আমি কয়েকদিন যাবত খুব দুর্বলতা অনুভব করছি,চেহারা নস্ট হয়ে গেছে,প্রচুর পরিমানে শুকিয়ে গেছি। সাথে মাএা অতিরিক্ত মাথার চুল এবং শরিল থেকে লোম পরে যাচ্ছে।।এখন কি করব আমি...?



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আমার মনেহয়, আপনার দেহে ভিটামিনের অভাব তাই এমন হচ্ছে। আশাকরি বেশি বেশি সুষম খাবার খেলে এই সমস্যা দূর হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শরীরের লোম বা মাথার চুল ঝরে পড়ার কারনঃ চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেশিয়া। এন্ড্রো মানে হলো হরমোন। আর জেনেটিক মানে হলো বংশগত। সুতরাং অনেক সময় হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। এবং বংশগত কারণে ও হয়। যেমন যাদের মাথায় টাক পড়ে, প্রায়ই দেখা যায়, তার বংশের কারো না কারো মাথায় টাক আছে। আবার যে বয়সটা বললাম, সেই বয়সে হরমোন এন্ড্রোজেন বেশি মাত্রায় প্রকাশ পায়। যার জন্য এই টাক পড়া শুরু হয়। মূলত হরমোন ও বংশগত কারণের জন্য চুল পড়ে। তা ছাড়া এই দুটো কারণ ছাড়াও অজ্ঞাত কারণেও টাক পড়ে বা চুল পড়ে যায়।


করনীয়ঃ

চুল বা শরীরের লোম পড়ার চিকিৎসা দুই ধরনের হতে পারে। প্রথমতঃ প্রাকৃতিক উপায়ে, 

দ্বিতীয়তঃ ওষুধের মাধ্যমে।

প্রাকৃতিক চিকিৎসা
প্রোটিন: চুল পড়া বন্ধের অন্যতম একটি উপাদান হলো প্রোটিন, কেন না চুল গঠনের অন্যতম উপাদান হলো কেরাটিন যা অ্যামাইনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরনের প্রোটিন। এই অ্যামাইনো এসিড নতুন চুল গজানোর জন্য সহায়তা করে। মাছ, মাংস,পনির, দুধ, ডিম, সয়াবিন, মটরশুটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি খাবারে প্রচুর অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়।
পানি: শরীরের পানির ঘাটতি হলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করার অভ্যাস করুন চুল পড়া কমে যাবে।
আদা রসুন ও পেয়াজের রস: এই তিনটি উপাদানের যে কোনো একটি আপনি চুলের গোড়ায় নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পরা কমাতে পারেন।
নিমপাতা: তাজা নিমপাতা বেটে তাতে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি প্রতি সপ্তাহে এক বা দুই বার এই থেরাপি অনুসরণ করলে চুল পড়া কমে যায়।
গ্রিন টি: গ্রিন টির দুইটি টি ব্যাগ এক কাপ পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে ফুটন্ত পানি ঠাণ্ডা করুন। এরপর এই ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া পানি টুকু আপনার চুলের গোড়াসহ সাড়া চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবং কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি নিতে পারেন।
কালোজিরা: মাথার নতুন চুল গজাতে কালোজিরা একটি অন্যতম উপাদান। নিয়মিত কালোজিরার তৈল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগান অথবা নিয়মিত কালোজিরা খেলেও উপকার পাবেন।
মেথি: ১ টেবিল চামচ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উটে বেটে তা মাথায় লাগান। হালকা ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন দেখবেন চুল পড়া কমে আসছে।
তাছাড়া হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
নিয়মিত প্রতিদিন ভিটামিন এ ও সি যুক্ত শাকসব্জি খাবেন। প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন-শিমের বিচি মটরশুটি, বরবটি মুরগি ডিম। তাহলেে শরীরের লোম পড়া ও কমে যাবে।

আর আপনি নিয়মিত প্রতিদিন ১৮ গ্লাস করে পানি পান করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ