BISSOY এ যৌন পর্বে মেয়েদের মাসিক related অনেক question and তার answer রয়েছে।আমার question হলো মেয়েদের মাসিক আসলে কী??
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই মাসিক বলে।
একজন নারীর মাসিক তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, আমরা শুধু জানি বাচ্চা হওয়ার জন্য মাসিক হয়। তো বাচ্চা হওয়ার জন্য মাসিক কেন হওয়া লাগে? কারণ, প্রতিমাসে মেয়েদের গর্ভাশয় তার বাইরের আবরণটাকে শক্ত করে যেন গর্ভবতী হওয়ার পর বাচ্চাকে আশ্রয় দিতে পারে। কিন্তু পরে যখন ভ্রূণ নিষিক্ত হয় না তখন সে তার সেই শক্ত আবরণটাকে ছিঁড়ে ফেলে আবার পরের মাসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। যে কারণে মেয়েদের শরীরের ভেতরের একটা অঙ্গ ছিঁড়ে সেটা সেই রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া গড়ে ২৮ দিনের মধ্যে হয়।
যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে, তখন তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন- উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজায়। কোমর সরু হয়, উরু ও নিত্মদ ভারি হয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয় বড় হয়। এই পরিবর্তন গুলোই হচ্ছে মেয়েদের বড় হওয়ার লক্ষণ। মাসিক একটি মেয়ের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ১০-১৩ বছর বয়সে শুরু হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে ৪৫-৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। তবে কারও ৯ বছর বয়স থেকেও মাসিক স্রাব শুরু হতে পারে । মাসিক স্রাব শুরু হওয়ার প্রথম বছর গুলোতে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে । যদিও এ বয়স থেকেই মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারে, তবুও ২০ বছর বয়সের আগে শরীরের বৃদ্ধি পুরোপুরি না হওয়ার কারণে কম বয়সে গর্ভধারণ একটি মেয়ের ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।ঋতুস্রাব বা মাসিক কেন হয় স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসতে পারে মেয়েদের মাসিক কেন হয় ? যে জিনিসটা মেয়েদের প্রতি মাসেই হয় সেটা সম্পর্কে জানাটা জরুরী। আসলে মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষণ। সাধারণত ০৯-১৩ বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় এবং ৪৫-৪৯ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাত্ গড়ে ২৮ দিন পর পর মাসিক হয়। একে মাসিকচক্র বলে। কারো কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয়।মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে। একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয়। যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়। যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না। তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। কোনো আঘাত বা অসুখের কারণে এই রক্ত পড়ে না। এ বয়সে একটি মেয়ে যে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠছে এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করেছে, মাসিক তারই প্রমাণ ।
ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য, আসলে সহজ করে বললে প্রতি মাসে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যৌনি পথ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে যে রক্ত যায় তাকে মাসিক বা ঋতুস্রাব বলে। প্রতিমাসে মেয়েদের জরায়ু যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং প্রতিমাসে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে যে রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে, তাকেই মাসিক বা ঋতুস্রাব বলে৷ অথবা আর একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলতে মেয়েদের প্রতিমাসেই ডিম্বশয় থেকে ডিম্ব নিষিক্ত হয় আর এই ডিম্বটি নিষিক্ত হওয়ার জন্য ফিলুপিউন টিউবে দিয়ে জরায়ুতে এসে ১২-২৪ ঘন্টা কারো ক্ষেত্রে ৩৩-৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করে এর মাঝে পুরুষের শুক্রানু ডিম্ভর সাথে মিলিত না হলে ডিম্বটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে যোনিদাড়া বেড়িয়ে আশে (রক্ত হিসাবে যাকে মাসিক বা ঋরুস্রাব বা পিরিয়ড ও ইত্যাদি নামে চিনি ) এই প্রক্রিয়াকে ওভ্যুলেশন বলে।
মাসিক চলাকালিন যৌন মিলন ইসলামে হারাম। বিজ্ঞান ও ডাক্তারদের মতে ঔ সময় যৌন মিলন করলে মারাত্মক রোগ হতে পারে দুই জনেরই। তবুও না বুঝলে মন্তব্য রতে পারেন।আশা করি বুঝতে পারছেন।