আসসালামু আলাইকুম

আমার একটা প্রশ্ন হলো আমি একজন ছাত্র হয়ে কি নিজের ক্লাসের শিক্ষিকা কে বিয়ে করতে পারবো?।।এটি কি হালাল?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾ তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলা হয়েছেঃ আলোচ্য আয়াতসমূহে যাদের সাথে বিয়ে হারাম, এমন নারীদের বিবরণ দেয়া হয়েছে। তারা তিনভাগে বিভক্তঃ এক. ঐ সমস্ত হারাম নারী কোন অবস্থাতেই হালাল হয় না, তাদেরকে ‘মুহাররামাতে আবাদীয়্যা’ বা ‘চিরতরে হারাম মহিলা’ বলা হয়। এ জাতীয় মহিলা তিন শ্রেণীরঃ (১) বংশগত হারাম নারী, (২) দুধের কারণে হারাম নারী এবং (৩) শ্বশুর সম্পর্কের কারণে হারাম নারী চিরতরে হারাম। দুই. কোন কোন নারী চিরতরে হারাম নয়, কোন কোন অবস্থায় তারা হালালও হয়ে যায়। তাদেরকে ‘মুহাররামাতে মুআক্কাতাহ’ বা সাময়িক কারণে হারাম বলা হয়। এরা আবার দু' শ্রেণীতে বিভক্তঃ (১) পরস্ত্রী সে যতক্ষণ পর্যন্ত পরের স্ত্রী থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত হারাম। কিন্তু যখনই অপরের স্ত্রী হওয়া থেকে মুক্ত হবে তখনই সে হালাল হয়ে যাবে। (২) কোন কোন মহিলা শুধুমাত্র অন্যের সাথে একসাথে বিবাহ করা হারাম। ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিবাহ করা হারাম নয়। যেমন, দুই বোনকে একসাথে স্ত্রী হিসেবে রাখা। খালা ও বোন ঝিকে একসাথে স্ত্রী হিসেবে রাখা। , ★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত শিক্ষক যেহেতু তার গায়রে মাহরাম, তাই সেই শিক্ষককের সাথে বিবাহ জায়েজ আছে। শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই। , ★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ে এখন তার অভিভাবকদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করবে,তাদের মাধ্যমেই উক্ত শিক্ষকের দ্বীনদারী যাচাই করাবে। অবশ্যই পরিবার তাকে হেল্প করবে,ইনশাআল্লাহ। (আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
atm sumon

Call

জি পারবেন তবে শিক্ষিকা কি আপনার কাছে বিয়ে বসতে সেচ্ছায় রাজি?? 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

জ্বি আপনি আপনার শিক্ষিকাকে বিবাহ করতে পারবেন । তবে যদি আপনার সে স্বময়সী  হয় বা ২/৩ বছর কম বেশি হলেও সমস্যা নেই । আসলে মুল কথা হলো আপনারা দুইজনেই যদি আপনাদের বিয়েতে রাজি থাকেন ও আপনার ও ওনার ফেমিলির সদস্যরা রাজি থাকলে আপনারা বিবাহ  করতে পারবেন সমস্যা নেই  । 

তাছাড়া আমাদের নবী মোহাম্মদ তিনি ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের মহিলাকে বিবাহ করে সেক্ষেত্রে আপনি কেনো নয় । কাজেই সেক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেসি বয়সের নারীকে বিবাহ করাই সুন্নাহ । সুতারাং কোন ঝামেলা না থাকলে বিবাহ করে ফেলুন সমস্যা নেই । যদি না পারিবারিক , সামাজীক কোন সমস্যা বা বাধা না থাকে । আসা করি বুঝতে পারছেন । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ