আসলে জমি বন্ধ দেওয়া জায়েজ নাই এটা সুদ এর সাথে সম্পর্কৃত কেনো না। যেমন আপনার কাছ থেকে আমি ১ লাখ টাকা দিয়ে ১ বিঘা জমি নিলাম এবং ২ বছর বা তারো বেশি আমি ঐ জমি থেকে চাষাবাদ করে খেলাম, আর এই চাষাবাদ করে খাওয়া টাই হচ্ছে উক্ত ১ লাখ টাকার অতিরিক্ত মুনাফা/টাকা আর এই অতিরিক্ত মুনাফাই হচ্ছে সুদ যা হারাম ও নাজায়েজ। কিন্তু যদি আমার ফোন টি আপনাকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে দেই এবং ১০/১১ দিন পর আপনাকে ১ হাজার ফিরত দিয়ে আমার ফোন ফিরত নেই তাহলে এটা আমার জায়েজ হবে। যদি আমার ফোনটি আপনি ১৫ শত টাকায় আবার বন্ধ দেন তাহলে ঐ ৫ শত টাকা আপনার সুদ/অতিরিক্ত পাচ্চ্ছন সেটা আপনার জায়েজ না।
আসলে বন্ধক রাখার বিষয়টি ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোনো লেখক না পাও তবে অধিকৃত বন্ধকি বস্তু নিজ দখলে রাখবে।’ (সূরা বাকারাহ : ২৮৩)। সূরা মুদ্দাচ্ছিরের ৩৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ (রহিনাহ)।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাদ্য ক্রয় করেছিলেন এবং সেই ঋণের গ্যারান্টি হিসেবে তার বর্মটি ইহুদির কাছে রহন (বন্ধক) রেখেছিলেন।
সেক্ষেত্রে আব্বদুল্লার কাছ থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে করিম সাহেব যে ১ বিঘা জমি বন্ধ নিয়েছেন তা জায়েজ না ।
আবার উক্ত জমি করিম সাহেব বন্ধ নিয়ে আবার ১ বছরের জন্য অন্য কাউকে ১০ হাজারে ঠিকা/লিজ দেওয়া জায়েজ না কারন এটাও সুদের মধ্যে পরে।অর্থাৎ ঐ ১ লাখ টাকার বিনিময়ে আবার অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে ১ বছরে যা জায়েজ না।
সুতারাং আপনার উক্ত প্রশ্নের দুই পদ্ধতি নাজায়েজ। অর্থাৎ জমি বন্ধ দেওয়া আবার বন্ধকি জমি বর্গা/ঠিকা/লিজ দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা/টাকা নেওয়াও নাজায়েজ।
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন মাজিদ এ পবিত্র সুরাহ বাকারার ২৭৫ নং আয়াতে সুদ কে হারাম বলেছেন ও সুদের সাথে সম্পর্কৃত ব্যক্তি বিশেষ অর্থাৎ সুদের শাক্ষি, লেখিকা ও সুদ দেওয়া নেওয়া উভয় ব্যক্তি কেয়ামত এ দন্ডায়মান হবে।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ। বিস্ময়ে সাথে থাকার জন্য।