শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Pallab73

Call

কিছু কিছু আইসোটোপ আছে যাদের নিউক্লিয়াস স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে আলফা, গামা, বিটা রশ্মি নির্গত হয় সেসব আইসোটোপকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে। 


আলফা কণা বিক্ষেপণ এবং প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে ১৯১১ সালে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণুর একটি মডেল উপস্থাপন করেন। যাকে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল বলা হয়। 


আলফা কণা বিক্ষেপণ পরীক্ষায় ৬×১০-৬  পুুুরু স্বর্ণ পাতের উপর তেজস্ক্রিয় পলোনিয়াম হতে নির্গত আলফা কণা বিক্ষেপণ করা হয়। স্বর্ণপাতের পিছনে জিংক সালফাইডের(ZnS) পর্দা রাখা হয়। 


পরীক্ষা থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেঃ

  1. প্রায় ৯৯% আলফা কণা স্বর্ণের পাত অতিক্রম করে সোজা চলে যায় এবং জিংক সালফাইডের পর্দাকে আলোকিত করে। তাই,  বলা যায়, পরমাণুর যথেষ্ট পরিমাণ ফাঁকা স্থান আছে। এজন্য অধিকাংশ আলফা কণা স্বর্ণের পাত ভেদ করে চলে যায়। 
  2. কিছু সংখ্যক(২০০০০টির মধ্যে একটি) কণা ৯০° বা তার বেশি কোণে একবারে ফিরে আসে। যেহেতু আলফা কণা ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট। আমরা জানি,    ধনাত্মক চার্জ ধনাত্মক চার্জকে বিকর্ষণ করে। এতে প্রমাণিত হয় যে পরমাণুর অভ্যন্তরে পরমাণুর সকল ধনাত্মক কণা তথা পরমাণুর ভিতর অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে একত্রে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। একে পরমাণুর নিউক্লিয়াস বলে। তাই, আলফা কণা  নিউক্লিয়াসে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসে।   
  3. নিউক্লিয়াসের ভর মৌলের পারমাণবিক ভরের প্রায় অর্ধেক এবং পরমাণুর সমগ্র ভর নিউক্লিয়াসেই কেন্দ্রীভূত।                                                             
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ