বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা কেমন ছিল? বিস্তারিত লিখুন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

1.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে। তবে আর্চার কে ব্লাড কনস্যুল জেনারেলের নেতৃত্বে আমেরিকান অধিবাসীরা বাংলাদেশি সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবীদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানীদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একাধিক টেলিগ্রাম করে। নিক্সন প্রশাসন বাংলাদেশের গণহত্যার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকা এবং পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে সহযোগিতার বিরুদ্ধে তাদের অনেকেই অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ বিষয়ে নিক্সনের নীতির বিরুদ্ধে আমেরিকাতে জনগণের অবস্থান বদলে যায়। টেড কেনেডি, ফ্রাঙ্ক চার্চ ও উইলিয়াম বি. স্যাক্সবেসহ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক উভয় দলের আইনপ্রণেতারাই এ শোষণের বিষয়ে নিক্সনের হোয়াইট হাউজের সমর্থনের বিরোধিতা করেন। মার্কিন কংগ্রেস পাকিস্তানে অস্ত্র অবরোধ আরোপ করলেও নিক্সন হোয়াইট হাউজ গোপনে নৌবহর পাঠায় পাকিস্তানকে যুদ্ধে সহায়তার জন্য। মানে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা র পক্ষেই ছিল ।




2.চীন : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় দক্ষিণ এশিয়ায় জটিল ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চীন পাকিস্তানের পক্ষে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে নানা কারণে চীনের বৈরী সম্পর্ক এবং ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে চীনের তিক্ততা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছিল। এ অবস্থায় সোভিয়েত রাশিয়া ও ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিলে চীন দক্ষিণ এশিয়ায়র একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর বহু দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্য পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে চীন ১৯৭৪ সাল অবধি বিরোধিতা করেছে। 




3.সৌদি আরব : ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সমর্থন করে।তারা বাঙালী জাতীয়তাবাদীদের মুসলিম রাষ্ট্রবিরোধী এবং ইসলাম বিরোধী আখ্যা দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা শুরু করে। কিন্তু সৌদি আরব তখনো স্বীকৃতি প্রদান করেনি।


4.জর্দান : ১৯৭১ সালে জর্দানের রাজা হুসেন বিন তালালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান এর অংশগ্রহণকে উত্সাহিত করেছিলেন । রাষ্ট্রপতি নিকসন জর্দানকে পাকিস্তানে সামরিক সরবরাহ প্রেরণে উত্সাহিত করেছিলেন। নিক্সনের অনুমতি নিয়ে জর্দান দশটি এফ -104 বিমান পাঠিয়েছিল।

পাকিস্তান কে জর্দানের বাদশাহ যুদ্ধ বিমান দিয়ে সাহায্য করে জর্ডান।



5.শ্রীলঙ্কা :পাকিস্তান সেনাদের ট্রানজিটের সুবিধা দিয়েছিলো ।

শ্রীলংকা বাংলাদেশ থেকে কিছুটা দূরে। কিন্তু সে সময়ের বার্মা (এখনকার মিয়ানমার) অনেক কাছের, প্রকৃত অর্থেই প্রতিবেশী। সে দেশের সরকারকেও কিন্তু বাংলাদেশ তখন পাশে পায়নি, বরং তারা ছিল গণহত্যাকারীদের পক্ষে।দেশে দিনের পর দিন নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, অথচ এই দেশ কোনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা, পক্ষ নিল ঘাতকদের ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ