জনাম নকীব স্বীয় উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকায় কতিপয় বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। অন্যদিকে তার এক বন্ধু নাবিল তার এ কাজগুলোতে অংশ না নিয়ে বরং বলেন, নকীব সাহেব নেতা হওয়ার জন্য এসব করছেন।

নকীব সাহেবের মাঝে ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সমাজের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে স্বেচ্ছায় গৃহীত কাজকে সমাজসেবা বলে। ব্যাপক অর্থে মানব কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মসূচিই সমাজসেবা নামে পরিচিত। উদ্দীপকে জনাব নকীব স্বীয় উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকার কতিপয় বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। জনাব নকীব সাহেবের এই কাজটি সমাজসেবার অন্তর্ভুক্ত। 




ইসলাম সমাজসেবামূলক কাজের শুধু প্রশংসা করেনি, বরং মানুষকে সমাজসেবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, উদ্বুদ্ধ করেছে, নির্দেশ দিয়েছে। তাকে মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ঘোষণা করেছে। মুসলিমদের নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, তারা যেন সমাজসেবার মাধ্যমে জান্নাত অর্জন এবং জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। ইসলামে সমাজসেবার ধারণা এত বিস্তৃত, যেকোনো শ্রেণির মানুষের পক্ষে তা করা সম্ভব। ইসলাম সমাজসেবাকে কোনো স্থান বা সময়ের সঙ্গে আবদ্ধ করেনি, তাকে আর্থিক সেবায় সীমাবদ্ধ করেনি, শারীরিক শ্রমে সীমিত করেনি, বুদ্ধিবৃত্তিক পরিষেবায় সংকুচিত করেনি, বরং ইসলামে সমাজসেবার ধারণা একটি বিস্তৃত প্রাঙ্গণের মতো, যেখানে সব মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী অবদান রাখতে পারবে। ধনী-গরিব, শক্তিশালী-দুর্বল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবার অংশ রয়েছে তাতে।






সমাজসেবা মানবিক দায়িত্ব। সর্বস্তরের জনগণের উপকারে আসে এমন সব কাজের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই করা দরকার। যেমন-ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা, নতুন রাস্তা নির্মাণে সাহায্য করা, পুল সাঁকো নির্মাণ করা, রুগ্ন ব্যক্তির সেবা করা, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, রাস্তার পাশে ছায়াদার বৃক্ষ রোপণ করা, বৃক্ষ সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। জনসেবা দ্বারা আল্লাহতায়ালার সাহায্য লাভ করা যায়। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, "আল্লাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে।" ( মুসলিম)


(রেফারেন্স: অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্য বই ইসলাম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ