ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধ মূলত আনুষ্ঠানিক শুরু হয় ১৯৪৮ সালে ১৪ নভেম্বর ডেভিড বেনগুরিয়ন কর্তৃক ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তৎকালীন বিশ্ব পরাশক্তিধর দেশ ফ্রান্স,বৃটেন ও আমেরিকা ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করে। এতে অারববিশ্বের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আসলে খ্রিস্টান জগতে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা না ঘটিয়ে মুসলিম জাহানে ইসরাইল নামক একটি রাস্ট্র স্থাপন করার পেছনে ছিল একটি সুদূর প্রসারী চক্রান্ত। সেটি হল, মুসলিম জাহানের বুক চিরে একটি বৃহত্তর ইহুদী রাস্ট্র গঠনের চক্রান্ত। এই বৃহত্তর ইহুদী রাষ্ট্রের চিন্তা সর্ব প্রথম যার মাথায় এসেছিল তার নাম থিওডর হার্জ। তিনি এমন একটি ইসরাইল রাষ্ট্রের কল্পনা করেছিলেন যেটি বিস্তৃত হবে মিশরের নীল নদ থেকে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত। ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর ডেভিড বেনগুরিয়ন ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। একই সাথে তিনি নিজেকে ইসরাইল নামক একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। অথচ ঐ দিন এই রাষ্ট্রটির কোন সীমানা ছিল না, ছিল না কোন পূর্ণাঙ্গ সরকার, ছিল না কোন ভূখণ্ড, ছিল না কোন সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী। অথচ ১৫ নবেম্বর তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঁদ্রে গ্রোমিকোর উদ্যোগের ফলে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং সোভিয়েট ইউনিয়ন সহ ৩৩ টি দেশ ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতি পাওয়ার পর তারা শুরু করে তাদের আসল খেলা। ১৫ মে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের সাথে যুদ্ধ করে ইসরাইল পশ্চিম জেরুজসালেম দখল করে নেয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেন।ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হলেও তাদের দাবিকৃত জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রই স্বীকৃতি দেয়নি।কারণ জেরুজালেম মুসলিম ও ইহুদি তথা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য পবিত্র এক জায়গা। 'আমি অবশ্যই ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমকে বৈধ মনে করি না।' এটি অবশ্যই ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং অচিরেই মুসলমানরা এ অঞ্চলে বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ