শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call
বর্তমানে শিয়াদের মধ্যে কিছু উপদল আছে ... তারা হযরত আলী রাঃ কে, হাসান রাঃ, হুসাইন রাঃ কে বা তাদের ১২ ইমামদের কে নিয়ে নানা রকম শিরকমূলক ধারনা পোষন করে, এই কারণে এরা কাফের। তবে ইয়েমেনী শিয়ারা / জায়দী শিয়ারা রাজনৈতিক কারণে শিয়া বলে পরিচিত কিন্তু তাদের আকীদার সাথে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর মিল আছে। তারা কাফের নয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্নঃ
আপনি এতো শিয়া শিয়া করেন কেন? এই ক্রান্তিকালে উম্মাহর ঐক্য নষ্ট করা কি ঠিক?
উত্তরঃ
অবশ্যই উম্মাহর ঐক্য নষ্ট করা ঠিক না। উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু আগে এটা বুঝতে হবে যে কারা “উম্মাহ” এর অন্তর্ভুক্ত। যারা উম্মাহর অন্তর্ভুক্তই না, তাদেরকে ‘উম্মাহ’ বিবেচনা করে তো উম্মাহর ঐক্য হয় না।
.
প্রশ্নঃ
হায় হায়, তার মানে আপনি বলত চান শিয়ারা উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত না? তারা কাফির??!!
উত্তরঃ
মূলধারার শিয়া আকিদা এক প্রকারের কুফরী আকিদা। কারো আকিদার মধ্যে#বড়_কুফর থাকলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। নিঃসন্দেহে যারা “শিয়া আকিদায় বিশ্বাস করে” – তারা কাফির। তারা কোনোক্রমেই উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত নয়।
.
প্রশ্নঃ
শিয়ারা কী এমন বিশ্বাস করে যা বড় কুফরের মধ্যে পড়ে??!!
উত্তরঃ
তারা সাহাবায়ে কিরাম(রা) গণকে গালি দেয় ও কাফির বলে। তারা আল্লাহর কিছু সিফাতকে তাদের ইমামের উপর ন্যাস্ত করে শির্ক করে। তারা আল কুরআনকে বিকৃত মনে করে। তারা হাদিস মানে না, তাদের ইমামদের নামে বানানো কিছু বানোয়াট কথাকে হাদিস বলে চালায়। তাদের আকিদায় আরো অজস্র কুফর আছে, তাদের আমলে অজস্র বিদআত তো আছেই। উপরে যেগুলো বললাম এগুলোই তাদের কাফির হবার জন্য যথেষ্ট। যারা শির্ক করে, যারা দ্বীনের ধারক-বাহকদেরকে কাফির বলে, কুরআন-হাদিসকে মানে না – তারা কী করে মুসলিম হয়?
.
প্রশ্নঃ
আরে, এগুলো হয়তো কিছু এক্সট্রিম শিয়ার অভিমত। এক্সট্রিম লোকজন সবার মাঝেই আছে। সব শিয়াই যে এই আকিদা পোষণ করে তা কী করে বুঝলেন?
উত্তরঃ
শিয়াদের ব্যাপারে যা বলেছি সব তাদের মূলধারার অনুসৃত কিছু কিতাব থেকে বলেছি।

উসুলুল কাফি [আল কাফি কিতাবের ১ম অংশ ] কিতাবে এইসব কথা আছে। এটা ইসনা আশারিয়া (১২ ইমামিয়া) শিয়াদের নিকট সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশুদ্ধ "হাদিস" গ্রন্থ। এরাই হচ্ছে মূলধারারা শিয়া, ইরানের শিয়া। এই "হাদিস" এর কিতাব ছাড়া তারা তাদের দ্বীন পালন করতে পারে না। দেখুন এই কিতাব সম্পর্কে তাদের ওয়েবসাইটে কী বলা হয়েছেঃ
.

<<Al-Kāfī (Arabic: الکافي) is one of hadith collections of Twelver Shi'a. It is the most important and authentic collection among the Four Books. ... It also could have been named Al-Kafi due to a report that when it was presented to Imam al-Mahdi (a), he said, "Al-Kafi is Kafi (i.e. sufficient) for our Shi'a." >>
.

এ ব্যাপারে শিয়া আলেমদের আরো অভিমত দেখুন এখানেঃ http://en.al-shia.org/content/what-book-al-kafi-1

.
উসুলুল কাফি হচ্ছে শিয়াদের আকিদার কিতাব। তাদের আকিদার রেফারেন্স দিতে হলে এই কিতাব থেকেই দিতে হবে। এই আকিদা না মানলে সে মেইন্সট্রিম শিয়াই না।

.
<< Uṣūl al-kāfī (Arabic:أصول الكافي) is the title of the first part of the three parts of al-Kafi, a major Shiite book in hadith. In this part of al-Kafi, we can find hadiths concerning the beliefs of Shiites, the biographies of Imams (a), and how a Muslim should behave.
Usul al-kafi is the most significant source of hadiths for the Shiite beliefs. >>
http://en.wikishia.net/view/Usul_al-kafi_(book)
.

শিয়াদের বিভিন্ন কুফরী আকিদার উল্লেখ আছে “রিজালুল কাশি” কিতাবে। শিয়াদের রিজালের অন্যতম প্রধান উৎস হল 'রিজালুল কাশি'।
http://en.wikishia.net/view/Ikhtiyar_ma%27rifat_al-rijal_(book।।
.

তাফসিরুস সাফী শিয়াদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাফসির যা তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য "হাদিস" এর আলোকে লেখা। এই তাফসির থেকে তাদের আকিদার রেফারেন্স দেয়া হয়। এতে নানা কুফরী কথা আছে।
http://en.wikishia.net/view/Tafsir_al-safi_(book)
.
শিয়া আলেম হোসাইন আন-নুরী আত-তাবারসী আল কুরআনকে বিকৃত প্রমাণ করে বহু কথা লিখেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। তার ‘ফসলুল খিতাব’ সম্পর্কেঃ
http://www.twelvershia.net/2018/02/06/mirza-al-nuri-tahreef/
.

এই সকল নির্ভরযোগ্য শিয়া সোর্স থেকে তাদের কুফরী আকিদার ব্যাপারে বলা হয়। তাদের কোনো বিচ্ছিন্ন গ্রুপের মত থেকে নয়।
.
প্রশ্নঃ
আরে, সুন্নীদেরও মধ্যেও তো অনেক বিদআতি, শির্ককারী আছে। এই জন্য কি সুন্নীদেরকেও কাফির বলে দেবেন?

উত্তরঃ
সুন্নী নামধারী কারো আকিদায় ভুল থাকলে সে সুন্নী না। সুন্নী দাবি করলেই কেউ সুন্নী হয় না। যারই আকিদায় গলদ থাকুক - সে বিভ্রান্ত। নিজেকে শিয়া দাবি করুক কিংবা সুন্নী। সুন্নী আলেম ও দাঈরা এইসব বিদআতির ব্যাপারেও উম্মাহকে সতর্ক করেন। সুন্নী নামধারী বলে ছাড় দেন না। এইখানে সুন্নীদের সাথে শিয়াদের বিভ্রান্তির তুলনা দেয়া মারাত্মক ভুল কাজ। সুন্নী আলেম ও দাঈগণ মূলধারার শিয়া (ইসনা আশারিয়া বা ১২ ইমামিয়া) দের কিতাব থেকে রেফারেন্স দিয়ে তাদের কুফরীর ব্যাপারে উম্মাহকে সচেতন করছেন। যেগুলো তাদের মান্যকৃত আকিদার কিতাব। কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিচ্ছিন্ন মত না।
.
অপরদিকে সুন্নীদের মূল্ধারার আকিদার কিতাব [যেমনঃ ফিকহুল আকবর, আকিদাতুত তাহাবী, লুমআতুল ইতিকাদ] থেকে কেউ কখনো এমন শির্কি জিনিস দেখাতে পারবে না। কিছু নামধারী সুন্নীর দ্বারা বিদআত হয় যাদের আহ্লুস সুন্নাহর মূল্ধারার আকিদার কিতাবগুলোর সাথে আদৌ সম্পর্ক নেই। আহলুস সুন্নাহর উলামাগণ তাদেরকে রদ করে বহু লেখালেখি করেছেন।
এখানে শিয়া ও সুন্নীদের বিভ্রান্তির ব্যাপারটি মোটেও তুলনীয় নয়।
.
প্রশ্নঃ
তার মানে আপনি বলে দিচ্ছেন ১০০% শিয়াই কাফির?
উত্তরঃ
কোনো শিয়া যদি অজ্ঞতার জন্য নিজ আকিদা না জেনে অন্তরে বড় কুফর পোষণ না করে, সুন্নীদের দেখাদেখি দ্বীন ইসলামের মূল আকিদাগুলো পোষণ করে – তাদেরকে আমরা কাফির বলি না। শিয়াদের একটা ছোট ফির্কা আছে, যায়েদি ফির্কা। তাদের আকিদায় বড় কুফর নেই। তারা বিদআতি হলেও কাফির নয়। কিন্তু মূলধারার অধিকাংশ শিয়াদের ব্যাপারে আমরা মোটেও তা বলতে পারি না!
.
প্রশ্নঃ
আরে, শিয়ারা যদি কাফিরই হয়ে থাকে, তারা তাহলে হজে যায় কী করে? কাফিরদের কি মক্কায় ঢুকতে দেয়?
উত্তরঃ
হজ একটা বিশাল সম্মেলন। এখানে সহজে কাউকে ঢুকতে বাধা দেয়া যায় না। কারো নাম দেখে বোঝা যায় না কে শিয়া আর কে সুন্নী। আর তা ছাড়া শিয়াদের কিছু ফির্কা যেহেতু কাফির নয়, সে জন্য তারা বেনিফিট অব ডাউট পায়। এ জন্য তারা হজে যেতে পারে। এ ব্যাপারে শায়খ আসিম আল হাকিমের আলোচনাটি দেখতে পারেনঃ
https://youtu.be/H3I4N_MXUaI
হজ করতে ঢুকতে পারলেই তো আর কারো আকিদা শুদ্ধ হয়ে যায় না। কারো আকিদা নির্ণীত হয় কুরআন-সুন্নাহর সাথে তুলনা করে। বাংলাদেশের নাস্তিক মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদও তো হজ করেছিলো। এতেই কি সে মুসলিম হয়ে গেলো?
.
প্রশ্নঃ
আপনি নিজে নিজে কাফির বলে দিলেই হল? পূর্বযুগের বা এই যুগের কোনো বড় আলেম শিয়াদেরকে কাফির বলেছেন?
উত্তরঃ
কোন আলেম শিয়াদেরকে কাফির বলেননি সেটা বলুন?
শিয়া (রাফিযী)দেরকে ইমাম মালিক(র) কাফির মনে করতেন। কেননা তারা সাহাবীদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। তিনি এ ব্যাপারে কুরআন থেকে দলিল নিয়েছেন।
[দেখুনঃ তাফসির ইবন কাসির (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), ১০ম খণ্ড, সুরা ফাতহের ২৯ নং আয়াতের তাফসির, পৃষ্ঠা ৩৭২]
.
গত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ, সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ(র) নাম ধরে ধরে শিয়াদের ইসনা আশারিয়া, নুসাইরিয়া, ইসমাঈলিয়া – এইসব ফির্কাকে কাফির বলেছেন।
[https://tinyurl.com/yxom3snd ]
.
প্রশ্নঃ
আপনি শিয়াদের নিয়ে এতো মাতামাতি করছেন ওদিকে কাফিররা মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, হত্যা করছে। এমন সময়ে শিয়াদের কুফরী নিয়ে আলোচনা কতটুকু যৌক্তিক? শিয়াদের সাথে ঐক্য করাই কি এখন করণীয় নয়?
উত্তরঃ
শিয়াদের কুফরী নিয়ে আলোচনা থামিয়ে দিলেই কি কাফিররা মুসলিমদের উপর নির্যাতন বন্ধ করবে? কেউ যদি শিয়াদেরকে উম্মাহর অংশ মনে করে, তাদের কুফরী আকিদা জেনেও যদি তাদেরকে মুসলিম মনে করে – এ দ্বারা তার আকিদা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়। আমাদের কি উচিত না মানুষকে আকিদাগত ত্রুটি থেকে সচেতন করা? আকিদা ঠিক না হলে উম্মাহ মুক্তির পথে অগ্রসর হবে কী করে? আর ঐক্যের কথা বলছেন, ঐক্য তো হবে মুসলিমের সাথে মুসলিমের। যদি ধরে নেন মধ্যপ্রাচ্যে শিয়ারা কাফিরদের বিরুদ্ধে “জিহাদ” করছে, তাহলে বড় ভুল করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রসারণবাদ নিয়ে হয়তো পশ্চিমাদের সাথে শিয়াদের কিছু দ্বন্দ্ব হচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা মুসলিম উম্মাহর বন্ধু। তাদের হাতে কী পরিমাণ সুন্নী নিহত হয়েছে এর পরিসংখ্যান দেখুন।
.
উম্মাহ তো অনেক সময়েই শিয়াদেরকে বিশ্বাস করেছে। কিন্তু তারা সবসময়েই উম্মাহর পিঠে ছুরি মেরেছে। উম্মাহর জন্য জিহাদ করেছেন নুরুদ্দিন জানকি(র), সালাহুদ্দিন আইউবী(র), সাইফুদ্দিন কুতুজ(র), মুহাম্মাদ আল ফাতিহ(র) প্রমুখ মহাবীর। শিয়ারা কখনো উম্মাহর জন্য কিছু করেনি। তারা কখনো জিহাদ করেনি। উল্টো উম্মাহর অপূরণীয় সব ক্ষতি করেছে। ক্রুসেডাররা শত শত বছর ধরেও আব্বাসী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদের কিছু করতে পারেনি। শিয়ারা আব্বাসী খিলাফতে উচ্চ পদ পেয়ে বেঈমানী করে মোঙ্গল আর ক্রুসেডারদেরকে ডেকে এনে বাগদাদকে ধ্বংস করে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। উম্মাহর স্বর্ণযুগের সমাপ্তি ঘটিয়েছে। তারা যুগে যুগে উম্মাহর সাথে বেঈমানী করেছে। ইতিহাস পড়ুন। ইতিহাস জানলে শিয়াদের সঙ্গে ঐক্যের দিবাস্বপ্ন কেটে যাবে। ঐক্য তো হয় কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে। ঈমান আর কুফরের মাঝে ঐক্য হয় না। মুসলিম উম্মাহ তথা আহলুস সুন্নাহর মাঝে ঐক্যের কথা চিন্তা করুন। এর মাঝে কল্যাণ আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ