে। এই নীতি ব্যবহার করেই স্টেরিও মহাকাশযানদ্বয় সূর্যে ঘটমান বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উন্নতমানের ছবি সরবরাহ করে। ২০১৩ সালে পাঠানাে হয় নভােযান আইরিস (IRIS)। ইন্টারফেস রিজিওন ইমেজিং স্পেকট্রোগ্রাফ বা সংক্ষেপে IRIS। এটি অনুসন্ধান করবে সূর্যের ভেতরকার পরিবেশ ।

https://www.nasa.gov/content/goddard/parker-solar-probe/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ