১ঃওজু করার সময় নাকে পালনি দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু তিনবার না দিয়ে পাচ ছয়বার দিলে কি আমার ওজু হবে?২ঃঃ ওজু বানানোর সময় পেন্ট পরে খালি গায়ে ওজু বানালে হবে?
আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর→ যদি আপনি নাকে নরম অঙশে পানি দেওয়া থেকে ওযুর বাকি কাজ গুলো ৩ বারের বেশি করেন তাহলে সমস্যা নেই।কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না।যেমন মাথা মাচেহ শুধু ১ বার করতে হবে এতে ৩ বার এর প্রয়োজন নেই(বুখারি হাদিস ১৯২)।এবং ওযুর বাকি নিয়ম/কাজ গুলো ১/২/৩ বার করতে পারেন সমস্যা নেই। হাদিস→
ইব্নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেনঃ ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক উযূতে একবার করে ধুয়েছেন।সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫৭।
‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযূতে দু’বার করে ধুয়েছেন।’ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫৮।
এবং হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি ‘উসমান ইব্নু আফ্ফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিস্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমন্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর মাথা মাস্হ করলেন। অতঃপর দুই পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। পরে বললেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম উযূ করবে, অতঃপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩; মুসলিম ২/৩, হাঃ ২২৬, আহমাদ ৪৯৩, ৫১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৬১) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫৯।
যেহেতু ওযুর নিয়ম হলো ৩ বার করে ধৌত করা সেক্ষেত্রে এর বেশি করে টাইম লস করবেন কেনো।
না খালি গায়ে ওযু আদায় হবে না। আপনি ঘাড়ে গামছা ফালাবেন এবং গামছার দুই প্রান্ত ঘাড়ের দুইদিকে ফালাবেন এর পর ওযু করে এভাবেই নামায আদায় করতে পারবেন।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এক কাপড়ে সালাত আদায় করে, সে যেন কপড়ের দু’প্রান্ত বিপরীত পাশে রাখে। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৬০ এছাড়াও সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৫৮/৩৫৮ হাদিস গুলো দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ