Call

 

স্বামী স্ত্রীর চরিত্র পরিক্ষা করতে অন্য জনের সাথে মিলন করতে বলায় স্ত্রী সেটা করে ফেলা উচিত হয়নি।

স্বামী যদি অনৈতিক কাজে কিংবা অবৈধ কাজে জোর করে তাহলে বাধ্য হওয়া যাবে না।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, অসৎকাজে আনুগত্য নয় ;আনুগত্য কেবলমাত্র সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে। (বুখারীঃ ৭১৪৫ মুসলিমঃ ১৮৪০)।

স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় পাপ কাজের প্রতি অগ্রসর হয় এক্ষেত্রে দুনিয়া বা আখেরাতে শাস্তির সম্মুখীন হবে। তবে কাউকে পাপ কাজের উপর বাধ্য করা হলে তাকে শাস্তি দেয়া যাবে না।

আল্লাহ বলেন, আর শুধু পার্থিব জীবনে তোমরা কিছু স্বার্থ লাভ করার উদ্দেশ্যে তোমাদের দাসীদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করো না, যদি তারা সতীত্ব বজায় রাখতে চায়। (সুরা নুরঃ ৩৩)।

এ আয়াতে বর্ণিত, “আর তোমাদের দাসীরা লজ্জাস্থানের পবিত্ৰতা রক্ষা করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ধন-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না।” এখানে “লজ্জাস্থানের পবিত্ৰতা রক্ষা করতে চাইলে” কথাটি শর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি।

বরং সাধারণ নিয়মের কথাই বলা হয়েছে। কারণ, সাধারণতঃ পবিত্ৰা মেয়েদেরকে জোর জবরদস্তি ছাড়া অন্যায় কাজে প্রবৃত্ত করা যায় না। [ফাতহুল কাদীর]

আয়াতে পরবর্তীতে বলা হয়েছে, “আর যারা তাদেরকে বাধ্য করবে, নিশ্চয় তাদেরকে বাধ্য করার পর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” এখানেও এ মেয়েদেরকে ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে। যবরদস্তিকারীদেরকে নয়।

যবরদস্তিকারীদের গোনাহ অবশ্যই হবে। তবে যাদের উপর যবরদস্তি করা হয়েছে আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল। [ফাতহুল কাদীর]

এখন স্বামীর গুনাহের জন্য তওবা করা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ