শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

আশরাফুল মাখলুকাত স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আদম জাতের শরীরের মধ্যে কয়েকটি মোকাম আছে যা আল্লাহ তাআলার রহমত, বরকত, ফয়েজ ও নূর দ্বারা পরিপূর্ণ। উক্ত মোকাম সমূহের মধ্যে নফস একটি যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যে ব্যক্তি তার নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে সেই রহমত বরকত লাভ করেছেন। নফসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ ১) নফসে আম্মারা ২) নফসে লাওয়ামা ও ৩) নফসে মুৎমাইন্না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿يَٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفۡسُ ٱلۡمُطۡمَئِنَّةُ٢٧﴾ [الفجر: ٢٧] “হে প্রশান্ত আত্মা!” [সূরা আল-ফাজর, আয়াত: ২৭] ﴿وَلَآ أُقۡسِمُ بِٱلنَّفۡسِ ٱللَّوَّامَةِ٢﴾ [القيامة: ٢] “আমি আরো কসম করছি আত্ম-ভৎর্সনাকারী আত্মার!” [সূরা আল-কিয়ামা, আয়াত: ২] ﴿إِنَّ ٱلنَّفۡسَ لَأَمَّارَةُۢ بِٱلسُّوٓءِ﴾ [يوسف: ٥٢] “নিশ্চয় নাফস মন্দ কজের নির্দেশ দিয়ে থাকে।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫২] তাহলে নফস কি মুতমাইন্না, লাওয়ামাহ ও আম্মারাহ তিন রকমের? উত্তর: নফস মূলত একটি, তবে এর অনেক সিফাত তথা গুণ রয়েছে। ফলে নফসের গুণের হিসেবে এক একটি নাম দেওয়া হয়েছে। একে মুতমাইন্না (مطمئنة) বলা হয়েছে, যেহেতু সে তার রবের ইবাদত ও ভালোবাসায় মুতমাইন্ন তথা প্রশান্ত। আবার একে লাওয়ামাহ(لوامة) বলা হয়েছে, কেননা সে ব্যক্তির বাড়াবাড়িতে তাকে ভর্ৎসনা করে। আবার একে আম্মারাহ(أمّارة) বলা হয়েছে, যেহেতু সে অন্যায় কাজের আদেশ দেয়। বস্তুত অন্যায় কাজের নির্দেশ দেওয়াই হলো নফসের প্রকৃতি, তবে আল্লাহ যাকে তাওফিক দান করেন, যাকে হিদায়াতের ওপর স্থির রাখেন এবং সাহায্য করেন তার কথা আলাদা। নফসকে আবার কেউ কেউ পাঁচ ভাগে ভাগ করেন। যথাঃ ১) নফসে আম্মারা ২) নফসে লাওয়ামা ৩) নফসে মুৎমাইন্না ৪) নফসে মুলহেমা ও ৫) নফসে রহমানী। নফস কি ও কেমন? কতপ্রকার ও কি কি? নফস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=159164494245470&id=156710157824237 আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের নফসগুলোকে নফসে মুতমাইন্না(مطمئنة) করে দেন এবং আমাদেরকে তাঁর ইবাদত ও ভালোবাসায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আমীন।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ