কুরআ'নুল কারিমে আল্লাহ্ (سبحانه و تعالى) ইরশাদ করেন :
سيماهم في وجوههم من أثر السجود
“…তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার চিহ্ন থাকবে…”।
*_* সূরাহ্ ফাতহ, আয়াত ২৯।
আল-জালালাইনে এই চিহ্নকে সেই নূর হিসেবে ব্যাখ্যা করেন যার সাহায্যে আখিরাতে মু’মিনদেরকে চেনা যাবে।
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) ইরশাদ করেন :
إن أمتي يومئذ غر من السجود محجلون من الوضوء
অর্থাৎ : “সেই দিন আমার উম্মতের লোকদের সিজদার কারণে চেহারা উজ্জ্বল থাকবে, আর ওযুর কারণে তাদের হাত পা গুলো উজ্জ্বল থাকবে”।
অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মাদীর মুখমন্ডল সিজদাহ ও ওযুর ফলে কিয়ামতের দিন জ্যোতির্ময় ও উজ্জ্বল চিহ্ন বিশিষ্ট হবে।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আহমাদ, মুসনাদ ৪/১৮৯, তিরমিযী, সুনান।
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) ইরশাদ করেন :
“আল্লাহ তাআলা যখন জাহান্নামবাসীদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা দয়া প্রদর্শনের ইচ্ছা করবেন, তখন ফিরিশ্তাদেরকে আদেশ করবেন যে,
‘যারা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করত তাদেরকে দোযখ থেকে বের কর।’
ফিরিশ্তাবর্গ সেই ইবাদতকারী ব্যক্তিবর্গকে বের করবেন।
তাঁরা তাদের সিজদার চিহ্ন বা উজ্জল্য দেখে চিনতে পারবেন।
কারণ,
আল্লাহ দোযখের জন্য সিজদার চিহ্ন খাওয়াকে (ম্লান বা অনুজ্জ্বল করে দেয়াকে) হারাম করে দিয়েছেন।
ফলে ঐ সকল লোককে দোযখ থেকে বের করা (ও নিষ্কৃতি দেওয়া) হবে।
সুতরাং আদম-সন্তানের প্রত্যেক অঙ্গ দোযখ খেয়ে ফেলবে, কিন্তু সিজদার চিহ্নিত অঙ্গ বা সিজদার কারনে উজ্জল হওয়া অঙ্গ খাবে না।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* বুখারী, হাদিস ৮০৬;
*_* মুসলিম, হাদিস ১৮২।