একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সর্ব দেশকে ভালোবাসা ও দেশের প্রতি অনুগত থাকার মন মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে হবে।
দেশের আইন শৃংখলা মেনে চলতে হবে।
একজন সুনাগরিক হিসাবে কি কি দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে তা জানতে হবে।
নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
একজন সুনাগরিক হিসাবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রের সকল ভালো কাজের সাপোর্ট করতে হবে।
খারাপ কাজের গঠনমৃলক সমালোচনা করতে হবে যাতে সেগুলো সংশোধন করতে পারে।
সুশিক্ষিত হয়ে বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাতে হবে।
আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কি আমরা সুনাগরিক হতে পেয়েছি? আসলে সুনাগরিক হওয়ার জন্য বেশ কিছু গুণ থাকা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত যে সকল ব্যক্তির মাঝে এই গুণাবলী থাকবে শুধুমাত্র সে সকল ব্যক্তিকে আমরা সুনাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করব।
একজন সুনাগরিক ব্যক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি সর্বদা দেশ ও জাতির লক্ষ্যে কাজ করে থাকে তাই আমরা অবশ্যই সুনাগরিকের গুণাবলী সম্পর্কে জানব।
বুদ্ধিঃ বুদ্ধি একজন সুনাগরিকের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সম্পদ অর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় হলো শিক্ষা লাভ করে জ্ঞান অর্জন করা। বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আত্নসংযম: আত্নসংযম নাগরিকের অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও নিয়ম মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে। আত্নসংযম ছাড়া সুনাগরিক হওয়া সম্ভব নয়।
আত্নসংযম নাগরিকের নিযমকানুন মেনে চলে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে। দেশেে স্বার্থে নিজের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় অন্যায় কাজও দলীয় সার্থ থেকে বিরত থাকে এবং রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করে।
বিবেক: বিচার ভালো-মন্দের জ্ঞান ও দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞানকে বিচার বলে। একজন সুনাগরিকে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্নসংযম হলে চলবে না। যে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে কাটি ভালো না মন্দ। মন্দ কাজটি পরিহার করে ভালো কাজটি করতে হবে।
এ ছাড়া সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে নাগরিককে তার বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবেক হলো সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি।
এছাড়া সুনাগরিকের আরো কিছু গুণ থাকে।
যেমন: নাগরিক দেশের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো ক্ষমতা থাকে, আই -শৃঙ্খলা মানে আত্নবিশ্বাসী ও মনোভাবের অধিকারী হয় এবং দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখে।
উল্লেখিত গুনগুলো একজন সুনাগরিকের থাকে যার জন্য নাগরিক সুনাগরিকে পরিণত হয়।