ছেলেদের যদি স্বপ্নদোষ হলে রোজা  সমস্যা  না হয় তাহলে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন কেন রোজা হবে না ।দুটাই তো অনিচ্ছাকৃত হয় ।তাহলে কেন 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 

ছেলেদের স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না আবার মেয়েদের মাসিক হলে রোজা ভঙ্গ হবে। যেহেতু দুটাই অনিচ্ছাকৃত হয় এক্ষেত্রে এটাই আল্লাহর বিধান।

দ্বিতীয়ত ছেলেদের স্বপ্নদোষ হলে রক্ত বের হয়না। আবার মেয়েদের মাসিক হলে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের হয় এটা অশুচি বা কষ্টদায়ক।

ছেলেদের স্বপ্নদোষ অনির্দিষ্ট যেকোন সময় হয়। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের প্রতিমাসে মাসিক হওয়া আল্লাহ প্রদত্ত একটি প্রাকৃতিক নিয়ম।

সাবালিকা হওয়ার পর প্রত্যেক নারীর লজ্জাস্থান থেকে মাসে একবার নিয়মিত যে রক্ত আসে, তাকে হায়েয (মাসিক, ঋতু বা রজঃস্রাব) বলা হয়।

এজন্য ইসলামি শরিয়ত তাদের এ দিবসগুলোতে রোজা না রাখার বিধান রেখেছে।

সিয়াম বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ সাতটি, আর তার মধ্যে অন্যতম।

১. ইসতিমনা (নিজস্ব ক্রিয়া/হস্তমৈথুন)।

২. একজন নারীর শরীর থেকে হায়েয (মাসিক) ও নিফাস (প্রসব পরবর্তী রক্তপাত) এর রক্ত বের হওয়া।

রোজা রাখা অবস্থায় যদি মহিলাদের মাসিকের রক্ত দেখা দেয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এমনিভাবে প্রসবজনিত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে কয়টি রোজা নষ্ট হবে সে কয়টি পরে কাজা করে নিতে হবে।

মোটকথাঃ আল্লাহ বলেন লোকেরা তোমাকে ঋতুস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে। বলো, তা অশুচি বা কষ্টদায়ক অবস্থা। এই সময় মেয়েরা নাপাক এবং কষ্টদায়ক অবস্থায় থাকে। রমজানে রজঃস্রাবের কারণে নারীরা তিন থেকে দশ দিন রোজা রাখতে পারেন না এবং নামাজও আদায় করতে পারেন না।

কিন্তু ছেলেদের ছেলেদের স্বপ্নদোষ মাত্র দুই মিনিট তারা অতি অল্প সময়েই পবিত্র হতে পারে। এবং ছেলেদের কষ্ট ও হয়না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে?

 

হ্যাঁ, তার ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে। কেননা স্বপ্নদোষ রোযা বিনষ্ট করে না। স্বপ্নদোষ তো মানুষের অনিচ্ছায় হয়ে থাকে। আর নিদ্রা অবস্থায় সংঘটিত বিষয় থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি সতর্কতাঃ বর্তমান যুগে অনেক মানুষ রামাযানের রাতে জেগে থাকে। কখনো আজেবাজে কর্ম এবং কথায় রাত কাটিয়ে দেয়। তারপর গভীর নিদ্রায় সমস্ত দিন অতিবাহিত করে। বরং মানুষের উচিৎ হচ্ছে, রোযার সময়টাকে যিকির, কুরআন তেলাওয়াত প্রভৃতি আনুগত্যপূর্ণ ও আল্লাহর নৈকট্যদানকারী কাজে অতিবাহিত করা।

 

ইচ্ছাকৃত করা। অর্থাৎ রোযাদার নিজ ইচ্ছায় উক্ত রোযা ভঙ্গের কাজে লিপ্ত হবে। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে তার ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে চাই তাকে জোর জবরদস্তী করা হোক বা না হোক। কেননা বাধ্য করে কুফরীকারীকে আল্লাহ্‌ বলেন,

 

]مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنْ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ[

 

“যার উপর জবরদস্তী করা হয়েছে এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহ্‌তে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহ্‌র গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।” (সূরা নাহালঃ ১০৬) বাধ্য অবস্থায় কুফরীতে লিপ্ত হওয়ার পাপ যদি ক্ষমা করা হয়; তবে তার নিম্ন পর্যায়ের পাপে বাধ্য হয়ে লিপ্ত হলে ক্ষমা হওয়াটা অধিক যুক্তিযুক্ত। তাছাড়া হাদীছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন,

 

إِنَّ اللَّهَ وَضَعَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

 

“নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা’আলা আমার উম্মতের ভুল ক্রমে করে ফেলা এবং আবশ্যিক বিষয় করতে ভুলে যাওয়া ও বাধ্য অবস্থায় করে ফেলা পাপ ক্ষমা করে দিয়েছেন।”

 

এভিত্তিতে কারো নাকে যদি ধুলা ঢুকে পড়ে এবং তার স্বাদ গলায় পৌঁছে ও পেটের ভিতর প্রবেশ করে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা সে এটার ইচ্ছা করেনি।

 

অনুরূপভাবে কাউকে যদি ইফতার করতে জবরদসি- করা হয় আর সে বাধ্য হয়ে ইফতার করে ফেলে, তবে তার ছিয়াম বিশুদ্ধ। কেননা সে অনিচ্ছাকৃতভাবে একাজ করেছে।

 

এমনিভাবে ঘুমন্ত ব্যক্তির স্বপ্নদোষ হলে, তার ছিয়ামও বিশুদ্ধ। কেননা সে ছিল ঘুমন্ত, ইচ্ছাও ছিল না তার একাজে। কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রীকে তার সাথে সহবাস করতে বাধ্য করে এবং স্ত্রী বাধ্যগত হয়ে সহবাসে লিপ্ত হয়, তবে তার (স্ত্রীর) ছিয়াম বিশুদ্ধ। কেননা একাজে তার কোন এখতিয়ার ছিল না

 

তিনি [রাসূল(সা)]বলেছেন, ‘‘যে (অনিচ্ছাকৃত) বমি করে, যার স্বপ্নদোষ হয় এবং যে দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করে, তার রোযা নষ্ট হয় না।’’[(আবূ দাঊদ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৭৭৪২নং)

 

এছাড়াও

 

‘আয়িশাহ (রাঃ)

 

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তিন ধরনের লোকের উপর হতে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে: (১) নিদ্রিত ব্যাক্তি, যতক্ষন না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্হ (পাগল) ব্যাক্তি, যতক্ষন না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক যতক্ষন না বালেগ হয়।

 

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩৯৮

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

 

উপরিক্ত বিষয় সমূহ থেকে ক্লিয়ার যে এটি সিয়াম বাতিলের কারণ নয়।এর জন্য তার করণীয় দ্রুত গোসল করে নেওয়া।।পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।আর এই বরকত ময় মাসে নিজেকে পূর্ন ঈমান এর সহিত নিয়োজিত করে দেওয়া উচিত ইবাদতের জন্য।।পবিত্রতা ব্যাতিত সালাত কবূল হয় না।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ