যিনি আপেক্ষিক তত্ব ভালোভাবে বুঝেছেন তিনি নিশ্চয় বুঝাতে সক্ষম..


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপেক্ষিকতা একটি ছোটখাটো বিষয় নয়। এটি পদার্থবিদ্যার একটি বিরাট স্তম্ভ। নিয়মের ওপর নিয়ম রয়েছে এখানে। সারা জীবন চর্চা করার মত একটা বিষয় এখানে উত্তরে বিস্তারিত লেখা অসম্ভব। আইনস্টাইনের সেই প্রকাশিত সাধারণ আপেক্ষিকতার বিখ্যাত গবেষণাপত্রটির পৃষ্ঠা ছিল 30 টি । আবার আপেক্ষিকতা তত্ত্বের যে টেক্সটবইটি সবচেয়ে বিখ্যাত (Gravitation by Misner, Thorne, Wheeler) তার পৃষ্ঠাসংখ্যা ১২৭৯ টি।আমি আপেক্ষিকতা দিয়ে অনেকগুলো বই পড়েছি । আমি মনে করি আপনিও বই পড়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারবেন । এছাড়াও ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে। তবে আমি ইংলিশ ট্রান্সলেট ইউটিউব ভিডিওর কথা বলছি ।

আমি কিছু সংক্ষেপে আপেক্ষিকতা নিয়ে একটু বলি । 

  • নিউটনীয় বলবিদ্যা অনুসারে সময় পরম একটি বস্তু। এবং মহাকর্ষ একটি আকর্ষণ বল । কিন্তু আইনস্টাইন ব্যাপারটা কি একটু অন্যভাবে দেখলেন । তিনি সময় এবং স্পেসকে পরম ধরলেন না। তিনি ব্যাপারটা কীভাবে বললেন যে সময় এবং স্পেস দুটি একই ।কিন্তু পরম না । উদাহরণ দিয়ে বলি ,আপনি যদি ফেসবুকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে অনলাইনে থাকেন, তাহলে আপনার মনে হবে, আপনি যেন মাত্র পাঁচ মিনিট ধরে অনলাইনে আছেন। কিন্তু আপনি যদি পাঠ্যপুস্তকের সামনে পাঁচ মিনিটও বসে থাকেন, তাহলে আপনার মনে হবে, আপনি যেন অনন্তকাল ধরে বসে আছেন! অর্থাৎ সময় পরম নয়, সময় আপেক্ষিক। 
  • এরপর আইনস্টাইন যখন লিফটে করে বিল্ডিং এর উপর যাচ্ছিলেন তখন তিনি ওজন শূন্য বোধ করলেন । এরপর তার মাথায় আরেকটি বুদ্ধি আসলো। যে আসলে মহাকর্ষ একটা আকর্ষণ বল নয়। এটি স্পেস টাইম এর curvness ছাড়া কিছুই না। উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরুন একটি চাদর চার কোণায় খুব শক্ত করে বাঁধা আছে । এখন এর উপর একটি ভারী একটি বল মাঝখানে রেখে দিন । নিশ্চয়ই দেখবেন চাদরটি দেখবেন চাদরটি বেঁকে গেছে । এরপর বলটির চারপাশে অনেকগুলো মার্বেল গতিশীল ভাবে ছেড়ে দিন । দেখবেন সে মার্বেলগুলো বড় বলটির চারপাশে ঘুরতে শুরু করেছে । এই চাদরটাকে বলা হয়েছে স্পেস-টাইম। ব্যাপারটা আসলে আমাদের সোলার সিস্টেম । এখান থেকে বলা যায় মহাকর্ষ কোন আকর্ষণ বল নয়।
  • আইনস্টাইন আরেকটি বিষয় ক্লিয়ার করেছেন আপেক্ষিকতা র মাধ্যমে সেটা হচ্ছে ভর ও আসলে আপেক্ষিক এবং শক্তিতে রূপান্তরযোগ্য। অর্থাৎ কোনো পদার্থের ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়, আবার শক্তিকেও ভরে রূপান্তর করা যায়। উদাহরণ দিয়ে বলি, আপনার কোন বন্ধুর হাতের ভর আড়াই কেজি হয় সেটি আপনার কানের নিচে থাপ্পর এ পরিণত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সেই হাত ৪২০ কিলোজুল শক্তি সঞ্চিত হবে।থাপ্পর যখন আপনার কানের নিচে স্থাপিত হবে তখন আপনার কান ভারী হয়ে যাবে তীক্ষ্ণ শব্দ শুনতে পাবেন। ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। আর শব্দ এক প্রকার শক্তি। অর্থাৎ E=mc²

আরো বিস্তর ও সুন্দর করে জানতে o বুঝতে আব্দুল গাফফার রহমান, তৌহিদুর রহমান এর আপেক্ষিকতা র বই গুলো পড়তে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ