অনেকে বলে তাবলীগ জামাত ভালো, তারা দ্বীন শিখে ও দীনের দাওয়াতের কাজ করে,,,আবার অনেকে বলে এদের কোনো খাইয়া দাইয়া কাজ নাই তাই তারা বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়ায় আর পিকনিক করে,,,এরা নাকি কিচ্ছা কাহিনী বলে বেড়ায় , আর এরা নাকি বেদায়াতি কাজ করে এটা নাকি রাসূল(সঃ) ও তার সাহাবায়ী কেরাম এসব দাওয়াত দিতেন না । তাবলীগের যে কিতাবগুলো পড়ে( ফাজায়েল আমল ও ফাজায়েল সাদাকাত) এইগুলা নাকি ভুল।। তাই তাবলীগ জামাত সম্পর্কে বিস্ময়ে কার কি ধারণা জানতে চাই? এরা কি সঠিক পথে আছে নাকি ভুল পথে? সবার মতামত জানতে চাই?    


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sayem765

Call

ভাই আপনি সবচেয়ে ভালো করতেন এটা একজন আলেম কে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে।


সকল কিছুর পক্ষে বিপক্ষে লোক থাকবেই, বিপক্ষে লোক আছে বলে এই নয় যে সেটা ভুল,, হযরত মোহাম্মদ সঃ এর বিপক্ষে ও লাখ লাখ লোক ছিল, তো তাতে কি সে তার কাজ বন্ধ রেখেছেন?

আর যারা বলেন তাবলীগ জামাত ফালতু, পিকনিক, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন যে সে কয়দিন তাবলীগ জামাতের সাথে ছিল।

আপনি সুস্থ মাথায় চিন্তা করুন যে একদল মানুষ নিজের কাজ রেখে অন্য অপরিচিত এলাকায় গিয়ে আপনার আমার পেছনে ইসলাম এর জন্য মেহনত করছে,এমন তো না যে আপনি আমি তাদের খুশি হয়ে টাকা পয়সা দিব,তার জন্য তারা এটা করে না, একজন মুসলিম হিসেবে এটা তার, আপনার আমার, ঈমানি দায়িত্ব।


কিন্তু তা পালন করে কয়জন? আপনার বন্ধু নামাজের সময় আড্ডা দিচ্ছে সে ও চাইবে আপনিও তার সাথে আড্ডায় যোগ দেন।

আর হযরত মোহাম্মদ সঃ কাফের দের দাওয়াত দিয়েছেন কিন্তু এখন দেখেন কাফের দের থেকে মুসলিম দের অবস্থা খারাপ,তাই কাফের দের আগে আমাদের মুসলিম দের আগে ঠিক হওয়া প্রয়োজন,, এজন্যই একদল মানুষ নিজের কাজ ঘর সংসার ছেড়ে আপনার পিছনে লেগে আছে আপনাকে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর জন্য।


আর ভাই জানেন তো হাদিস এ আছে,হযরত মোহাম্মদ সঃ বলেছেন আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ টা দল হবে যার একটি জান্নাতি বাকি সব জাহান্নামি।

আর এখন শয়তান এই তাবলীগ জামাত এও দল বানিয়ে ফেলেছে,,তাই এখন একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে আপনার আমার উচিৎ আলেম দের অনুসরণ করা কারন তাদের মধ্যে কোরআন হাদিস এর আলো আছে।



আমি একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে আমার মতামত দিলাম, আপনি সবচেয়ে ভালো করবেন একজন আলেম এর কাছে গেলে, ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল দল হলো জমিয়তে আহলে হাদিছ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
NilHasan

Call

তাবলীগ জামাতের ন্যায় দুরে যেয়ে ৪০ দিন দুরে থেকে দ্বীন প্রচার করা সুন্মাহর পরিপন্থী।

এছাড়াও তারা নির্ধারিত সময়ে চিল্লায় জান। ৩/৭/৪০ দিনে। আর তারা এই নির্ধারিত সময়ের জন্যে নানা ফযিলত ব্যক্ত করেন। যেই কারনে এই নির্ধারিত সময়ের ফলে এই চিল্লা বিদাত বলে গন্য হব্র বলে কিছু কিছু আলেম মত দিয়েছেন।

আর বেশির ভাগ সময় তারা সহীহ হাদিসকে লুকিয়ে রেখে পীর-মুরশিদের কিচ্চা কাহিনী ব্যক্ত করেন। যেসবে ইসলামের কোন স্থান নেই। এছাড়াও প্রচলিত তাবলীগ জামাত বানায়েট কথা বলে থাকে তাদের বইয়ে। উদাহরণ সরুপ দেখতে পারেন টংগী ইজতেমা, আখিরি মোনাজাত নিয়ে তারা নানা ফযিলত ব্যক্ত করেছেনে তাদের বইয়ে। যেমন টংগীতে এক রাকাত নামাজ হলো ৫০ হাজার গুন বেশি সাওয়াব, সাথে বলে আখিরী মোনাজাত হলো গরিবের হজ্ব, দোয়া কবুলের স্থান ইত্যাদি। 


তবে তারা নিজের অর্থ ব্যয় করে ইসলামের জন্যে খিদমতের চেষ্টা করে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তারা সত্য দ্বীন প্রচার করলে এবং সকল শিরক-বিদাত, কিচ্চা কাহিনী ও বানায়েট হাদিস না বললে তাদের সাথে থাকা আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বলেছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

ভাই তাবলীগ জামাত, আগে ভাল ছিল এখন এটি দুইভাগে বিভক্ত,


(১) জিহাদি


(২) এইটার নাম ঠিক মনে পড়ছেনা  সম্ভব আজাদি বা স্বাধারণ,


এই দুই দলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগে  ।


সাথে জুটেছে কাদিয়ানী ও অন্যান্য নামধারী বেশ কিছু দল এবং এই নিয়ে কিছুদিন আগে টুঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারামারি লাগে এবং কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয় ।


নিউজ খুজলেই পাবেন  ।


এই মূহুর্তে ভাল দল কোনটি জানতে চাইলে তা পারবেন না ।


একদল বলবে আমাদের দলে আসেন আমাদেরটা সত্য।।


সুতরাং এইভাবে তাবলিগে না জড়িয়ে আপনাদের মসজিদ থেকে মানুষ কে ইসলামের দাওয়াত দিতে  আপনাদের এলাকাতেই অন্যান্য মসজিদে যান আগে নিজেদের এলাকা ঠিক করুন এরপর না হয় অন্য এলাকাই যাবেন আর নিজেদের মত হালাল  তরিকাই চেষ্টা করাই উত্তম বলেই আমার মনে হয়  ।


-ধন্যবাদ ভাই

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাবলীগ জামাআতের উসিলায় অনেক মানুষ দ্বীনদার হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশে এই দাওয়াতী কাজ চলছে। এটি ভাল কোন সন্দেহ নেই। যারা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তুলছে তাদের উল্টো প্রশ্ন করুন আপনার মাধ্যমে কতজন আল্লাহকে চিনেছে ? কতজন দ্বীনদার হয়েছে ? কিন্তু দাওয়াতে তাবলীগের মেহেনতের কারণে আল্লাহ অনেক ভাই বোনকে দ্বীনের বুঝ দান করছেন। কিছু স্পর্শকাতর বিষয় মানে যেসব বিষয় সাধারণ মানুষ বুঝবে না আলেমরা ছাড়া.... সেসব কিছু ইর্স্যু নিয়ে নিজেদের মত করে সাজিয়ে দাওয়াতে তাবলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sakib Ahmed

Call

তাবলিগ জামাতের সদস্যদের তাদের নিজস্ব ফিকহ অনুসরণে কোন বাধা দেওয়া হয় না, যতক্ষণ না তা সুন্নি ইসলাম হতে বিচ্যুত হয়।[১৩][৩৩] তাবলীগ জামাত দাওয়াতের উদ্ধৃতির মাধ্যমে এর উদ্দেশ্যকে সংজ্ঞায়িত করে, যা হল ইসলামের প্রচার বা ধর্মান্তরিতকরণের আহ্বান। তাবলীগ জামাত দাওয়াতকে শুধুমাত্র সৎকাজের আদেশ আর অসৎকাজের নিষেধ হিসেবে ব্যাখ্যা করে। তাদের মতে, মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছিলেন; কিন্তু যেহেতু মুহাম্মদ আল্লাহর শেষ বাণীবাহক, তার পরে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, তাই নবী মুহাম্মদ বিদায় হজের ভাষণে মুসলমানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্বটি দিয়ে গিয়েছেন।[৩৭][৩৮][৩৯]তাবলিগ জামাত দাওয়াতের এই উদ্দেশ্যকে দুটি নির্দিষ্ট আয়াতের আওতায় সংজ্ঞায়িত করে, যাতে উক্ত লক্ষ্যের উল্লেখ রয়েছে।[৪০] এই দুইটি আয়াত হল:[৪১][৪২]

তাদের মতে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলামী নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর পর সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের মাধ্যমে ইসলামী জীবন বিধান প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম আরো বিস্তৃতি লাভ করে,[৩৮] কিন্তু মুসলিম শাসকদের ক্ষমতা বিলুপ্তির পর ইসলামী প্রচার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে, যা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম মনীষীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল; আর অনুরূপ চিন্তাধারা থেকে মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ভারতের দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন,[২৬] যার প্রচেষ্টার ফলে তাবলিগ জামাত একটি বহুল প্রচারিত আন্দোলনে রূপ নেয়।[৬][৮][১০] তাবলিগ জামাত সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়াকে তাদের প্রধানতম উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকে।[৪৪][৯][১৩][১৫][৩৫]

তাবলিগ জামাত সকলকে দাওয়াতের ইসলামী চাহিদা পুরণ করতে উৎসাহিত করে, যদিও কোন ব্যক্তি শক্তিশালী ধর্মীয় বুদ্ধিবৃত্তির অভাবসম্পন্ন হয় তবুও। এই বৈশিষ্টটি ছিল অন্যান্য ইসলামী আন্দোলন থেকে আলাদা, যেগুলো প্রধানত ওলামা পরিচালিত এবং যাতে নেতৃত্বের ভূমিকা ধর্মীয় পণ্ডিতদের মধ্যে বিস্তৃত ছিল। এছাড়াও ধর্মপ্রচারের জন্য ইসলামী পাণ্ডিত্যের সর্বোচ্চ মানদণ্ড অর্জন করা পূর্বশর্ত হওয়ার যে নেতৃস্থানীয় মতবাদ আছে, তাবলীগ জামাত তা অস্বীকার করে এবং তারা দাওয়াত দেওয়াকে আত্মসংশোধনের একটি ক্রিয়াকৌশল হিসেবে হিসেবে প্রচার করে।[৪৫]

সালাফিদের মতই, তাবলীগ "তাদের চারপাশের 'অধার্মিক' সমাজ থেকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিচ্ছেদ" কামনা করে। তাবলিগ জামাতের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে বেশিরভাগ খুতবায় সুষ্পষ্টরূপে বলা হয়ে থাকে যে, মুসলমানগণ ইসলামী নবী মুহাম্মদ দ্বারা অনুকরণীয় ইসলামী জীবনযাত্রাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করে থাকে এবং তার আমন্ত্রণ জানায়। এর সাথে বিশদভাবে বর্ণিত একগুচ্ছ ধর্মীয় সঠিক আচরণও জড়িত থাকে: "(নবীর) অনুসারীদের অবশ্যই উচিৎ নবীর মতো পোশাক পরা, তিনি যেভাবে মেঝেতে ঘুমাতেন সেভাবে ঘুমানো, ডানদিকে পাশ ফিরে";[৪৬] বাম পায়ে টয়লেটে প্রবেশ করা, কিন্তু ডান পায়ে পায়জামা পরিধান শুরু করা; খাবারের সময় কাটাচামচ ব্যবহার না করা, এর পরিবর্তে হাত ব্যবহার করা; এবং আরও অন্যান্য।[৩০]

মুহাম্মদ ইলিয়াস যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তা হল কমপক্ষে দশ জন ব্যক্তির একটি দল (যার নাম জামাত, আরবি: جماعاتِ ‎‎ অর্থ সমাবেশ) সংগঠিত করা এবং তাদেরকে ধর্মপ্রচারের জন্য বিভিন্ন গ্রামে বা আশেপাশে প্রেরণ করা। এই 'বহির্গমন', বা দাওয়াতের সফরগুলো বর্তমানে তাবলিগ জামাতের নেতাদের দ্বারা সংগঠিত হয়।[৪৬] এই সফরগুলোতে, "কর্মের ফজিলত সম্পর্কিত" (মুহাম্মাদকে অনুকরণ বিষয়ক) মুহাম্মদের একটি হাদীসে"র উপর জোর দেওয়া হয়। উক্ত ফাযায়েল (গুণাবলী) এর হাদীসে এগুলিকে ঈমান (ধর্মবিশ্বাস) এবং ইহতিসাব (আল্লাহর খাতিরে) বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং তাবলিগ জামাত বিশ্বাস করে যে, এটি আখিরাতের (পরকালের) পুরষ্কারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহরিত শক্তি। তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস প্রচার করতেন যে, সদ্গুণের জ্ঞান ও আমালু-সালিহা (সৎকাজ) হল মাসআলা-মাসায়েল (আইনশাস্ত্র) এর জ্ঞানের চেয়ে অধিক অগ্রগণ্য। ফিকহের বিস্তারিত জানা (নামাজের ফরজ ও সুন্নত) তখনই উপকারী হবে যখন একজন লোক নামাজ আদায়ের মত রীতিনীতি পালনে সক্ষম হবে। তারা জোর দেয় যে শিক্ষার সর্বোত্তম উপায় হল অন্যদেরকে শিক্ষা দেওয়া ও উৎসাহিত করা, কুরআন ও হাদিসের নবী, সাহাবা এবং আল্লাহর ওলী-আওলিয়া ("আল্লাহর বন্ধু")দের গল্পের আলোকে লিখিত তাবলিগ জামাত আন্দোলনের দ্বারা প্রস্তাবিত বইগুলোর সাহায্যে। যদিও এই আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত কিছু বই রয়েছে, বিশেষত জাকারিয়া কান্ধলভি দ্বারা লিখিত, এতে বইয়ের পড়াশোনার উপর জোর দেওয়া হয়নি, বরং সরাসরি ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।[৪৭][৪৮] সাধারণত "তাবলীগী নিসাব" (তাবলিগী পাঠ্যক্রম) নামে পরিচিত কিছু বইয়ের একটি সংগ্রহকে সাধারণ পাঠের জন্য তাবলীগ জামাতের প্রবীণরা সুপারিশ করেন। এই বইগুলো হল ( হায়াতুস সাহাবা , ফাযায়েলে আমল, রিয়াদুস সালিহীন, ফাযায়েলে সাদাকাত , ও মুন্তাখাব হাদীস)।[৪৯][৫০][৫১]

আন্দোলনটি মুসলিমদেরকে তাদের দৈনিক রুটিনের বাইরে কিছু সময় তাবলিগী কাজকর্মে ব্যায় করতে উৎসাহিত করে যেন বাকি রুটিনও তাবলীগী জীবনশৈলীর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়। এছাড়াও অনুসারীদেরকে তাদের বিশ্বাসকে আরও গভীর করতে (বিশ্বব্যাপী প্রাপ্ত) দেওবন্দি মাদারিস বা মাদ্রাসাসমূহে ভর্তি হতে উৎসাহিত করা হয়।[৪৬]

তাবলিগী নৈতিকতায় সামাজিক মিলনায়তন বা কিছু অ-সনাতন প্রথাগত এবং আনুষ্ঠানিক রীতিরেওয়াজে অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করা হয়, যা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ায় অতিরঞ্জিতভাবে অনুসরণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বার্ষিক ধর্মীয় সভা বা ইজতেমা এবং অন্যান্য অনুরূপ গণসভাগুলোতে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়, যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচলিত ব্যয়বহুল উদযাপনব্যবস্থা এড়ানো যায়।[৫২]

সংগঠনটির সূচনাকালীন সময়ে এবং দক্ষিণ এশিয়ায়, তাবলিগ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সনাতন মতবাদে ফিরে আসা এবং প্রথাবিরোধী বা "প্রান্তিক" মুসলমানদের মুসলিম ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিচয় "শুদ্ধ" করা যারা এখনও হিন্দু ধর্মের সাথে সংযুক্ত রীতিনীতি এবং ধর্মীয় আচার পালন করছিল। বিশেষত যার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু ধর্মান্তরিতকরণ আন্দোলনের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা যারা প্রায়শই হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত এসকল মুসলিমদের লক্ষ্য করে কাজ করতো।[৫৩] প্রচলিত ধর্মান্তরিতকারী আন্দোলনসমূহের বিপরীতে, তাবলিগ জামাত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অমুসলিমদের কাছে ধর্মপ্রচার করার পরিবর্তে মুসলমানদের আরও ভাল ও বিশুদ্ধ এবং আদর্শিক ও "ধর্মীয়ভাবে নিখুঁত" করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর কারণ হল (এটি বিশ্বাস করে) অমুসলিমদের কাছে দাওয়াত কেবল তখন কার্যকর হবে (বা আরও কার্যকর হবে) যখন কোন মুসলমান নিজে "পরিপূর্ণতা"য় পৌঁছাবে।

সমালোচনাসম্পাদনা

তাবলীগ জামাত তার সনাতনি প্রকৃতির কারণে পশ্চাৎপদ হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। এই আন্দোলনের নারীরা পূর্ণ হিজাব পালন করায় তা নারীদের "কঠোরভাবে আজ্ঞাবহ ও অসমভাবে" রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।[৩২] মধ্য এশিয়ার কিছু দেশে তাবলিগ জামাত নিষিদ্ধ হয়েছে, এগুলো হল উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও কাজাখস্তান, যেখানে সনাতনি ধর্মপ্রচারকে চরমপন্থী হিসেবে দেখা হয়।[৬৩]

ইসলামী পরিসরের মাঝেও তাবলিগ জামাত সমালোচিত হয়েছে এবং এর ভারত উপমহাদেশে এর প্রধান বিরোধী হল বেরলভি আন্দোলন। তাদের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান সমালোচনা হল এর পুরুষেরা পরিবারকে অবহেলা ও উপেক্ষা করে, বিশেষত দাওয়াতের সফরে বাইরে বের হওয়ার মাধ্যমে। তাবলীগ জামাতের সদস্যরা এর জবাবে দাবি করেন যে, পুরুষের ন্যায় নারীদেরকেও সমানভাবে তাবলীগে অংশ নেওয়া উচিৎ। তারা আরও বলেন যে, পুরুষদের ন্যায় নারীদের জন্য তাবলীগের দায়িত্ব বহন গুরুত্বপূর্ণ এবং তাবলীগে নারীর অংশগ্রহণে পুরুষের সহায়তা করা উচিৎ সন্তানের দেখাশোনার মাধ্যমে। [৫২]

বহু সমালোচক, বিশেষত হিজবুত তাহরীর  জামায়াতে ইসলামীর সদস্যগণ, তাবলীগ জামাতকে তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষ অবস্থানের জন্য সমালোচনা করে। তারা বলে ইসলামপন্থী শক্তিগুলোকে ধর্মনিরপেক্ষ ও অ-ইসলামী বিরোদীদের সাথে তাদের দন্দ্ব সংঘাতের সময় তাবলীগ জামাতের অনুসারীরা চাইলে সহায়তা করতে পারতো। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে তাবলীগ জামাতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে তারা সমালোচনা করে, যেমন ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের ইসলামী সংবিধান, ১৯৭৯ থেকে ১৯৭১-এর ইসলাম বনাম সমাজতন্ত্র, ১৯৭০-৮০ সময়কালে ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ১৯৭৪-এর খতমে নবুয়াত আন্দোলন এবং ১৯৭৭-এর তেহরীক নিজাম-এ-মুস্তফা আন্দোলন।[৬৪] তাবলীগ জামাত এর উত্তরে বলে একমাত্র রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই তাবলীগ জামাত তাদের অনুসারীদের মাঝে আধ্যাত্মিক চেতনা পুনর্জাগরিত করতে সক্ষম হয়েছে। কঠিন সময়গুলোতে চলমান থাকতেও অরাজনৈতিক অবস্থান তাদের সহায়তা করেছে, যেমন ১৯৬০ সালে আইয়ুব খান ও ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের আমলে, যখন অন্যান্য সামাজিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল। [৬৫][৬৪]

রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সম্পর্কে মতামতের পার্থক্য তাবলীগী জামায়াত এবং ইসলামপন্থী আন্দোলনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য চিহ্নিত করে। যদিও ইসলামপন্থীরা বিশ্বাস করে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পরম প্রয়োজনীয়, তাবলীগী জামায়াত বিশ্বাস করে যে কেবল রাজনৈতিক শক্তিই ইসলামী সামাজিক শৃঙ্খলার কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পক্ষে যথেষ্ট নয়।[৬৬]তাবলিগী জামায়াতের একচেটিয়া মনোযোগ হল ব্যক্তিকেন্দ্রিক, এবং সদস্যরা বিশ্বাস করেন যে সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কেবল ব্যক্তির শিক্ষা ও সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর হবে। তারা জোর দেয় যে জাতি এবং সামাজিক ব্যবস্থাগুলি তাদের গঠনকারী ব্যক্তিদের গুণে টিকে থাকে; সুতরাং, সংস্কারটি তৃণমূল পর্যায়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিকভাবে শুরু হওয়া উচিত, রাজনৈতিক কাঠামোর উচ্চ স্তরে নয়।[৬৭]

তাবলীগ জামাত সনাতন ধারার অপর্যাপ্ত অনুসরণ ও সুফিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগেও অভিযুক্ত হয়েছে।[৬৮][৬৯] আব্দুল আজিজ ইবনে বায, সৌদি আরবের প্রাক্তন মুফতি, বলেন যে, "জামাতুত তাবলীগ ... এর বহু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। তাদের কিছু বিষয়ে শির্ক  বিদআত রয়েছে, তাই তাদের সাথে যাওয়া বৈধ নয়,"[৭০][৭১] আরেক সালাফি সমালোচক, ফালিহ ইবনে নাফি আল-হারবি, অভিযোগ করেন যে তাবলীগ জামাত হল "কাল্পনিক কাহিনী ও ভিত্তিহীন গল্পের স্রষ্টা এবং বিদআতী লোকের দল।"
source: <a href="https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4">WIKIPEDIA</a>

এ ব্যাপারেে ড. জাকির নায়েকের lecture: https://youtu.be/jClZ830S4pA

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাবলীক হলো ইলিয়াসী ধর্ম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ