১.শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য কখনো কারু সঙ্গে ডেট করবেন না। আমি সকল ১৮+ বছরের উপরের ছেলেদের বলছি, যারা শুধুমাত্র ১৪-১৬ বছরের মেয়েদের সঙ্গে রিলেশনে জোরে যায়। আমি আপনাদের বলছি এই হালকা বয়েসের আবেগপ্রবণ মেয়েরা আপনার প্রতি দুর্বল হতেই পারে। যদি তাই হয়, শুধু তাদের একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় দিন কিন্তু তাদের নোংরা করবেন না। এটি তাদের গড়ে উঠার সময়, তাদেরকে গড়ে উঠতে দিন। শুধুমাত্র আপনার ভার্জিনিটির সুখ আশ্বাদনের জন্য তাদের সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে এমন কালি দিবেন না। 



২.এমন কখনো কাউকে ভালোবাসতে যাবেন না, যে এখনো তার প্রাক্তনকে ভুলতে পারেনি। এটি আপনার জন্য একটি হালকা গতি সম্পন্ন বিষাক্ত বিষের কাজ করবে , যেটা আপনার আত্মকে নীরবে নীরবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিবে। খুব কম ক্ষেত্রেই হয় সে তার প্রাক্তনকে ভুলে আপনাকে ভালোবাসবে। তবে ১০০% ক্ষেত্রেই আপনাকে অনেক দুঃখ্য বরণ করতে হবে।



 ৩.আপনার মাতাপিতা অশিক্ষিত হওয়ার কারণে আপনি কখনো লজ্জিতবোধ করবেন না। যদি দুই জন অশিক্ষিত ব্যক্তি আপনার মতো একজন সুশিক্ষিত সন্তান জাতিকে উপহার দিতে পারে, তবে ভেবে দেখুন তারা কতটা যোগ্য। তারা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছে আপনার জীবনের প্রথম পায়ের ধাপটি এগিয়ের দেওয়ার। এখন আপনার দায়িত্ত্ব তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে কিভাবে বর্তমান যুগে আধুনিক সমাজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।


 ৪.কখনও আপনার ক্যারিয়ারের চেয়ে প্রেমকে বেশি প্রাধান্য দিবেন না। প্রেম এবং ক্যারিয়ারের মধ্য যদি আপনি প্রেমকে বেছে নেন। তারপর আপনারা দুজনেই ফুটপাতে চলে আসবেন একসাথে হাত ধরে। বা ! কত সুন্দর রোমান্সর ঠিক না ? সুতরাং যদি প্রশ্ন উঠে ক্যারিয়ারের তবে প্রেমকে দূরে ঠেলে দিন।



 ৫.কখনোই ওভার স্মার্ট হতে যাবেন না। কেন আপনি নিজেকে নিয়ে বেশি গর্বিত অনুভব করবেন, যেখানে মৃত্তুর পর আপনি স্বয়ং আপনার শরীরকে বইতে সক্ষম নয়। আপনার দেহের সৎকারের জন্য কেউ না কেউ সাহায্য করবে। 


৬.কারো বর্ণ (কাস্ট) শরীরের রং ইত্যাদি নিয়ে কখনো অবজ্ঞা প্রকাশ করবেন না। আপনি বিবাহের পূর্বে কাস্ট সম্পর্কে জানতে চান, মন্দিরে কাউকে প্রবেশের পূর্বে কাস্ট সম্পর্কে জেনে নেন। তবে হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজনের মুহূর্তে কেন রক্তদাতার কাস্ট জানতে চান না ?


 ৭.সবসময় নিজেকে সৎ এবং ভদ্র রূপে উপস্থাপন করবেন না। সৎ ও ভদ্র ব্যাক্তিই প্রথম নির্বাচিত হয় বোকা বানানোর জন্য। কোনো কাজে পরাজয়কে কখনো অবমূল্যায়ন করবেন না। শুধুমাত্র একটি ব্যর্থতা আপনাকে সাফল্যের সঠিক দৃষ্টিকোণ দেয়। 


৮.কাউকে কখনও তাদের শারীরিক ফিগারের জন্য ঠাট্টা তামাশা করবেন না। যদি সে মোটা হয় কিন্তু সেত আপনার বাবার অর্থ খায় না। যদি তার শরীরের বর্ণ কালো হয়ে থাকে কিন্তু তার হৃদয়ত আপনার চেয়েও সহানুভুতি সম্পন্ন হতে পারে।



 ৯.সবসময় লোকদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। তাহারা শুধু ওটাই বিশ্বাস করতে ভালোবাসবে যা তারা চাইবে। আপনি যখন নিজেকে মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করবেন, এবং শুধুই নিজের জন্য কাজ করবেন দেখবেন আপনি অনেক সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে